আওয়ামী লীগ আগামী সরকার গঠনে শতভাগ নিশ্চয়তা

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ আগামী সরকার কে গঠন করবে তা নিয়ে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই। ১০০শত ভাগ নিশ্চয়তা দিয়েই বলা যায় আগমী লীগই আগামী সরকার গঠন করতে যাচ্ছে এবং আগামীর সরকার প্রধানও হবেন আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের উন্নয়ন + জনগণ এবং কুটনৈতিক কৌশল একহয়ে বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়ে এখন মিশেগেছে নেতৃত্বগুণের উদারতা ও স্বচ্ছতা এবং জবাদিহীতার ন্যায়পরায়নতায়। সন্ত্রাস নৈরাজ্য দমনে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন এবং অপরাজনীতি মোকাবেলায় কঠোরতা ও ফলাফলে সফলতা আজ বিশ্বস্বীকৃত। এই সফলতার জোয়ারেই এখন আগামীর নির্বাচন ও সরকার গঠন এমনকি পরবর্তী ভিশন ৪১এর রূপদান নির্ভর করছে। tajul in dest s
আন্তর্জাতিক বলয়ের ধারবাহিকতা রক্ষা এবং ভারত সরকারের একচেটিয়া সমর্থন ও টিকে থাকার লড়ায়ের সমঝোতাসহ যাবতীয় দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান দৃষ্টিভঙ্গিই যেন আগামীর সরকার গঠনে শতভাগ সফলতা এনে দিয়েছে। সকল কুসংস্কার এবং মিথ্যা ও নেতিবাচক প্রচারণা এখন হিতে বিপরীত হয়ে কাটা ঘাতে নোনের ছিটার মত আঘাত করে যাচ্ছে। পুরাতন দল ও অভিজ্ঞতায় শতভাগ উর্তীর্ণ আওয়ামী লিগের রাজনীতির কাছে এমনকি কৌশলের কাছে আজ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো ধরাশায়ী। বিশেষ করে বিএনপি এবং জামাতের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটিয়েছে। আর যারা এখনও ছাগলের তিন বাচ্ছার ন্যায় লাফাচ্ছে (বিশেষ করে দুটি দুধ খেয়ে আর একটি না খেয়ে লাফাচ্ছে)। এই খাওয়া অংশের মৃত্যু, দাফন এবং কঙ্কালষার হাড্ডি ধুলিষ্যাৎ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। আর যেই বাচ্ছাটি না খেয়ে লাফাচ্ছে সেটিও পুষ্টিহীনতার অভাবে এখন ছটফঠ ছটফঠ করে মরণ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। এহেন অবস্থায় আওয়ামী লিগের বিকল্প একমাত্র আওয়ামী লীগ।
রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং বিচক্ষণতা ও দুরদর্শীতার কবলে পড়ে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হয়েছে। জ্ঞানশুন্য ও মেধাশুন্য মিথ্যানির্ভর রাজনীতির কবর খুড়ে দিয়েছেন জনাব মি: পার্সেটিজ নিজেই। আসলে এই পার্সেন্টিজ শব্দটি এসেছে সাবেক আমেরীকার কুটনৈতিক জনাব ডেন জব্লিও মর্জিনার কাছ থেকে। তিনি প্রায়শই জনাব তারেক রহমান এর খোজ খবর নিতেন এবং এখন পরিচিতজনদের কাছ থেকে নেন। তখন তিনি মি. পার্সেন্টিজ হিসেবে সম্বোধন করতেন এবং করেন। জনাব এম্বাসিডরের সহিত বিভিন্ন প্রয়োজনে মিটিং এবং কোন অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎ ঘটলেই তিনি এই বাক্যটির মাধ্যমে খোজ খবর নিতেন। আসলে ওপাধি মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং সম্মান বৃদ্ধি করে। কিন্তু এক্ষেত্রে হয়েছে উল্টোটা। সম্মানতো বৃদ্ধি করেইনা বরং সকল অর্জন বিনষ্ট করেছে। তিনি কোনদিন আমেরীকায় যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেই ব্যবস্থাও জনাব মর্জিনার মাধ্যমে পাকাপোক্ত করা হয়েছিল।
