ইসরাত জাহান লাকী॥ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীদের পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য ব্রিটেনের এক আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছে দলটি। তিনি খালেদা জিয়ার ৩৬টি মামলায় পরামর্শ ও সহযোগিতা করবেন।
গত মঙ্গলবার (২০ মার্চ) দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় মির্জা ফখরুল জানান, বিদেশী এ আইনজীবীর নাম লর্ড কারলাইল। ব্রিটেনে যারা আমাদের রাজনীতির সমর্থক রয়েছেন তাদের সাথে আলোচনা করে এ ব্রিটিশ আইনজীবীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ হাউস অব লর্ডসের স্বতন্ত্র সদস্য কারলাইল ব্রিটেনের শীর্ষ আইন বিশেষজ্ঞদের অন্যতম। পোলিশ ইহুদি অভিবাসী পরিবারে তার জন্ম ১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে আইনে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন ১৯৬৯ সালে। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তিনি ‘কুইন’স কাউন্সেল (কিউসি)’ নিযুক্ত হন। লর্ড কারলাইল একজন ব্যারিস্টার এবং লন্ডনের শীর্ষস্থানীয় ব্যারিস্টারদের চেম্বার ‘ফাউন্ড্রি চেম্বারসের সাবেক প্রধান।
কারলাইলের নিয়োগ প্রসঙ্গে বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলার মধ্যে একটি মামলায় বেআইনি ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। লর্ড কারলাইল দীর্ঘদিন ধরে আইনি পেশার পাশাপাশি রাজনীতির সাথেও জড়িত। লর্ড কারলাইল খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনায় আইনজীবী টিমের সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরে আনন্দিত। এখন থেকে লর্ড কারলাইল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মামলায় পরামর্শ ও সহযোগিতা করবেন। প্রয়োজনে তিনি বাংলাদেশেও আসবেন।
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গত সপ্তাহে ব্যক্তি উদ্যোগে বাংলাদেশ বিষয়ক সেমিনার আয়োজন করে আলোচনায় এসেছেন লর্ড কারলাইল। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা অংশ না নেওয়ায় সেটি কার্যত বিএনপি ও জামায়াতের একতরফা অভিযোগ জানানোর মঞ্চে পরিণত হয়। এছাড়া ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের শুরু থেকেই কারলাইল ছিলেন তার বিরোধী। ২০১২ সালের ২৫ নভেম্বর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সমালোচনা করেন তিনি। ট্রাইব্যুনালের ভূমিকাকে ‘প্রতিশোধমূলক’ বলে অভিযোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকা ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মতো ‘ন্যায়বিচার ও পুনর্মিলনের নীতি’ অনুসরণ করার আহ্বান জানান কারলাইল।