অনুকরণ রাজনীতিতে ইতিবাচক

বাংলাদেশের রাজনীতির মেরুকরন একটি জটিল ছকে আবদ্ধ। এই ছকে যেমন ভাল দিক রয়েছে ঠিক তেমনি খারাপ দিকও রয়েছে। তবে এযাবত কাল পর্যন্ত দৃশ্যমান হয় খারাপ এর প্রভাবই বেশী। তবে আশার আলো দেখতে পাওয়া যায় ইদানিং কালের রাজনীতিতে। বর্তমানের সাবেক প্রধান মন্ত্রী ও গুণেধরা রাজনৈতিক দলের নিমজ্জিত নেতা বা চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ইদানিং মুখে ও আচরণে কিছু অনুকরণ বা নকল প্রবণতায় জড়িয়ে পড়েছেন। তবে তা যদি হয় লোক দেখানো, সেখানে কিন্তু বহিস্কারের বা প্রত্যাখ্যানের ভয়ই বেশী। কারন জনতা এখন সবই বুঝতে শিখেছে। কোনটা আসল আর কোনটা নকল বোঝার সময় ও সুযোগ সবটুকুই এখন জনতার হাতে।
জনাব ফখরুখ সাহেব যখন বাস্তবতা মেনে নিয়ে সঠিক রাজনীতির পথে হাটছেন এবং কান্ডারী হিসেবে বিএনপিকে টেনে তুলে একটি সম্মানজনক আস্থার অবস্থানে নিতে চাচ্ছেন তখনই তিনি বিরাগভাজন হচ্ছেন নিজদলের চেয়ারপার্সন দ্বারা। এই ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে এহেন মনোভাব এবং এর বহি:প্রকাশ কিন্তু খাদের কিনারায় তলানীতে নিমজ্জিত বিএনপিকে আরো বিনষ্ট করে ধুলিসাৎই করবে বৈকি। এখনও সময় এবং সুযোগ আছে সম্মানজনক স্থানে ফিরে আসার।

Tajul Picture fpr pp copy2
আশার কথা হলো লোক দেখানো চর্চায় এখন বিএনপি নেত্রী মনোনিবেশ করেছেন যা তিনি তার ঔরসজাত সন্তানদের বেলায়ও করেননি বা করতে পারেননি। যা করেছিলেন আয়া ও বাসার কাজের লোকেরা। রোহিঙ্গা শিশুকে নিয়ে তিনি যে অপরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছেন এবং অনুসরন ও অনুকরণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা কিন্তু আশার আলো দেখাচ্ছে বিএনপি কর্মীদের মধ্যে। কিন্তু আরেকটু চর্চা করে কাজটুকু করলে হয়ত জনমনে গ্রহণযোগ্যতা পায়ত; স্বভাব যায়না ময়লে। বা দুর দুর ছের ছের ভাবটা ঘোছানো যেতো।
শেখ হাসিনার কাছে যাদুর কাঠি আছে বলে যে মন্তব্য করেছেন তা কিন্তু ঠিকই বুঝতে পেরেছেন। এখন এই যাদুর কাঠি হস্তান্তর বা আদান প্রদান করার যে যোগ্যতা তা অর্জন করতে পারলেই তা আপনার হাতেও যেতে পারে। তবে আপনাকে আরো শিখতে হবে এবং পরিশিলিত ও মার্জিত এবং বর্তমান যুগের চাহিদার সাথে স্বচ্ছ এমকি উন্নয়ন অগ্রগতি প্রযুক্তি নির্ভর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। নতুবা আপনার পিছনে যে মন্দ আত্মা ভর করে মন্দতায় নিমজ্জিত করে রেখেছে তা কিন্তু মৃতু্যূর মধ্যদিয়ে জাহান্নামের বাসিন্দাই পরিণত করে ছাড়বে। আপাত দৃষ্টিতে তাই পরিলক্ষিত হচ্ছে। সময় এখনও আছে ইতিবাচক এবং সত্যনির্ভর বাস্তবতায় ফিরে আসুন এবং নিজের স্থান পাকাপোক্ত করুন।
প্রকারান্তরে যা প্রকাশিত হচ্ছে এবং আগামীতে যা প্রকাশিত হবে তার থেকে নিজেকে এবং দলকে কিভাবে জনতার কাতারে দাঁড় করাবেন তাই নিয়ে এখনই কাজে নেমে পড়–ন। নতুবা ফি নারে জাহান্নামে খালেদিন অবস্থায় পৌঁছবেন মাত্র।  বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং তারই ঔরসজাত কন্যা শেখ হাসিনার অবদান স্বীকার করুন এবং এই অবদান অর্জনের পথে নিজেকে নিয়োজিত করুন। তাহলে হয়তো অতিতের কৃতকর্মের দ্বারা অর্জিত সকল অপবাদ ঘুচাতে সক্ষম হবেন। কোরআন হাদিছের কথা আ-ঘাট, ঘাট হবে, আ-পথ পথ হবে, অ মানুষ কু মানুষ মানুষ হবে এই কথার যথার্থ বাস্তব রূপদানকারী হিসেবে আপনি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আর কতদিন নিজেকে ঐ অবস্থানে রাখবেন। বের হয়ে আসুন, শেষ দিনগুলিতে, কারণ সময় হয়েছে ফিরে যাওয়ার; তাই কিছু একটি ভালদিক অজর্ন করে নিয়ে যান যাতে অন্তর্ত চিরস্থায়ী জীবনে সুখ ও শান্তির আবেশে থাকতে পারেন।
