নির্বাচনী প্রচারের কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

starting election campain for now onফারুক ভুইয়া॥ ডিসেম্বরের মধ্যেই আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চায়। আগামী ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন। ওই বক্তব্যে তিনি ২০১৮কে নির্বাচনের বছর হিসেবে আখ্যায়িত করবেন। জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মধ্যে দিয়েই নির্বাচনের পথে হাঁটবে দেশ। সোমবার দেশে ফিরেই নেতা কর্মীদের সঙ্গে আলাপ চারিতায় প্রধানমন্ত্রী এরকম ইঙ্গিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে নেমে যাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আর অপেক্ষা না করে, নির্বাচনী প্রচারের কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির দুর্নীতি লুটপাট এদেশের মানুষ ভুলতে বসেছে। এই সব দুর্নীতি মানুষকে আবার মনে করিয়ে দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে জিয়া পরিবারের অবৈধ সম্পদের তথ্য জনগণের মধ্যে প্রচার করতে বলেছেন। সৌদি আরব সরকার সম্প্রতি বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। সেই দেশে বেগম জিয়ার বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে সৌদি আরবে চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযান কতৃপক্ষ। আওয়ামী লীগ সভাপতি, এসব তথ্য জনগণকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন, যেন জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর পাশাপাশি উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরতে বলেছেন।
আওয়ামী লীগ অন্তত ১০০টি আসনে তাঁদের প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দিয়েছে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, বাকি ২০০ আসনে ৩ জন করে প্রার্থীর সংক্ষিপ্ত তালিকা এখন সভাপতির টেবিলে। অবিলম্বে এই আসনগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। কয়েকটি আসনে, কৌশলগত কারণে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে না। বিএনপি কীভাবে নির্বাচন করে এবং প্রার্থী কে হয়, তার ওপর নির্ভর করবে অন্তত ১০০টি আসনের প্রার্থী বাছাই। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ১০০ আসনের প্রার্থীতা চূড়ান্ত করে ফেলবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একজন নেতা বলেছেন, কিছু আসনের প্রার্থী নির্ধারিত। আমরা জানি, তারাই প্রার্থী হবেন। এরকম আসনে নির্বাচনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ওই নেতা মনে করেন, সব আসনেই নির্বাচনের কাজ চলছে, তবে একাধিক প্রার্থী থাকায় ওই সব আসনে সমস্যা হচ্ছে। এজন্যই আওয়ায়ী লীগ সভাপতি স্বল্পতম সময়ে অধিকাংশ আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করবেন।
বেগম জিয়ার মামলা নিয়ে বিএনপি আন্দোলন করলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না। বিএনপির আন্দোলন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুভাবে প্রতিহত করার নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published.