মিথ্যার করাল ঘ্রাস থেকে এখনো আমরা বের হয়ে আসতে পারিনি। অনুমান নির্ভর কথা বলা ও পথ চলা থেকেও বের হয়ে আসতে পারিনি। সন্দেহ করা বা সন্দেহ পোষণ নীতি থেকেও পুরোপুরি বের হয়ে আসতে পারিনি। তাই বলে কি আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ও জীবনের চাকা এগুচ্ছে না? হ্যা সবই হচ্ছে তবে আরেকটু ভাল হতো যদি আমরা ঐসকল শৃঙ্খল থেকে বের হয়ে এসে একটি সম্বৃদ্ধ ঐক্য এবং মুক্ত বাতায়নের আবহে এগিয়ে যেতে পারতাম। তবে আমি আশাবাদি মানুষ হিসেবে আশা করতেই পারি যে, আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে বের হয়ে আসতে পারবো।
কারণ এখন ডিজিটাল যুগ আর এই যুগে সত্য এবং মিথ্যা দুটোই পরখ করা যায়। কেউ যদি মিথ্যা বলে বেড়ায় তাহলে সেই মিথ্যার গুজব বেশীক্ষণ স্থায়ী হয় না বরং এর বিষবাস্প ফুরিয়ে গিয়ে সত্য প্রকাশিত হয় এবং সেই সত্য আবার মানুষের কাছে ছড়িয়ে যায় এই ডিজিটাল সংস্কৃতির উপকরণের মাধ্যমে। যা সহজেই মানুষ বুজতে পারে এবং সেই অনুযায়ী জীবন চলার দিশা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। মিথ্যার গুজব আর গুঞ্জন যে ক্ষতিটুকু করেছে সেই ক্ষতিটুকু পুষিয়ে নিতে আমরা পিছনে না ফিরে বরং সামনে এগিয়ে যেতে পারে নতুন উদ্যমে। পিছনের শিক্ষা আমাদেরকে সামনের কঠিন পথকে সহজে পরিণত করতে সহায়তা করে মাত্র।
অনুমানের গুজব কিন্তু নিজেদেরকেই শেষ করে দেয়। তাই অতি উৎসাহি হয়ে মিথ্যার গুজব ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে অনুমানের উপর নির্ভও করা উচিত নয়। আমাদের সমাজে, পরিবারে, রাজনীতিতে সর্বত্রই যেন অনুমানের ছড়াছড়ি। তাই এখনই সময় এই অনুমান নির্ভরতা থেকে বের হয়ে আসার। আমরাই পারি; আমরাই পারব এবং নিজেদেরকে যোগ্য করে আগামীর জন্য প্রস্তুত হব। এই দৃঢ়তা ও বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বাস্তবে রূপ দিতে হলে সেই পুরোনো ধাচের অনুমান নির্ভরতাকে দুর করতে হবে। অনুমানের উপর পা দিয়ে বাস্তবতার নিরীখে অবলোকন না করে কোন কাজ, চিন্তা এবং পদক্ষেপ ও আপরের নিন্দা বা অমঙ্গল বার্তার গুঞ্জন বা গুজব ছড়ানো চলবে না। বরং বাস্তবতার নিরিখে নিজের আত্মবিশ্বাস ও সৃষ্টিকর্তার দেয়া প্রদত্ত জ্ঞান ব্যবহার করে কাজ করে যেতে হবে।
সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে এই দুরারোগ্য ব্যাধিটি মরন কামর দিয়ে সামাজিক ও পারিবারিক ব্যবস্থাটি আষ্টে পৃষ্টে বেধে রেখেছে। আমাদের উচিত এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গণজোয়ার সৃষ্টি করা এবং সমাজ ও সংসারে প্রতিনিয়ত গুজব ও গুঞ্জন বর্জন করে অনুমানের ভিতকে ধ্বংসে পরিণত করা। তাহলেই শান্তির বাতায়ন দোলা দিবে আমাদের সমাজে এবং পরিবারে। আর এই বাতায়নের আশ্রয়ে থেকেই বয়োবৃদ্ধি পাবে আমাদের আগামীর সকল জল্পনা ও কল্পনা। এই জল্পনা ও কল্পনার প্রকম্পনে সুদৃঢ় বৃত্তির উপর দাঁড়াবে আমাদের আগামী সুনিশ্চিত স্থীতিশীল শান্তির, নিশ্চয়তার এবং অফুরন্ত সম্ভাবনার দ্বার।
