ইসরাত জাহান লাকী, ফেসবুক সংস্করণে॥ ঢাকা শিশু হাসপাতালে হার্টের অপারেশনের নামে চলছে ডাক্তার নামধারী নরপশু (খলিফা মাহমুদ তারেক) এর শিশু হত্যা, এবং স্বজনদের টাকা লুট, যার হাত থেকে বাদ পরেনি আমার ছোট্ট মেয়ে লাফিজা জান্নাত (রাছা)। ওর হার্টের ছিদ্র ছিলো, বয়স ছিলো আরাই বছর, ওকে দেখানোর জন্য শিশু হাসপাতালে নিলে ডাক্তার বলে ওর অপারেশন করাতে হবে, দ্রুত টাকা ব্যাবস্থা করে নিয়ে আসেন, তা না হলে বেশিদিন বাচবে না। একসপ্তাহের মধ্যে অপারেশনের টাকা ব্যাবস্থা করে ওকে ভর্তি করি এবং সব টাকা জমা দিয়ে দেই, অপারেশনের তারিখ দেয় ২৮/০৩/১৮ইং রোজ বুধবার সকাল ১০ ঘটিকার সময়, এর আগে ওর পরিক্ষা নিরিক্ষা করার জন্যে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন টেস্টের জন্য রক্ত নেওয়া আরো অন্যান্য পরিক্ষা সম্পূর্ণ করা হয় তখন ২৭/০৩/১৮ইং রোজ মঙ্গলবার অপারেশনের আগের দিন ডাক্তার নামক পশুকে আমি জিজ্ঞেস করি স্যার আমিকি তাহলে রক্তের ডোনার আনবো; কালতো ওর অপারেশন, তখন ডাক্তার বলে কাল হয়তো অপারেশন করানো সম্ভব হবে না, ওর রক্তের প্রেসার কম, দেখি কি করা যায়। আমি কেবিনে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে আছি হটাৎ ১ ঘন্টা পর নার্স আমাকে ডেকে পাঠায়, বলে যে ডাক্তার ফোন দিয়েছিলো, বললো অপারেশন চলবে, রক্তের প্রেসার ঠিক আছে। একজন বাবা হিসাবে আমার প্রশ্ন ১ঘন্টার মধ্যে কি এমন চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছিলো যে রক্তের প্রেসার ঠিক হয়ে গেলো? নাকি ডাক্তার নামক কসাই ভেবেছিলো অপারেশন না করলে তো টাকাটা পাবো না কোনটা? একটি ভিডিও দিলাম ভিডিওতে ডাক্তার নিজের মুখে বলেছিল, যে প্রথমে ঠিক ছিলো না পরে আবার দেখি ঠিক আছে, পরের দিন সকাল ৮:৪০ এর দিকে ডাক্তার নামক কসাই আমার মেয়েটাকে নিয়ে যেতে লোক পাঠায়, আমি ওকে কোলে করে নিয়ে যাই। ও আমার কোলেই ছিলো, আমাকে শিশু হাসপাতালের ৫ম তলায় নিয়ে যাওয়া হয়, মামনিটি আমার কোলেই ছিলো, আরেক ডাক্তার নামক পশু আমার কোলে থাকা অবস্থায় ওর হাতে ইনজেকশন দিয়ে দেয়। ও তখন জোরে চিৎকার দিয়ে উপর দিকে ঝাকুনি দেয়, এবং অচেতন হয়ে আমার কোলেই লুটিয়ে পরে। নরপশু ডাক্তার কে বাবা হিসাবে আমি জিজ্ঞেস করলে বলে এটা নাকি ঘুমের ইনজেকশন। ঘুমের ইনজেকশন কি এভাবে গরুরমতো করে দেয়? অপারেশন করানোর আগে নাকি দিতে হয় এ ইনজেকশন, আমাদের ওখানে