তাজুল ইসলাম হানিফ॥ উচ্চ আদালতের রায় বাংলায় চাই , হ্যাঁ- মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্ট ও জর্জকোর্ট আপনাদেরই বলছি- বিশ্বের ইতিহাসে একমাত্র বাঙ্গালী জাতিই মাতৃভাষার জন্যে প্রাণ দিয়েছে। তাই আমরা কৃষক, শ্রমীক-মজুর, ছাত্র-শিক্ষক, ব্যবসায়ী কিংবা সর্বস্তরের জনতার প্রানের দাবী-“বাংলায় রায় চাই”- এ আমার অধীকার।
আমরা এখনো ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারণা নিয়ে পড়ে আছি। যদিও নিজেদের ব্রিটিশ কমন ল’ এর অনুসারী দাবি করে থাকি। পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নাই যেখানে শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ এক ভাষায় কথা বলে আর উচ্চ আদালত চলে অন্য ভাষায়! এটা তো অবিচার। মানুষ যদি না-ই বুঝে আদালত কি রায় দিয়েছে তাহলে সে কিভাবে বুঝবে যে সে ন্যায় বিচার পেয়েছে ? জনগণ যদি কোর্ট ফি দিয়ে নিজ ভাষায় রায় না পায় তাহলে সেটা জনগণের প্রতি অবিচার। জনগণের প্রতি সুবিচার করতে সাধারণ মানুষের ভাষায় (বাংলা) আদালতের রায় আনা জরুরী। এছাড়া উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে ঢাকাতেই কেন আসতে হবে? অন্তত দেশের বিভাগীয় শহরে উচ্চ আদালতের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপন করে বিচারব্যবস্থাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি লর্ড উল্ফ বলেন, যে ভাষা জনগণ বোঝে না, সে ভাষায় বিচারকার্য পরিচালনা জনগণের প্রতি অবিচার। পরে বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষের বোধগম্য করার জন্য ইংলিশ ল’ তে প্রচলিত সকল ল্যাটিন শব্দ বাদ দেওয়া হয়। এবং তাঁদের আঞ্চলিক ও মাতৃভাষায় রায় দেওয়া শুরু হয়।
তাহলে আমার সোনার বাংলাদেশে সমস্যাটা কোথায়, মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট ? বিষয়টি আমার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত।