চপল, বিট্রেন প্রতিনিধি॥ বৃটেনে বাংলাদেশ বিরোধী শক্তির হাতে বাংলাদেশের সাংবাদিক ফারজানা রূপার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএফইউজে – বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন।
বিএফইউজে সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও মহাসচিব ওমর ফারুক এক বিবৃতিতে বলেন: কমনওয়েলথ শীর্ষ সন্মেলনের খবর সংগ্রহের জন্য একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ফারজানা রূপা বৃটেনে অবস্থান করছেন । কমনওয়েলথ শীর্ষ সন্মেলনের খবর সংগ্রহের পাশাপাশি সেদেশে জামাত শিবিরের বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতার বিষয় নিয়েও তিনি তার টেলিভিশনে রিপোর্ট করেন। বৃটেনের চ্যানেল-৪ এ যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের উদ্ধৃত করে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বৃটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সদস্য Tulip Siddiquie কে নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক খবর সম্প্রচারের বিষয়টিও তাঁর রিপোর্টে তুলে ধরা হয় । এতে বৃটেনে আশ্রয় নেয়া নেতা জামাত শিবির চক্র রূপার উপর রুষ্ট হয়।
গত বৃহস্পতিবার নিউ ক্যাসেল এলাকায় রিপোর্ট সংগ্রহের সময় ওই সন্ত্রাসী চক্র দ্রুত গতিতে মোটর সাইকেল চালিয়ে রূপাকে হত্যার প্রচেষ্টা চালায় এবং ক্যামেরা ও ট্রাইপড ছিনিয়ে নিয়ে যায়, আমরা বৃটেনের মত সভ্য দেশে প্রকাশ্য দিবালোকে এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনার নিন্দা জানাই ।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন: একটি মাত্র সূত্র ব্যবহার করে চ্যানেল ৪ যে ‘উদ্দেশ্যমূলক’ সংবাদ সম্প্রচার করেছে তারও প্রতিবাদ জানাই, এই রিপোর্টে ভালো সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুসরন করা হয়নি ।
বিএফইউজে ফারজানা রূপার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অবিলম্বে লুণ্ঠিত ক্যামেরা উদ্ধার করার জন্য বৃটিশ পুলিশবাহিনীর প্রতি আহবান জানাচ্ছেন । নেতৃবৃন্দ আশা করেন : আধুনিক গণতন্ত্রের পীঠস্থান নিশ্চয়ই যুদ্ধাপরাধী, দন্ডপ্রাপ্ত আসামী বা সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রম হবে না ।
বৃটেনের মতো দেশে আজ গনতন্ত্রের পাশাপাশি চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং দন্ডপ্রাপ্ত আসামী এমনকি ধর্মের নামে ধর্মান্ধতা ও সহিংসতা আর মৃত্যুদন্ড কার্যকরের গোষ্ঠীগুলোর লালন / পালন আশ্রয় এমনকি রসদ যোগানোর কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। যেখানে সারা বিশ্ব সন্ত্রাস নির্মূলে হিমশীম হাচ্ছে সেখানে তারা সন্ত্রাসীদের লালন পালন করে যাচ্ছে। এই অন্যায় মেনে নেয়া যায় না। যদি এভাবেই লালন-পালন করা হয় তাহলে সন্ত্রাসী অভয়ারণ্য লন্ডনে একদিন কোন মানুষ বসবাস করতে পারবে না। কারণ ঐ সন্ত্রাসীরা শুধু তাদেরই গোত্র বা সহযোদ্ধা ছাড়া কাউকে প্রশ্রয় দিবে না। অপেক্ষায় থাকুন লন্ডন পতনের।
এখনও সময় আছে হাল ধরার। নতুবা একদিন অস্তিত্ব বিলীন হয়ে নতুন কোন সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের শাখা প্রশাখা গজাবে।