তাজুল ইসলাম নয়ন॥ রাশেদুল কাউছার জীবন এবং আমার সম্পর্ক সেই ২০০৫সাল থেকেই। বিশেষ করে কসবায় কম্পিউটার ব্যবসা শুরুর পর থেকে। তারপুর্বে ছিল আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে দুজনের সম্পর্ক। কিন্তু ব্যবসা শুরুর পর যে সম্পর্ক, সেটা আসলে কোন দেনা-পাওনার নয়, তা আত্মার। সেই মানুষটি তিলে তিলে নিজেকে গড়েছেন এবং অনেক ত্যাগ ও তিতিক্ষার পর নিজেকে সম্মানের স্থানে দাঁড় করিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন। সর্বশেষ হলো মাননীয় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী শ্রদ্ধেয় আনিছুল হক শ্যানন সাহেবের ব্যক্তিগত সহকারী এপিএস মনোনিত হয়ে। সবই ক্রমন্নোনী এবং সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদ। ক্ষমতা এবং সুযোগ সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে আসে আর সেটি আসে মানব কল্যাণের তরে এমনকি সৃষ্টির সেবার ব্রতী নেয়ার দায়িত্ব দিয়ে। মাননীয় মন্ত্রীমহোদয় আস্থা রেখেছেন এবং সেই অনুযায়ী তিনি কাজ করে যাচ্ছেন আগামীর সাফল্যনির্ভর শুভ ফলাফলের লক্ষ্যে।
তিনি কসবা ও আখাওড়াকে গুছিয়েছেন নিরপেক্ষতা এবং যোগ্যতা ও মেধার সমন্বয়ে তারুন্যের জ্যোতিময় দৃপ্তিতে। তার মাধ্যমে মাননীয় মন্ত্রীমহোদয় বিস্তার করেছেন ঐ এলাকার প্রতিটি ঘরে এবং প্রতিটি মানুষের মনে। দল মত নির্বিশেষে সবাই এখন মন্ত্রী মহোদয়ের ভালবাসায় মুগ্ধ এবং তাঁর উন্নয়নের সঙ্গি ও সারথী। জনাব এডভোকেট রাশেদুল কাউছার জীবন এখন ঐ এলাকার দ্বিতীয় প্রীয় মানুষও বটে। জীবনের কাছে মানুষের চাওয়া পাওয়া ও মান অভিমান জড়িয়ে আছে।
জনাব জীবন অনেক কষ্টে আজ কসবা ও আখাউড়ার সাধারণ মানুষের হৃদয়ে নিজেকে স্থান করে নিয়েছেন। মানুষ বিশ্বাস করে এবং আস্থা রাখে তিনিই মাননীয় মন্ত্রীর সঙ্গে এই এলাকার মানুষের হৃদয়ের যোগসুত্র স্থাপন করে দিয়েছেন। আর এই জন্য জীবনকে মানুষ সম্মান ও ভালবাসতে এমনকি আবেগে জড়াতে কুন্ঠাবোধ করে না। তাই দলীয় পরিবারের সদস্যদের নিকট আমার আকুল আবেদন ঐ সম্মানীত মানুষটিকে সাধারণের মন থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করবেন না। নিজের ছোট খাট উদ্দেশ্যের বা লাভের আশায় জনাব জীবন সাহেবের সরলতা ও বিশ্বাসকে পুঁজি করে ফায়দা লুটে ঐ ত্যাগী ও কর্মঠ নিলোভ মানুষটির অনেক কষ্টে অর্জিত ভালবাসার ফসল ঘরে তুলতে দেয়াল সৃষ্টি করবেন না। সমাজের অনেক ছোটখাট বা বড় ভুল এমনকি ফ্যাতনা ফ্যাসাদে নিজেকে জড়িয়ে জনাব জীবন সাহেবকে ছোট করবেন না এমনকি তাঁর ভাবমুর্তিও নষ্ট করবেন না।
জনাব জীবন ও এডভোকেট আনিছুল হক এ্ই এলাকার মানুষকে আলোর মুখ দেখিয়েছেন এবং আগামী দিনেও দেখাবেন তাই তাদের আগামীর পথে কাটাসুলভতা এবং বাধা সৃষ্টি করে এমন কাজ করবেন না। সাধারনের সঙ্গে যে যোগসুত্র তৈরী হয়েছে সেখানে কোন বাধা বা দেয়াল তুলতে নিজেকে নিয়োজিত না করে বরং ঐ যোগসুত্রে নিজেকে সংযুক্ত করে একটি পরিবারের ব্যাপ্তি বাড়িয়ে তুলুন। সমাজে ন্যায় বিচার পেতে কাউকে বাধাগ্রস্থ করবেন না বরং ন্যায় বিচার পেতে সহায়তা করুন। যাতে আগামীর ভাবমুর্তি আরো সমুজ্জ্বল হয়। আশা করি অনেকেই এই লিখার সুত্রে গোস্যা হবেন কিন্তু এটি গোস্যা সৃষ্টির জন্য নয় বরং ভালবাসা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভুল সুধরিয়ে ঐক্যের বৃহৎ সুতিকাগারে মিলিত হয়ে সামনের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসেবেই সচেতনতা বৃদ্ধির ও নিজেকে শুধরিয়ে হাতে হাত এবং কাঁধে কাঁধ রেখে এগিয়ে যাওয়ার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।
আমার ব্যক্তিগত কোন চাওয়া ও পাওয়া নেই কিন্তু আছে দলীয় ঐক্য ও বিজয়ের লক্ষ্যে সুনিশ্চিত হওয়ার আকাঙ্খা। মাননীয় মন্ত্রীর বিজয় সুনিশ্চিত এবং এই বিজয় দেখাই আমার প্রথম ও শেষ লক্ষ্য। যা যা করা ও বলা এমনকি বাস্তবায়ন করার প্রয়োজন তাই করব আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে এই আমার ওয়াদা। জনাব জীবন সাহেবের ভাবমুক্তি সমুজ্জল এবং মন্ত্রীমহোদয়ের ভালবাসা সমান্তরালে পৌঁছে দেয়ার যোগসুত্রে শরীক থাকাই আমাদের সকলের দৈনন্দিন চাওয়া – পাওয়া ও আগামীর প্রত্যয়দৃপ্ত অঙ্গিকার হউক।