ফল ঘোষণার মাঝপথেই পরাজয় মেনে নিল আ.লীগ

লিটন॥ রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল ঘোষণার মাঝপথেই দলীয় প্রার্থীর পরাজয় মেনে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই নির্বাচনে পরাজয় ঘটলেও রাজনৈতিকভাবে বিজয়ী হয়েছেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।    Al axept the rc result
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় হলেও সবচেয়ে বড় কথা হলো একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে রেকর্ড রেখে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বলব এটা গণতন্ত্রের বিজয়। আমরা এই নির্বাচনের ফলাফল গণতন্ত্রের বিজয় হিসেবে দেখছি। আমরা মনে করি, এই নির্বাচনের ফল জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির জন্য একটি মেসেজ।’
সন্ধ্যায় ভোটগণনা চলার মধ্যে ওবায়দুল কাদের যখন ওই বক্তব্য দেন সে সময় বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের ফল প্রকাশিত হয়। তাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সরফুউদ্দীন আহমেদ ঝণ্টুর চেয়ে কয়েক হাজার বেশি ভোটে এগিয়ে ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান। বিদায়ী মেয়র ঝণ্টু তার নিজের কেন্দ্রেও হেরেছেন প্রতিদ্বন্ধী ফিজারের কাছে।
দলীয় প্রার্থীর হার আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমার প্রতিফলন কি না-প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমরা বিজয় লাভ করেছি, কুমিল্লায় আমাদের পরাজয় হয়েছে। সব নির্বাচনে কি জয়ী হতে হবে? এই নির্বাচনকে আমরা রাজনৈতিকভাবে দেখছি।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির পক্ষ থেকে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি ও তাদের সমর্থক ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করা হয়। দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের লোকেরা বিএনপির পোলিং এজেন্টদের নির্বাচন কেন্দ্র থেকে বের করে দিচ্ছে।
বিএনপির অভিযোগ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনটি কেমন হলো? নির্বাচন কি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয়নি? সরকার কি কোনো হস্তক্ষেপ করেছে? কোথায় ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে? কোথাও কোনো প্রমাণ আছে? তিনি বলেন, ‘আমরা যদি থার্ড (তৃতীয়) হতাম, তাহলে বলত আওয়ামী লীগ আঁতাত করে গোপনে ভোট দিয়ে দিয়েছে। সেটা তো বলার সুযোগ নেই। আমরা সাপোর্ট দিলে এ অবস্থা হবে কেন? বিএনপি কোথায়?’
এ সবই তাদের পুরোনো অভ্যাসের গতবাধা মুখস্ত করা ভুলি। তা তারা আওড়িয়ে আওড়িয়ে আজ প্রায় দেওলিয়ার পথে। তাই সময় তাদের সকল অপপ্রচারের মোক্ষম জবাব দিচ্ছে দেশে এবং বিদেশে। মিথ্যার মৃত্যু একবার হয় আর মুত্যুর পরে পুনরুত্থানের সুযোগ থাকে না। তাই বিএনপিরও হয়েছে তাই। সত্যের বিজয় বার বার হয়। একবার যদিও পরাজয় হয় বা সাতবারও যদি পরাজয় হয় সাতবারই আবার জয়ী হয়। কিন্তু মিথ্যা একবারই পরাজয় এবং এর শেষ ফল মৃত্যু ও চিরতরে মুছে যায় জনমনের গভীর থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.