টনি ডি কস্তা॥ বাংলাদেশে পুণ্যপিতা ফান্সিসের সফর ও ব্যবস্থাপনার ত্রুটি নিয়ে ফেইসবুকে লেখালেখি এবং আমাকেও কেহ কেহ আমার ফেইসবুকে লিখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আমি যথাযথ উত্তর দিতে অপরাগ। আপনাদের ক্ষোভ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেন। আমি মিডিয়া কমিটির পক্ষে রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।
তবে রমনা কাথিড্রালে পোপ মহোদয়ের মোলায়েম হাতটি স্পর্শ করার সুযোগ হয়েছিল। তখন আমার গা শিউরে উঠে, জানিনা কেন! আমরা সকলেই পাপী। পুণ্যপিতা একজন মহান ব্যক্তিত্ব। প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বিশ্বস্ত শিষ্য প্রথম পোপ সাধু পিতরের প্রতিনিধি ২৬৬ তম পোপ আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় পোপ ফ্রান্সিস। অনেকে কষ্ট পেয়েছেন তবে বড় কথা হল সুদূর রোমের ভিতর ভাতিকানে গিয়েও পোপ মহোদয়কে এতো কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য ক’ জনার হয় জীবনে। আমি পোপ জন পলকে ১৯৮৬ তে স্পর্শ করতে পেরেছিলাম এবারও ২০১৭ তে হাত ধরতে পেরেছি। বয়সের ভারে আমি হয়তো একদিন হারিয়ে যাবো কিন্তু পিতা ঈশ্বরের অনেক দয়া পেয়েছি। মানুষ সৃষ্ট নানা জটিলতায় জীবন হয়তো দুর্বিসহ হয়, কষ্টের হয় কিন্তু পিতা ঈশ্বরের অপরিসীম দয়া অবিরত বয় সবার প্রতি। যা চাই না তা পাই, যা চাই তা পাইনা। এটাই সৃষ্টিকর্তার লীলা খেলা। কোটি পতি হয়ে, নেতা হয়ে সমাজে অনেকেই বিতর্কিত। পিতা ঈশ্বর যেন তাদের দয়া করেন।
আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পোপ ফ্রান্সিসকে বাংলাদেশে রাস্ট্রীয় ও পালকীয় সফরের সুযোগ করে দেয়ার জন্য, পোপ ফ্রান্সিসকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। সমস্যা হবেই তার মধ্যে সহনীয় মনোভাবে বা পজেটিভ ভাবে নিন, দেখবেন সমস্ত কিছু সুন্দর সমাধান হয়েছে।