আবদুল মান্নান॥ শেখ হাসিনা কখনো তাঁর জন্মদিন ঘটা করে পালন করেন না। দেশে থাকলে সাধারণত দলের নেতাকর্মী আর শুভাকা্ক্ষংীরা গণভবনে গিয়ে শুভেচ্ছা জানান। দেশের বাইরে থাকলে দিনটি নীরবে কাটে। এবার তিনি এই দিনটিতে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটাবেন। নাতনির সঙ্গে খুনসুটি করবেন। হয়তো পরিবারের সদস্যদের জন্য নিজ হাতে রান্না করবেন। শেখ হাসিনা রান্না করতে পছন্দ করেন। ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে একটি সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল। দেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী আর বন্যাজনিত কারণে মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে শেখ হাসিনার নির্দেশে তা বাতিল করা হয়েছে। তিনি জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনে অংশ নিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনার এবারের জন্মদিনটি বেশ কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রেক্ষাপটে পালিত হচ্ছে। মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশে সে দেশের সেনাবাহিনী, চরম উগ্রপন্থী বৌদ্ধভিক্ষু ও তাদের পোষ্য দুর্বৃত্তদের হাতে নিগৃহীত ও গণহত্যার শিকার হয়ে এই মুহূর্তে সে দেশের প্রায় পাঁচ লাখ নিপীড়িত, নির্যাতিত ও সর্বহারা রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আগমন শুরু গত মাসের ২৫ তারিখ থেকে। আগের দিন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) নামক একটি জঙ্গি সংগঠন আরাকানে মিয়ানমারের পুলিশ ও সেনা সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের বেশ কয়েকজনকে হত্যা করে মিয়ানমার পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে নব উদ্যমে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর একটি মোক্ষম অস্ত্র তুলে দেয়। আরসা একটি অসংগঠিত, অকার্যকর ও সামান্য কিছু ঘরে বানানো দুর্বল অস্ত্রসজ্জিত আরাকান স্বাধীন করার লক্ষ্যে তথাকথিত স্বাধীনতাকামী একটি সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠী। আতাউল্লাহ নামে তাদের একজন নেতা আছেন, যাঁর জন্ম পাকিস্তানে আর বসবাস সৌদি আরবে। মিয়ানমারে বর্তমানে আটটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী আছে, যার মধ্যে আরসা সবচেয়ে দুর্বল। বাংলাদেশের অনেক বিশ্লেষকের মতে, ২৪ তারিখের হামলার ঘটনাটি স্রেফ উসকানিমূলকই ছিল না, এটি ছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য একটি বৃহৎ নীলনকশার অংশবিশেষ, যা আতাউল্লাহ মাধ্যমে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে পাকিস্তানের আইএসআই। আবার বাংলাদেশে অনেক বিশ্লেষক ও জামায়াত-বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী আছেন, যাঁরা স্বজ্ঞানে এ ঘটনার সঙ্গে আইএসআইয়ের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করতে চান। এটি তাঁরা করেন সরকার ও জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য। জন্মদিনের প্রাক্কালে শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তাঁর বক্তৃতায় রোহিঙ্গা বিষয়টি বেশ জোরালোভাবে তুলেছেন এবং প্রশংসিত হয়েছেন। তার পরও বাংলাদেশে তাঁর সমালোচকরা বসে থাকেননি। তাঁরা নিয়মিত সভা-সেমিনার আর মিডিয়াতে বলে বেড়াচ্ছেন, শেখ হাসিনা বিশ্বনেতাদের রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাঁর পক্ষে আনতে পারেননি। এই নাদানরা ভুলে যান যে শেখ হাসিনার নীরব ও সরব কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে আন্তর্জাতিক মহলে রোহিঙ্গা ইস্যুটি বর্তমান বিশ্বে অন্যতম মানবিক বিপর্যয় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং মিয়ানমারের ওপর রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ করা ও দেশত্যাগী রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপত্তা বিধান করে ফেরত নিতে চাপ বৃদ্ধি করেছে।
সাম্প্রতিক বন্যা ও ফসলহানির প্রাকৃতিক বিপর্যয় মাথায় নিয়ে শেখ হাসিনা জাতিসংঘের বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নিতে দেশ ছেড়েছেন। বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলেও তিনি ঘোষণা করেছেন, দেশে কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না, যদিও রিজভী-ফখরুল গং দেশে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শুনতে পেয়েছেন। বন্যার সুযোগ নিয়ে অসাধু চাল ব্যবসায়ীরা চালের মূল্যবৃদ্ধি করার জন্য তৎপর হলে সরকার বিদেশ থেকে দ্রুত চাল আমদানির ব্যবস্থা করেছে, খোলাবাজারে চাল বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে, আর চাল আমদানির ওপর কর মওকুফ করে দিয়েছে। এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে কার্যকরভাবে কী ব্যবস্থা নিতে হয়, তা শেখ হাসিনা অনেক আগেই রপ্ত করে ফেলেছেন।
