আবদুল আখের॥ পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের বিএনপি- জামায়াতের ২০০ ক্যাডারকে খুবই গোপনীয়তার সঙ্গে ছয়মাস মেয়াদি কমান্ডো ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। তাদের সাথে আফগানিস্তানে ট্রেনিংপ্রাপ্ত শিবির ক্যাডাররা এবং জেএমবি, হুজিসহ উগ্রবাদী দলের জঙ্গিরাও যুক্ত হয়েছে।
গত জুলাই থেকে করাচীতে উগ্রপন্থী দলের সদস্য, ছাত্রদল, যুবদল, শিবির ক্যাডারদের গুপ্তহত্যা, গুম, অপহরণ, হালকা ও মাঝারি অস্ত্রচালনা এবং বোমা তৈরী ও নিক্ষেপ ইত্যাদি ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।
ইলিয়াস আলীর গুম হওয়ার পেছনে এ চক্রটি কাজ করেছে বলে গোয়োন্দারা তথ্য পেয়েছে। বিএনপির ডাকা হরতালে ব্যাপক বোমাবাজি, াীগ্নসংযোগ, পুড়িয়ে মানুষ হত্যাসহ ধ্বংসাত্মক কাজে এ মিশনটি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। উল্লেখ্য এ মিশনের অর্থের যাগান দিয়েছে আইএসআই এবং তারেক রহমান। তারেকের অনুগত ২জন এ সন্ত্রাসী মিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেছে।
এসব ক্যাডার রাজনীতিবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের হত্যা ও গুম করার জন্য তালিকা তৈরী করে গত ফেব্রুয়ারী থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছে। এখন এই পাকিফেরত ক্যাডার সন্ত্রাসীদের খুজে বের করে আইনের আওতায় আনা এবং প্রয়োজনে সংশোধনাগারে রেখে পরিবর্তন এবং উন্নয়ন কাজে অংশগ্রহন করানো উচিত। এই ধরনের সন্ত্রাসী এবং জেল খানার কয়েদিদের দেশের উন্নয়নে শরীক করে অর্থনীতির চাকাকে আরো সচল ও বেগবান করা দরকার।
দেশবাসীসহ আইন শৃঙ্খলাবাহীনীর সকল সদস্যদের এই বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রেখে কাজের ফলাফল দেশবাসীকে জানানো প্রয়োজন। নিরাপত্তা ও শান্তি- শৃঙ্খলার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে অগ্রসর হওয়া এবং জান মাল ও সম্পদের হেফাজত করাই এখন মুখ্য বিষয়ে হয়ে দাড়িয়েছে।
দেশবাসীর সচেতনতা এবং একাগ্রতা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যের গণজোয়ারই দেশের সুনাম এবং সম্পদ ও জান-মাল রক্ষার একমাত্র হাতিয়ার। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যা পারেনি বাংলাদেশ তা পেরেছে, এবং করে দেখিয়েছে। অতীতের ঐ দৃঢ় মনোবল এবং কঠোর অবস্থান সামনের আরো কঠিণ দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। মাথা উচু করে দাড়ানো বাংলাদেশ আর পিছু হটবে না বরং সামনে এগুবেই। সকল সন্ত্রাসী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ধ্বংস হবে এবং মানুষ নিশ্চিন্তে বসবাস করবে এটাই হবে দেশর নতুন সমৃদ্ধি।