সর্বোপরি সকল অনিশ্চয়তাকে কাটিয়ে উঠে এখন নিশ্চয়তার সুউচ্ছ শীখরে অবস্থান করে এগিয়ে যাচ্ছে আগামী নির্বাচন এ বিজয় সুনি:শ্চিত করে দেশবাসির সেবার আকাঙ্খায় এবং উন্নয়ন গতির ধারাবাহিকতা রক্ষায়। আমরা এই সরকারের আমলে জাতীয় নির্বাচন থেকে ইউনিয়ন পরিষদ (স্থানীয় সরকার) নির্বাচন পর্যন্ত দেখেছি। প্রতিটি নির্বাচনেই নতুন কিছু শেখার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার করে রেখেছিল। যার থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর রাজনীতি পরিচালিত হয়। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো কেউ এর থেকে কোন শিক্ষা নেয়নি বরং উল্টো চিন্তায় উল্টো পথে হেটে সময় ক্ষেপন করেছে মাত্র। যার মাশুল গোনা শুরু হয়েছিল ৪ বছর আগে। আর এখন অনুশোচনাসহ ফিরে আসার কোন সুযোগ বা পথ অথবা উপায়অন্তর না দেখে হতাশায় নিমজ্জিত।
সদ্য রংপুরের সিটি নির্বাচন একটি কৌশল মাত্র। লক্ষকোটি কৌশলের মধ্যে রংপুরেরটি ছিল অতি ক্ষুদ্রতম একটি। এই কৌশলেই ধরাশায়ি সকল শিশুসুলভ অপরিপক্ক দেশীয় ও বিশ্ব রাজনীতি। যাই হোক হোশহীনদের হুশকল্পে এই দৃষ্টান্তটি একটি জটিল স্বচ্ছ, জবাবদিহী এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উজ্জ্বø দৃষ্টান্ত। যেখানে জনগণ তাদের নিজ নিজ ভোট প্রদান করেছে এবং বিরোধী দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করে প্রমান রেখেছে। সরকার এবং নির্বাচন কমিশন সকল জবাবদীহির উদ্ধে থেকে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেছিল। য়ার ফলশ্রুতিতে বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গির আরো বিশ্বাসযোগ্যতা এবং দেশবাসীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। তিন বাহিনী, পুলিশ, বিডিআর, আনছারসহ অন্যান্য অফিস-আদালত আজ নিজস্ব স্বকীয়তায় এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদীহিতায় পরিপূর্ণ। প্রত্যেকের কল্যাণের নিমিত্তে এবং প্রয়োজনীয় চাহিদার যোগানে সরকার আন্তরিকতার সহিত সফল কাজের দৃশ্যমান বাস্তব দেখিয়ে আস্থা অর্জনে শতভাগ সফল হয়েছে। যেখানে কোন অসন্তোষ বা দ্বিমত পোষণের সুযোগ নেই। তাই সরকারী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কর্মচারী এবং বেসরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একত্রে মিলেমিশে জনগণকে সম্পূর্ণ সহযোগীতা করে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারকে যে বিজয়ী করতে এতে কোন সন্দেহ নেই।
সবাই এখন বুঝে গেছে যে, শেখ হাসিনা হলো সকলের উচ্ছাকাংখী আশার বাস্তব প্রতিফলন এবং একজন অতি কাছের আপনজন গার্ডিয়ান। তিনি সকলের মঙ্গলার্থেই কাজ করে যাচ্ছেন এবং কাউকে বঞ্চিত করে নয়। সকল সঙ্গে নিয়ে একসাথে এগুতে যা যা প্রয়োজন তার সব স্বাক্ষরই রেখে যাচ্ছেন। নিন্দুকদের বেলায় হয়তো এই বিষয়টি একটু দৃষ্টিকটু হতে পারে কিন্তু নিরপেক্ষ এবং একক একাকিত্ব সময়ে ঠিকই উপলব্দি করে নিরবে প্রসংসায় ভাসায়। সেই ক্ষেত্রে হয়তো খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের পরিবর্তন এবং শিকড়ের সঙ্গে প্রত্যাপন আকারে যুক্ত হয়ে জাতীর উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে। কারন সরকার এবং সরকার প্রধান তাদের কল্যাণেও কাজ করে যাচ্ছেন। তাদেরকে বাদ দিয়ে তিনি নয় বরং একসেঙ্গ নিয়েই তিনি।
সার্বিক দিক বিবেচনায় এবং গভেষনায় প্রতীয়মান হয়েছে আগামী সরকার হবে শেখ হাসিনার সরকার। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক জরিপ ও গভেষণা প্রতিষ্ঠানেরও একই মত এবং যুক্তি। তাই ইতিবাচক মনোভাবে এগিয়ে আসুন জাতির উন্নয়ন এবং চলমান স্বীকৃতির ধারবাহিকতা রক্ষায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.