শেখ হাসিনা যখন যুক্তরাষ্ট্রে তখন বিএনপি নেত্রী লন্ডনে অবস্থান করছেন। গত ঈদের আগে তিনি চিকিৎসার নাম করে সেখানে গেছেন। থাকছেন পুত্র তারেক রহমানের বাড়িতে। তবে তাঁর কী চিকিৎসা হচ্ছে, তা কিন্তু দেশের মানুষ তেমন একটা জানে না। তবে এরই মধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই সংবাদ প্রচারিত হয়েছে যে তাঁর সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআইয়ের একাধিক কর্মকর্তা দেখা করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ সেপ্টেম্বর লন্ডনে পাকিস্তান দূতাবাস আয়োজিত পাকিস্তান ‘ডিফেন্স ডে’ রিসেপশনে বেগম জিয়া উপস্থিত থেকেছেন এবং সেখানে তিন ঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তিনি দুজন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে একান্তে রূদ্ধদ্বার বৈঠকে ব্যয় করেছেন। লন্ডনে যে একটি বড় ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা অনেক দিন ধরেই পরিষ্কার। এই ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য যেকোনো উপায়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা। শেখ হাসিনাকে হত্যা বা ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র নতুন কোনো বিষয় নয়। যারা জাতির জনকের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল তারা সব সময় চেয়েছে যেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা কখনো ক্ষমতায় আসতে না পারেন। এই না চাওয়াটার মধ্যে কোনো রাখঢাক ছিল না। বাংলাদেশে রাজনীতি পঁচাত্তর পরবর্তী সময় থেকে দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অন্যদিকে একটি শক্তিশালী আওয়ামী লীগবিরোধী শক্তি। এখানে যেমন বিএনপি-জামায়াত বা তাদের সমমনা দল আছে, তেমনি আছে দেশের এক শ্রেণির বাম ঘরানার সুবিধাভোগী সুধীসমাজ আর মিডিয়াও আছে। এই সুধীসমাজের আবার একটি দলনিরপেক্ষ সাইনবোর্ড আছে। কিন্তু দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন এলেই তারা নানা কায়দায় উঠেপড়ে লাগে যেন যেকোনো উপায়ে আওয়ামী লীগকে ঠেকানো যায়। সামনের সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই সুধীদের তৎপরতা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি কাসিমবাজার কুঠিও খোলা হয়েছে। নিত্যদিন বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে গোলটেবিল বৈঠকের ফিরিস্তি দেখলে বোঝা যায়, দিন যতই যাচ্ছে ষড়যন্ত্রের চাকা ততই সচল হচ্ছে। বেগম জিয়া দেশে ফিরে তাঁর পরিকল্পিত সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করলে তখন এই সুধীদের কর্মকান্ড অনেক গুণ বেড়ে যাবে। তাদের অর্থায়ন করে দেশের ও বাইরের কিছু করপোরেট হাউস আর কিছু গোয়েন্দা সংস্থা, যাদের মধ্যে পাকিস্তানের আইএসআই অন্যতম। শেখ হাসিনা যখন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন, ঠিক তখনই দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে একটি আশঙ্কাজনক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যাতে তাঁর শুভাকাংক্ষীরা উৎকণ্ঠিত হয়েছেন। পরে তাঁর দপ্তর থেকে সংবাদটি অসত্য বলে জানালে মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। তবে অতীতের বিশ্বরাজনীতির প্রেক্ষাপট চিন্তা করলে কখনো কখনো এমন আশঙ্কা যে সত্য হয়নি, তা কিন্তু নয়। দলের একাধিক নেতা শেখ হাসিনা ও দলের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে দলের ভেতরের লোক থাকাও বিচিত্র নয়। কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনে যেভাবে স্রোতের মতো জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রবেশ করেছে তাতে শঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিনে এসব বিষয় তো চিন্তা করতেই হবে।
