ফাহাদ বিন হাফিজ, প্রধান প্রতিবেদক॥ গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন। রোহিঙ্গাদের সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে যাত্রীদের পরিচয়পত্র যাচাই করার জন্য কক্সবাজারের সকল বাস ও পরিবহন মালিকদের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গত সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় শিবির থেকে বেরিয়ে যাওয়া ঠেকাতে চাইছি উল্ল্যেখ করে তিনি আরো বলেন, ওই এলাকায় যে কোনো ধরনের পরিবহনের যাত্রীকে অবশ্যই ছবিসহ পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেকপয়েন্ট বসিয়েছে।
পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক এর আগে জানিয়েছিলেন, ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নতুন করে জনস্রোত শুরু হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দুই শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটক করে কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ মানিকগঞ্জ থেকে ২০ রোহিঙ্গাকে আটক করে কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে। পুলিশ সদরদপ্তরের এই কর্মকর্তা জানান, ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশের সদর দপ্তর থেকে রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কক্সবাজার, বান্দরবান ও চট্টগ্রামের এসপিদের কাছে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। এরা হচ্ছেন বিশেষ শাখার (এসবি) এআইজি, র্যাবের ডিজি ও সিএমপি কমিশনার।
রোহিঙ্গারা যেন কক্সবাজার থেকে বেরিয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য তিন জেলার পুলিশের প্রধান কর্মকর্তাদের সড়ক, নৌ ও আকাশপথে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।