দেশের আইসিটি সেক্টরের বিকাশে যশোরে যাত্রা শুরু করেছে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক

বাআ॥ দেশের আইসিটি সেক্টরের বিকাশে যশোরে যাত্রা শুরু করেছে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই আইটি পার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে দেশের আইসিটি সেক্টরে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হলো।
২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে বিশ্বমানের আইটি পার্ক নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল যশোরের বেজপাড়া শংকরপুর এলাকায় ২ লাখ ৩২ হাজার বর্গফুট জায়গার ওপর ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই আইটি পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।                                                                             sheak hasina software park jashor
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন। এ সময় গণভবনে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’র বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী  ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি’র আদলে গড়ে তোলা হয়েছে ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক।’ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আইসিটি শিল্পের সুষম বিকাশ ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে।
পার্কে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধাসহ ১৫-তলা মাল্টি-টেন্যান্ট বিল্ডিং (এমটিবি) স্থাপন করা হয়েছে। এখানে জায়গার পরিমাণ ২ লাখ ৩২ হাজার বর্গফুট। আন্তর্জাতিক থ্রি-স্টার মানের আবাসন ও জিমনেসিয়ামের সুবিধাসহ ১২-তলা ডরমিটরি বিল্ডিং, একটি ক্যান্টিন ও এম্ফিথিয়েটার, ৩৩ কেভিএ পাওয়ার সাব-স্টেশন, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল সংযোগ এবং অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিস রয়েছে। মূল ভবনের পাশে ৫ একরের বিশাল জলাধার রয়েছে এবং চারপাশে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে।
ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি ৪০টি কোম্পানিকে স্পেস বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই পার্কে প্রায় ৫ হাজার লোকের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.