আওয়ামী লীগের অন্ধ সমর্থক না হয়েও নির্মোহভাবে চিন্তা করলে স্বীকার করতেই হবে, শেখ হাসিনার পর পর দুই মেয়াদে শাসনকালে বাংলাদেশ বিশ্বপরিমন্ডলে যে স্থানে গেছে তাকে ঈর্ষণীয়ই বলতে হবে। একই সঙ্গে তিনি নিজে বর্তমান বিশ্বে একজন সর্বজনসম্মানিত স্টেটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত। সম্প্রতি জার্মানিতে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জার্মানির পুননির্বাচিত চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল তাঁর নির্বাচনী পোস্টারে তাঁর ছবির সঙ্গে শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে শুধু শেখ হাসিনাকেই নয়, বাংলাদেশকেও সম্মানিত করেছেন। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ক্যাম্পে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষকে অন্ন জোগাতে পারলে বাড়তি ১০ লাখ মানুষকেও খাওয়াতে পারেন, তখন বলতেই হয়, এমন একটি বাক্য উচ্চারণ করতে সাহসের প্রয়োজন হয়। শেখ হাসিনার এই মন্তব্য ও বাংলাদেশের লাখ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু প্রবেশের অনুমতি দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ‘মানবতার জননী’ (Mother of Humanity) উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। যেদিন তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিলেন, সেদিন দেশের ও দেশের বাইরের মানুষ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তিনি কী বলেন। তিনি তাঁদের হতাশ করেননি। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন এবং সুনির্দিষ্টভাবে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য পাঁচ দফা সুপারিশ পেশ করেন। তাঁর এই বক্তব্য দেশে ও দেশের বাইরে সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। অবশ্য ব্যতিক্রম হচ্ছে বিএনপির ফখরুল-রিজভী গং। তাঁদের মতে, শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়টি জাতিসংঘে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেননি। যেখানে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর সরকার বলছে, মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের সসম্মানে পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে, সেখানে বিএনপি ঘরানার কিছু পেশাজীবী আর সুধী বলছেন, রোহিঙ্গাদের সে দেশে ফেরত দেওয়া চলবে না। তাঁরা মনে করছেন, এমনটি হলে বিএনপি-জামায়াতের ভোটব্যাংক সমৃদ্ধ হবে। এটি বর্তমান সরকার আর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরেকটি বড় ষড়যন্ত্রের পূর্বাভাস। শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে এসব ষড়যন্ত্রের কথা চিন্তা করতে হচ্ছে। এত নেতিবাচক সংবাদের মধ্যে বিশ্বখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস ম্যাগাজিন এশিয়ার প্রথম পাঁচটি দুর্নীতিপরায়ণ দেশের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে বাংলাদেশের নাম নেই। তালিকার শীর্ষে আছে ভারত, তারপর ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান আর মিয়ানমার। এই সংবাদটি দেশের গণমাধ্যমে তেমন একটি গুরুত্ব পায়নি। ঘটনাটি যদি উল্টো হতো, তাহলে দেশের বেশির ভাগ গণমাধ্যমে তা শিরোনাম হতো।
১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে আটদলীয় জোটের জনসভায় যাওয়ার পথে সভাস্থলের অদূরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য এরশাদের পুলিশ বাহিনী তাঁকে বহনকারী ট্রাকের উদ্দেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বাঁচানোর জন্য দলের ২৪ জন নেতাকর্মী পুলিশের গুলিতে নিহত হন। সে সময়কার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রধান ছিলেন মেজর মির্জা রকিবুল হুদা (অব.), যিনি একাত্তর সালে পাকিস্তানের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর জিয়া এমন ১৪ জন সেনা কর্মকর্তাকে পুলিশ বাহিনীতে আত্তীকরণ করেছিলেন। সেই মির্জা রকিবুল হুদাকে বেগম জিয়া ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় গিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য যে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়েছিল, সেদিন সেই হামলা থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে রক্ষা করার জন্য আবারও দলের ২৪ জন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মী নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। কেন জানি মনে হয়, দলে সুযোগসন্ধানী হাইব্রিড নেতাকর্মীদের ভিড়ে শেখ হাসিনার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুুত নেতাকর্মীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার ৭০তম জন্মবার্ষিকীতে প্রার্থনা করি, তিনি দীর্ঘায়ু হোন এবং বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান। এই মুহূর্তে বহির্বিশ্বে তিনিই বাংলাদেশের জানালা।