এই অনুকরনীয় রাজনীতির ময়দানে সহযোগীতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসা জরুরী। কারণ যখন কেউ অনুসরণ বা অনুকরণ করে তখন সে শিশুবস্থায় বা প্রাথমিক অবস্থায় পদার্পন করে যেমন শিশু হাটি হাটি পা পা করে শিখতে শুরু করে। ঠিক সেই সময়ে পিতা-মাতা বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সহযোগীতা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিপক্ক হয়ে একজন ভাল  আদর্শ মানুষে পরিণত হওয়ার সুযোগ করে দেয়। সেই সুযোগটুকু করে দেয়ার দায়িত্ব এখন সরকার এবং সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকদের।  হতাশার মাধে আশার আলো দেখার জায়গাটুকুতে কাজ করতে এখনই শুরু করুন। হাতে কলমে শিখিয়ে দিন আগামী দিনের দায়িত্ব নিতে কি কি প্রয়োজন এবং কিভাবে সেই দয়িত্ব পালন করতে হবে। নিজেরা আত্মতুষ্টি ও আত্মতৃপ্তিতে না ভুগে সঠিক কাজটুকু করতে চেষ্টা করুন।
সামনে এগিয়ে যেতে হলে সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। কাউকে বাদ দিয়ে নয়। সুতরাং অবোধ ও নির্বোধের ভুলগুলি শুধরিয়ে সঠিক নের্তৃত্বে আগামীর সম্মুখে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা মসৃণ করুন। মানবতার মা এবং বিশ্ব বিবেক ও বিশ্ব নেত্রী শেখ হাসিনা যে পথ প্রদর্শক তা কিন্তু নিজের দেশেরও । এই দেশের জন্য তিনি যা করছেন তার সঙ্গে ঐ বিরোধী লোকদের ভাল কাজের অনুসরণে ও অনুকরণে সহযোগীতা করে এগিয়ে নিয়ে আসুন আগামীর সকল উন্নয়ন ও অগ্রগামী কর্মকান্ডে।
মনে রাখবেন তাদের আসতেই হবে কারণ সকল নেতিবাচকতা এখন পরাভ্রুত ও ইতিবাচকতার জয়জয়কার। তবে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে এবং সতর্কভাবে পথ চলতে হবে। আমাদের অহংকার ও গর্বকে জনতার পাহাড়ায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে। মহান খোদা তায়ালা তার রহমত, বরকত এবং সমস্ত সুরক্ষা ও ফজিলত বর্ষিত করে যাচ্ছেন এই এতিম শেখ হাসিনার মাধ্যমেই।
রাখে আল্লা মারে কে? এই কথাটি ১০০% ভাগ সত্যে পরিণত হয়েছে শেখ হাসিনার জিবনের মাধ্যমে। সুতরাং খোদার আশির্বাদ পায়ে ঠেলে না দিয়ে আরো বেশী আর্শিবাদ এবং সম্বৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়াই আমাদের কাম্য। কিন্তু শয়তান এবং এর দোসররা কিন্তু সেই পথে বাধা বসাবে। সেই বাধা সৃষ্টিকর্তার নামেই পরাভূত করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। চারিপাশের সকল সফল উন্নয়ন বাস্তবরূপ দেখে খোদার শুকরিয়া আদায় করে আরো নতুন নতুন পদক্ষেপে মনোনিবেশ করতে হবে। ধৈয্য সহনশীলতা, ক্ষমা ও ভালবাসায় পূর্ণ হতে হবে। মনের সকল পঙ্কিলতা দুর করতে হবে এবং কোমল ও ন¤্র হয়ে সকল কিছু নতশীরে গ্রহণ করতে হবে এবং অন্যকে উঁচু শীরে তুলে ধরতে চেষ্টা করতে হবে। মোট কথা তুমি যে রকম আশা করো সেই রকম তুমি আগে করে দেখিয়ো। তাহলে সবই ঐরকম হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.