অপেক্ষা করতে বলা হয়। অপারেশন সময় চলাকালিন বাহিরে আমরা বসে থাকি, দুপুর ২টার মধ্যে আমার মামনির হত্যাকান্ড নামক অপারেশন শেষ হয়। ডাক্তার নামক নরপশু কিছুই বলে না, আরেকজন অটিতে থাকা লোককে জিজ্ঞেস করি ভাই কি অবস্থা বললো ৫টার পর ওর জ্ঞ্যান ফিরবে, ৫টা বেজে ৬টা চলে যায় ৭টার দিকে আমি নিজেই ভিতরে ঢুকি, ডাক্তার নামক পশুকে জিজ্ঞেস করি স্যার কি অবস্থা? ডাক্তার নামক কসাই আমাকে বলে যে ঘুম পারতেছে যতো ঘুম পারবে ততো ওর জন্য ভালো। কিন্তু এটাই যে মামনির শেষ ঘুম হবে জানা ছিলো না। ওকে ততক্ষনে লাইভ সাপোর্টে রাখার নাটক চলছিলো বুঝতে পারিনি, পরেরদিন সকালে গেলেও বলে যে ঘুমপারতাছে ভালো আছে, দুপুরের দিকে বলে যে ওর প্রেসার কম প্রেসার বারতাছে না, রক্তের প্রেসার যেখানে ৭০ভাগ থাকার কথা সেখানে ৩০/৩২, তখন বললাম তাহলে অপারেশন কেনো করলেন? ডাক্তার নামক পশু তার সঠিক জবাব দিতে পারেনি। ডাক্তার নামক পশু বেলা তিনটার আগেই হাসপাতাল থেকে চলে যায়। আমি আরেক পশু ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলে বলে যে স্যারতো চলে গেছে আর কালকের ছুটি নিয়েছে। আমি তখন কি করবো এদিক ওদিক ছুটোছুটি করতে ছিলাম, হটাৎ আবার আইসিউর ভিতরে যাই। গিয়ে দেখি আই সিউর ভিতরে আমার মামনি শুয়ে আছে ওর নাক দিয়ে রক্ত আসছে, ভিতরে একজন নার্স ছারা আর কেও নেই। থাকবেই বা কেনো? টাকার বিজনেস তো হয়ে গেছে। আমার মামনি হয়তো ততক্ষনে পৃথিবীতে নেই। তার পরেও ওর লাইফ সাপোর্ট নামক কৃত্রিম শ্বাস নেওয়া দেখে শান্তনা পেয়েছিলাম। যে হয়তো বেচে আছে, রাত ৮টার দিকে আরেক ছোট কসাই নামক জুনিয়ার ডাক্তার আমাকে ডেকে নিয়ে বলে যে লাশের কষ্ট হচ্ছে ওকে আর বেশিক্ষন রাখা যাবে না লাইফ সাপোর্টে। ততক্ষণে আমার মা মনি হয়ে গেলো লাশ। যার নাম ছিলো রাছা, নিচে আসার পর ওর লাশ নিয়ে বাসায় ফিরবো কাউন্টারে দেখি আরেক নাটক, ১৭৪০০০/টাকার প্যাকেজে কসাইখানা নামক শিশু হাসপাতালে ওকে ভর্তি করেছিলাম। মাত্র চারদিন অবস্থান করছিলাম হাসপাতালের ্৪র্থ তলাতে ৪১৬ নাম্বার কেবিনে। এর জন্য নাকি আরো অতিরিক্ত ৯০০০/টাকা দিতে হবে, তখন আমার খালাতো ভাই বললো তাহলে প্যাকেজ তো ১৪ দিনের ওয়ার্ড ভারার সাথে। ওই ওয়ার্ডের প্রতিদিনের ৭০০টাকা মাইনাস করলে তো উল্টা আমরা ৮০০ টাকা পাবো। কে শুনে কার কথা? যারা মানুষ নিয়ে শিশু নিয়ে কাটাকাটির বিজনেস করে তারা কি কারো কথা শুনে? তাও দিলাম বললাম