ফাহিম মুরাদ ঃ বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজের দাবি তাকে হত্যার উদ্দেশেই বোমাহামলা চালানো হয়। কিন্তু পরপর নিক্ষিপ্ত তিনটি বোমাই লক্ষভ্রষ্ট হওয়ার তিনি নিরাপদ আছেন।
বুধবার সন্ধ্যারাতে বরিশাল শিশুপার্কে মহানগর আওয়ামী লীগের সভা চলাকালীন এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু এই হামলায় ঘটনায় দলীয় ঘরনা অর্থাৎ একটি বিশেষ মহলকে দায়ি করেছে বরিশাল মহানগর আ.লীগের নেতাকর্মীরা।
বরিশাল মহানগর আ.লীগ ও ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী জানিয়েছেন- কেন্দ্রীয় সম্মেলন সফল করার লক্ষে শিশুপার্কের ভেতরে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় মহানগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজালুল করিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন হিরণপতœী জেবুন্নেছা আফরোজ। মূলত জেবুন্নেছা আফরোজ বক্তব্য শুরু করা মাত্রই সভাকে লক্ষ্য করে তিনটি বোমা নিক্ষিপ্ত হয়। কিন্তু বোমাগুলো লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে শহরজুড়ে সৃষ্টি হয় আতঙ্ক। খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উচ্চমহল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।’
জেবুন্নেছা আফরোজ জানান- সভা শুরুর পরপরই ৪০ থেকে ৫০টি রিকশাযোগে সন্ত্রাসীরা পার্কের চারপাশে অবস্থান নেয়। তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখাকালীন তাকে উদ্দেশ্য করে বোমাহামলা চালায়। শওকত হোসেন হিরণের মৃত্যু পড়ে যে মহলটি একক নিয়ন্ত্রণ চালাইতে চাইতেছে তারা এ ঘটনা জন্ম দিয়েছে।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক কেন্দ্রীয় নেতাদের অবহিত করেছেন।
তবে বরিশাল পুলিশ প্রশাসন এ হামলার বিষয়টি স্বীকার করলেও কে বা কারা ঘটিয়েছে তা স্পষ্ট করেনি। এক্ষেত্রে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মূখপাত্র সহকারি কমিশনার (এসি) ফরহাদ সরদার জানান- বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছে পুলিশ।’