উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেন না আমাদের প্রধানমন্ত্রী

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ দীর্ঘদিনের দাবি ও সময়ের সময়োপচিত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশের উদীয়মান আইসিটি ইন্ডাষ্ট্রি। তবে সময়ের পক্রিমায় দেরীতে হলেও একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হয়েছেন প্রসংশিত এবং দেশ পেয়েছে একজন যোগ্য হাস্যোজ্জ্বল নেতা। যিনি ভালবাসা এবং উপযুক্ত নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন বিগত দিনগুলোতে। হয়তো হিসেবে একজন মন্ত্রী এবং প্রতিচ্ছবী লাখো তারুন্যদীপ্ত মেধার এবং মেধাসিড়ির সর্বোচ্চ পর্যায়ের আইটি ষ্টারদের। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নকারীদের সমন্বিত এই ইচ্ছার বহি:প্রকাশ আমাদের জব্বার ভাই। আমি তিনি সরকারের মন্ত্রীসভায়। আমরা রয়েছি তার সঙ্গে ছায়সঙ্গি হিসেবে। শুতরাং মোস্তাফা জব্বারের কন্ঠ এবং কাজ সত্যিই সতেজ, উর্বর ও জোরালো। সকল মেধাবিদের মেধার স্ফোরন ঘটাবেন তিনি।
দেশ এগিয়ে যাবে, ডিজিটাল বাংলাদেশ সতেজতায় পাবে আরো গতিময়তা এবং ছন্দ ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় আসবে গতি। নৈরাজ্য ও নেতিবাচকতা এবং দুর্নীতির লাগাম টেনে গতিরোধ করে উন্নয়ত ও সততার গতি তরান্বিত হবে। তার অঙ্গিকারে আবদ্ধ রয়েয়ে আইসিটি ইন্ডাষ্ট্রিজ এবং বিজ্ঞও উদীয়মান তরুনরা। যদিও সরকারের শেষ লগ্নে এসে আমরা পেয়েছি ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়। এই অল্প সময়ে প্রায়োরিটি বা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদী পলিকল্পনার অগ্রগামীতা দ্রুত করা এমনকি অনেকদিনের জঞ্জাল দূরীকরণের কাজে দ্রত সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ সমাপ্ত করা।
basis presint is minister
দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও বন্ধুদের সঙ্গে বেসিস সম্বন্ধনায় বলেন; প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন; আমরা সবাই গর্বীত হয়েছি। আমাদের দায়িত্ব এখন প্রধান মন্ত্রী মুখোজ্জল করা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের গতি বৃদ্ধি করা। সবাইকে বলেন আমি চাই আগের মতো আপনারা সব বিষয়ে সহযোগীতা করুন। আগে আমি বাইরে থেকে আপনাদের কথা বলেছি আর এখন মন্ত্রীসভার ভিতরে থেকেই বলব। আমি অকৃতকার্য হলে আপনারাই অকৃতকার্য হবেন। সুতরাং সফল হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই কাজে ঝাপিয়ে পড়বো।
আপনাদের জব্বার ভাই আপনাদেরই আছে এবং আপনাদেরই থাকব। আমি একদিন ছাত্র হয়ে শিখব এবং দ্বিতীয় দিন থেকে মাষ্টার হিসেবে দিকনির্দেশনা দিয়ে বাস্তবায়নে ঝাপিয়ে পড়বো। সকলের আছে কর্মীবাহিনী আর আমার আছেন এই আপনারা আর আপনাদের মেধা। আমি ব্যতিক্রমভাবেই আগামী কাল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে আগারগাওয়ে অফিস করব। তারপরদিন যাবো বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করতে। সেখান থেকে ফিরে আমি আমার মা ও বাবার কবর জিয়ারত করে ফিরে আসব ঢাকায়। তখন থেকেই কাজে নেমে পড়বো। আমার একশো দিনের একটি সফল কর্মসূচী থাকেব। সেদি বাস্তবায়নে জোর তৎপরতায় এগিয়ে যাব।
সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মন্ত্রণালয়ে (সচিবালয়ে) যেতে যেহেতু পাসের ঝালেমা থাকে সেহেতু আপনার সুবিধার্থে আগারগাঁওয়েই বেশী বসব যাতে আপনারা নিদ্ধিধায় আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা নিয়ে প্রথম ও প্রধান কাজটি প্রথমে শুরু এবং সহজলভ্য করে তুলবো।
সহকর্মী ও বন্ধুরা বললো বেসিসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বও চালিয়ে যেতে। বিভিন্ন উদাহরণও তুলে ধরেন যাতে তিনি ঐ পদে থেকেই সকারের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। তিনি জানেন এই আইটি ইন্ডাষ্ট্রিজ এর মেধাবীরা বা উদ্যোক্তারা সততায় পুর্ন … তারপরও তিনি বলেন আমার ৭১ বছরের সততার অর্জন আমি রক্ষা করবো; দয়া করে কেউ আমাকে দিয়ে অন্যায় কাজ করাতে চেষ্টা করবেন না। আর আমি অন্যায় কাজে সহযোগীতাও করবো না। অল্পদিনের জন্য আমার ৭১ বছরের অর্জন আমি নষ্ট করবো না।       basis presint is minister 1
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব ও তিনি দেন। গতাগতিক এবং হাস্যোজ্জ্বল বাকপটুতায় পারদর্শী জব্বার ভাই বলেন দেখেন এবং আমাকে কাজে মনোনিবেশ করতে দিন যাতে আমি আপনাদেরকে বলতে পারি। সবে মাত্র সফত নিলাম এবং এই দুই-তিন পর আবার কোন একদিন সুযোগ দিব যাতে কি হচ্ছে এবং কি হবে দেখতে ও বলতে পারি। তিনি এও বলেন আমার পাসপোর্টটি এখনো সাংবাদিক পেশায় রয়েছে। হয়তো লাল পাসপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে পেশা পরিবর্তন হবে। সুতরাং আমি আপনাদেরই অধিভুক্ত।
ভাষা নিয়ে আগেও বলেছি; এই ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে আমার ভাইয়েরা আর এই ভাষা আমার মায়ের ভাষা তাই বাংলায় হবে আমার যোগাযোগ মাধ্যম। তবে ইংরেজি এবং অন্য ভাষার অশ্রদ্ধা নয় বরং প্রয়োজনে যোগোপযোগী পদক্ষেপ নিতে ভিন্ন ভাষার ব্যবহারও জরুরী। জাপানী ভাষা জাপানের বাজার দখল বা ব্যাবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে প্রয়োজন; সুতরাং জাপানি ভাষা শেখা যেমন জরুরী তেমনি বাংলা ভাষাও আমাদের সমগ্র দেশের মানুষের জন্য প্রয়োজন। ব্যবসায়ীক প্রয়োজন এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রক্ষার প্রয়োজনে সকল ভাষার প্রতি যতটুকু জানা প্রয়োজন ততটুকুই জানার পক্ষে আমি।
বেসিস ইসি বডি এবং ষ্ট্যন্ডিং কমিটির সদস্য ও মেম্বারগণ এবং পরিচিত ও সাবেক সভাপতিবৃন্ধসহ সম্মানীত বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ উপস্থিত থেকে সম্বন্ধনা অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করে এবং সম্পর্কের যে গভীরতা তা প্রকাশ্য দেখতে ও উপভোগ করতে সহায়তা করে। আমরা জব্বার ভাইয়ের সফতায় অগ্রগামী হবো এবং জব্বার ভাইকে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাবো। শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের সফলতা দেখতে এবং দেখাতে অঙ্গিকারাবদ্ধ থাকবো। প্রধানমন্ত্রীর মুখোজ্জ্বল করাই এখন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সময়ের গতিকে আরো বাড়াতো আমাদের মেধাকে আরো গতিশীল করে তুলবো।
পরিশোষে বলতে চাই জব্বার ভাই এগিয়ে যাও; তোমার বুদ্ধির সৈনিকরা প্রস্তুত তোমার প্রয়োজনীয় যোগান দিতে। জয় অবধারিত হবে ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.