নে তোদেরতো টাকারি দরকার নে……., আরেকটি প্রশ্ন আমাকে হাসপাতাল থেকে যে ৪১৬ নাম্বার কেবিন দেওয়া হয়েছিলো সেটা আসলে হার্টের বাচ্চাদের কেবিন ছিলো না। পরে জানতে পারলাম ৪র্থ তলার ১৪ নাম্বার ওয়ার্ড এবং ৬ তলার যতোগুলো কেবিন সেগুলো নাকি হার্টের বাচ্চাদের, এর জন্য কি দায়ি আমি নাকি কতৃপক্ষ? আমি অপারেশন করানোর আগে ২৭ তারিখে একটি শিশু মারা যায়। ২৫ তারিখেও আরেকটি শিশু মারা যায় কেনো এতো মৃত্যু? আমার ভয় হচ্ছিলো আমি বললাম স্যার যদি সমস্যা থাকে বলেন আমি অন্য কোথাও নিয়ে যাই। বললো টাকা জমা দিয়েছেন? বললাম হ্যা। বললো সমস্যা নেই ঠিক হয়ে যাবে, এরকম রোগী তো আমরা ভালো করে থাকি, আর আপনার বাচ্চার সমস্যা নেই। যেদিন আমার মামনির লাশ ধুয়ানো হলো সেদিন একমহিলা বলতেছে ওর বুকে, পেটের ডানপাশে এবং গলার নিছে কাটার দাগ ছিলো। আমার প্রশ্ন? ওপেন হার্টের জন্য তো বুক কাটা হয় পেটের ডানপাশে এবং গলার নিচেও কি কাটতে হয়? ওর সেলাইগুলো ঠিকমতো ছিলো না ফাঁক ফাঁক সেলাইছিলো কিন্তু কেন? একজন বাবা হিসাবে আমার প্রশ্ন আমার মেয়ের প্রানটা কি যখন ইনজেকশন ্দিয়েছিলো তখনি গিয়েছিলো? যদি তখন গিয়ে থাকে তাহলে কেনো অপারেশন নামক নাটক করলো ওর লাশটা কেটে? নাকি টাকা যদি ফেরৎ দিতে হয় সেই ভেবে ? নাকি থিয়েটারেই মারা গিয়েছিলো? যার পরিপ্রেক্ষিতে লাইভ সাপোর্ট নামক নাটক করা হলো। লাইভ সাপোর্টে রাখলে নাক দিয়ে রক্ত কেনো আসবে? মা আমিতো ডাক্তার না তাই এতোকিছু বুঝি না তাই তোকে বাচাতে পারলাম না। বুঝলাম তোকে হারিয়ে। বাংলাদেশে আজকাল শিশুদের হার্টের ছির্দ্ররে রোগটা প্রায় অহরহ। তাই কেও দয়া করে শিশু হাসপাতালে ডাক্তার নামক কসাইদের কাছে যাবেন না । একজন মা বুঝে তার সন্তান হারানোর বেদনা, একজন বাবা বুঝে তার সন্তানের লাশ কাধে নেবার কষ্ট। তাই আর কারো সন্তান এবং বুকের ধন ডাক্তার নামক কসাই ব্যাবসায়ীদের হাতে যেনো না মরে। আজকে তাদের অসচেতনতা এবং তাদের টাকার লোভে ঝরে যাচ্ছে হাজার হাজার রাছার মতো আরো নিস্পাপ শিশুর প্রান।
বিস্তারিত ভিডিওতে: https://www.facebook.com/rubelahmead.ahmead/videos/2013401235650468/?t=1
https://www.facebook.com/rubelahmead.ahmead/videos/2013398628984062/?t=4
https://www.facebook.com/rubelahmead.ahmead/videos/2013401472317111/?t=2
https://www.facebook.com/rubelahmead.ahmead/videos/2013401235650468/?t=0