টিআইএন॥ নগরভবনের সেমিনার কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মেয়র বলেন, ‘আমাদের দেশ গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। যে চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সেই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আমরা সব ধর্মের মানুষ মিলে এই উৎসব পালন করি। আমাদের চেতনা— ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’
মাননীয় মেয়র আরও বলেন, ‘মানুষ যেন সুষ্ঠুভাবে পূজা পালন করতে পারে, সেজন্য এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরপরও উৎসব উদযাপনে কোনও ধরনের সমস্যা দেখা দিলে তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মন্দির সংলগ্ন এলাকার পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখা, মন্দিরে পূজারিদের নির্বিঘেœ ও নিরাপদ যাতায়াতে রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণে এলইডি বাতি সংযোজন, রাস্তাঘাট মেরামত করে দেওয়া, সড়ক বিভাজক ও জেব্রা ক্রসিংয়ে রঙ করা— এসব কাজ শেষ করা হয়েছে।’
পরে মেয়র ডিএসসিসির অধীন ১৫১টি সার্বজনীন মন্দিরের প্রতিটির জন্য ৫ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি জয়ন্ত সেন দিপু, ঢাকা মহানগরী সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ডি এন চ্যাটার্জী, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার রায় প্রমুখ।