তাজুল ইসলাম নয়ন॥ বিগত কয়েকদিন অনলাইন এবং প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে ডিপার্টমেন্ট তথা ব্যক্তিগত সুখ্যাতি অর্জনকারী এই পুলিশ কর্মকর্তা দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কিন্তু বহুপূর্ব থেকেই আমি ব্যক্তিগতভাবে ওনাকে চিনি ও জানি। ওনার সততা এবং আন্তরিকতা এমনকি কাজের প্রতি বিশ্বস্ততা আমাকে মুগ্ধ করতো। আমি প্রায় সময়ই অন্য থানার ওসিদেরকে উদাহরণ হিসেবে এই শাহিস সাহেবের কথা দৃষ্টান্ত স্বরূপ বলতাম। গত মাসে একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট ছাপাতে গিয়ে ঐ কর্মকর্তাসহ আরো অনেকের নাম বাদ দিয়ে বাকিগুলি ওল্লেখ করেছিলাম। আজ আমি আনন্দিত এবং স্বার্থক কারণ ঐদিন যে নামটি বাদ দিয়েছিলাম সেই নামটি অলংকৃত করা মানুষটি আমার সম্মান বৃদ্ধি-ই করেনি বরং আগামী দিনে আরো ঝুকিপূর্ণ কাজে উৎসাহিত করেছে। 0
আদাবর থানাকে অলংকৃত করেছে এবং ঐ এলাকার মানুষকে নিরাপত্তা ও পুলিশের প্রতি বিশ্বাস এমনকি ভাবমূর্তি ফিরিয়ে এনে পুলিশ ও সাধারণ জনগণ এক কাতারে সমান্তরালভাবে কাজ করতে দৃষ্টান্ত পরিলক্ষিত হয়েছে। জনাব শাহিন সাহেব অফিসার ইনচার্জ হয়েছে যে দৃষ্টান্তগুলি দেখিয়েছেন তার যৎসামান্যই আমরা জেনেছি আরও অনেক ভাল ও জনবান্দব কাজের দৃষ্টান্ত আমরা জানি। এই মানুষটিকে আল্লাহ আরো অনেক উপরে পৌঁছে মানব সেবার ব্রতীতে দৃষ্টান্তের ছাপ রাখুক। আর তার মনোস্কামনা পুরণে তাদের দাম্পত্য জীবনে সুখের ও শান্তির নিরবচ্ছিন্ন বাতায়ন বয়ে যাক। আগামীতে এই কর্মকর্তার জীবন হউক উজ্জল এবং সমাজের উপকারভোগীর ভরসার স্থল।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে গড়া এই কর্মী বাহিনীর অগ্রযাত্রায় আমরা শরীক থাকতে চাই বিভিন্ন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও কার্যক্রমে।
এই সাহসী, অসাধারণ মেধার স্বাক্ষর বহনকারী ব্যক্তিটির সম্পর্কে যা পত্র-পত্রীকার মাধ্যমে জানলাম তা নি¤েœ খুবখু তুলে ধরলাম এই প্রশান্তির পাতায়:-
রাজধানীর আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোঃ শাহীনুর রহমানের আন্তরিকতায় অভিনব কায়দায় হাতিয়ে নেওয়া অর্থ উদ্ধার! বিস্তারিত তথ্য আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জের ফেসবুক আইডির পোস্ট থেকে হুবুহু তুলে ধরা হল- “আন্তরিকতায় গত ২৮/০২/২০১৮ ইং তারিখ বিডি পুলিশ হেল্পলাইনে একটা পোস্ট দেখতে পাই, পোস্ট টি হল যে একটি ছেলে বিক্রয় ডট কম এ এ্যাড দিয়েছে সে আই ফোন ৬ এস একটা মোবাইল সেট বিক্রয় করবে। উক্ত এ্যাড দেখে উত্তরা থেকে নেওয়াজ নামে এক ছাত্র তার মোবাইল ফোনটি ক্রয় করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। নেওয়াজ বিজ্ঞাপন দাতার সাথে যোগাযোগ করলে সে তাহাকে আদাবর থানাধীন টোকিও স্কয়ার এ আসতে বলে। তার কথা মত সে ইং ২৭-০২-২০১৮ তারিখ সন্ধ্যার সময় তার এক বন্ধু সহ উত্তরা থেকে টোকিও স্কয়ার এ আসে। তখন বিজ্ঞাপন দাতাও তার এক বন্ধুসহ টোকিও স্কয়ারে আসে। আসার পর নেওয়াজ মোবাইল সেট