লোভ এবং লালসা এই দুটিই কিন্তু একত্রে কাজ করে মানুষের মননে এবং প্রকাশ পায় গুজব ও গুঞ্জনের আবর্তে এবং সুবিশাল পরিসওে শক্তিধর ক্ষমতার সীমারেখায়। কিন্তু সেই স্থান থেকে নামানো বা সরানোর নুন্যতম চেষ্টাটুকু করা থেকে কেন আমরা আজ বিরত? জানিনা তবে বুঝতে পারি কেউ এর উর্ধে উঠতে চায় না বা সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস ও নির্ভরতা রেখে অমঙ্গলের ছায়া তাড়ানো পছন্দ করে না। যদি করতে চায় তদোপরি মনের জোর ও বিশ্বাস ঘাটতি রেখে কাজে নামে তাই মাঝপথে হয় স্বপ্ন ভঙ্গ না হয় জীবনের অপুরণীয় ক্ষতি। তাই বলতে হয় আগে উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছান এবং চারিপাশের সব কিছুই দেখেন ও বুঝেন এবং সর্বশেষ সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রেখে তাঁর কাছ থেকে কিছু আশা করে বলতে শুরু করেন; দেখবেন তিনি আপনাকে সহায়তা করবে এবং সকল অসম্ভবকে সম্ববে পরিণত করার সহজ উপায় দেখাবে এমনকি সফল হতে সহায়তা করে বাস্তবে দেখতে ও উপভোগ করতে সকল ব্যবস্থা করে দিবেন।
বিচারের আগে বা রায় ঘোষণার আগে রায় নিয়ে কথা বলা আইনত ঠিক নয় এবং বিবেকের শুদ্ধতার মানদন্ডেও বেঠিক। তাই সচেতন, সমযত এবং সাবধান হওয়া ছাড়া আর কিই বা করার থাকে এই জীর্ণ শির্ণ দেহাবশেষের আকৃতিগত মানুষজনদের।
নির্বাচন নিয়ে; দুর্নিতী ও সন্ত্রাস নিয়ে এমনকি একজন সম্মানিত মানুষকে হেনস্তা করার লক্ষ্যে মিথ্যার উপর বা অনুমানের উপর ভর করে গুঞ্জন ও গুজব রটানের পায়তারা বা বাস্তবতা থেকে বের হয়ে নতুন কোন ইতিবাচক গন্তর্বের দিকে আগানো এখন সময়ের দাবি।
একটি বিষয় আরো স্পষ্ট যে সাদা মনের স্বচ্ছ মানুষটি আজ অসুস্থ কিন্তু মিডিয়ার মাধ্যমে যেভাবে গুজব আসছে তার অসুস্থ্যতা সম্পর্কে। সেখানেই আমাদের প্রশ্ন? কেন ডিজিটাল যুগে এসে এনালগ আমলের ফর্মুলায় গুজব চলছে। এই আশরাফ সাহেব সম্পর্কে কথা বলা বা লিখার আগে একবার বিবেকের সঙ্গে কথা বলে লিখা দরকার ছিল। কেন আমার মিথ্যার উপর ভর দিয়ে চলতে গিয়ে সমস্ত মিডিয়াকেই কলঙ্কিত করে যাচ্ছি। সৈয়দ আশরাফ ভাই ভাল আছেন এবং ঠান্ডা জনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি প্রতিদিনই প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে যাচ্ছেন। ওনার ভাবি সমস্ত কিছুর সত্য প্রকাশ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই মিডিয়ার মাধ্যমেই। আমার বিশ্বাস ও আশা আগামী দিনে কেন মিথ্য বিরাজমান থাকবে না। তখন সত্যই মানুষের নিত্য দিনের সঙ্গি হবে।
শুধু যে উল্লেখিত অংশে মিথ্যা ছড়াই নি কিন্তু এই সত্য উৎগাটন সত্য নয়। বরং সত্যের আড়ালেও মিথ্যা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে হচ্ছে। আসুন আমরা গুজব থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করি ও সত্যের প্রতি আনুগত্য থেকে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস ও নির্ভরতা নিয়ে পথ চলি।