দেখতে চাইলে সে বলে যে আই ফোন নাই, স্যামসং নোট এইট আছে এটা সে বিক্রয় করবে। তখন নেওয়াজ বলে যে, এত টাকা তার কাছে নাই। উক্ত সেট সে ক্রয় করবে না। তখন সে বলে যে আপনার কাছে যে টাকা আছে ওটা দেন, বাকী টাকা পরে দিলে হবে। তারপর সে ৩৬০০০ টাকা বিজ্ঞাপন দাতার হাতে দেয়। টাকা নিয়ে সে বলে যে ছয় তলায় চলেন ওখানে আমার বাবার মোবাইলের শোরুম আছে সেখান থেকে চার্জার দিবো। মুলত ছয় তলায় তার বাবার কোন শোরুম নাই। পরে সে ছয় তলা থেকে নিচে নেমে আসে সাথে সাথে নেওয়াজ ও তার সাথে আসে। এক পর্যায়ে সে বলে যে তার মোবাইল থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট নিতে হবে, এই কথা বলে সে জাপান গার্ডেন সিটির মধ্য ঢুকে যায় এবং নেওয়াজ কে ভয় দেখায়ে বলে যে, তুই যদি এখান থেকে চলে না যাস তাহলে তোকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে ডিবি পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিবে। তখন নেওয়াজ পাশে থাকা আনসারদের হেল্প চায়। আনসার সদস্যরা তাকে ধরার চেষ্টা করলে সে ১৮০০০ টাকা ছুড়ে ফেলে বাকী ১৮০০০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। উক্ত বিষয়ে নেওয়াজ বিডি পুলিশ হেল্প লাইনে একটা পোস্ট দিয়ে পুলিশের সাহায্য চায় এবং আরো লিখে যে পুলিশেরর কাছে অভিযোগ দিলে কোন উপকার তো পাবে ই না বরং আরো হয়রানি হতে হবে বলে তাকে অনেকে জানিয়েছে। তারপর ও সে পোস্ট দিয়ে হেল্প চায়।
পোস্টটি আমার নজরে আসলে আমি যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে এ্যাড দেওয়া হয়েছিলো উক্ত নাম্বার টি ফেসবুকে সার্চ দিয়ে আকাশ নামে একটা আউ ডি পাই এবং উক্ত আইডি এর সাথে মোহাম্মদপুর থানার আওয়ামীলীগ এর একজন নেতার সাথে মিউচুয়াল ফ্রেন্ড দেখতে পাই। আমি তখন ঐ নেতাকে ফোন দিয়ে বলি যে আপনি আকাশ নামে কাউকে চিনেন কিনা। সে আপনার মিউচুয়াল ফ্রেন্ড। তাকে মোবাইল নাম্বার টা ও দেই। কিছু সময় পর সে আমাকে জানায় যে, আকাশ তার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। আমি তাকে বলি যে, আপনি সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে থানায় আসেন। সন্ধ্যায় আকাশ সহ তার বাবাকে নিয়ে থানায় আসলে আমি নেওয়াজ কে ভাইবারে ফোন দিয়ে উক্ত আকাশ কে শনাক্ত করাই। তখন আকাশ ও নেওয়াজ উভয়ই দুজন দুজনকে শনাক্ত করে এবং আকাশ ঘটনার বিষয়ে স্বীকার করে। এক পযার্য়ে আকাশের পিতা উক্ত ১৮০০০ টাকা ফেরত দেয়। গতকাল উক্ত নেওয়াজ এসে ১৮০০০০ টাকা ফেরত নিয়ে যায়।
যে লোকটি হয়রানির ভয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে নাই। বিডি পুলিশ হেল্প লাইনে একটা পোস্ট দিয়ে পুলিশেরর সহযোগীতা কামনা করে থানায় না এসে, পুলিশ তার টাকা উদ্ধার করে তাকে ফোন দিয়ে বলে টাকা নিয়ে যেতে।
পাঠক আপনারাই বিচার করেন এরপর ও পুলিশ খারাপ। পুলিশ আর কিভাবে আপনাদের উপকার করলে আপনারা পুলিশ কে ভাল বলবেন, পুলিশের ভাল কাজের প্রশংসা করবেন আমার জানা নেই। সবাইকে ধন্যবাদ। নেওয়াজ এর ফোন নং-০১৬২৭৯৩৯০৬৩