এস এম মানিক॥ হযরত বেলাল রা. ছিলেন হাবসি গোলাম বা ক্রিতদাস। যখন তাওহিদ বা কালেমার দাওয়াত গ্রহন করলেন তখনই তাঁর উপর নির্যাতনের ষ্টীম রোলার চলতে থাকল। মরুভূমির উত্তপ্ত বালির উপর তাকে শোয়াইয়া চরম এবং নিষ্ঠুর ভাবে অত্যাচার করা হত। হযরত বেলাল শুধু একটি বাক্য উচ্চারন করতেন আহাদ, আহাদ। আল্লাহ এক, আল্লাহ এক। আমরা ও সেই কালেমা শরীফ পড়েই ইমান এনেছি । কিন্তু কই সুন্নী, আহলে হাদীস, কওমী, হানাফি সবাই সুন্দর, সুন্দর পোশাক পরে বিশাল, বিশাল মাহফিল, বক্তৃতা দিচ্ছেন আয়োজকরা কুরমা, পোলাও, গরু, মোরগ, খাসি, মাছ দধি ইত্যাদির মাধ্যমে খাওয়ার ব্যবস্থা করছেন পেট পুরে খাচ্ছেন আবার বিশাল অংকের টাকা ও নিচ্ছেন। কেউ, কেউ চুক্তি করে টাকা নেয়। তাহলে বুঝা গেল হযরত বেলাল রা. কালেমা পড়া আর আমাদের কালেমা পড়া এক রকম না। হযরত বেলাল রা. একদিন কাঁদতে, কাঁদতে নবীজি সা. খেদমতে এসে হাজির হলেন। নবীজি সা. বললেন তুমি কাদঁছ কেন বেলাল রা. জবাব দিলেন আমার মা আমাকে মারছে। তোমার মা তোমাকে মারছে আমি মুহাম্মদ সা. তোমার মায়ের বিচার করতে পারব না। নবীজি সা. আমার মায়ের বিচার করতে হবে না তবে দোয়া করুন আমার মা যেন হেদায়েত প্রাপ্ত হন। আল্লাহর রাসুল সা. দোয়া করতে থাকলেন এমন সময় বেলাল রা. উঠে দৌড় শুরু করলেন রাস্তায় অনেকে বলতে থাকল তুমি দৌড়াচ্ছ কেন। বেলাল রা. বলছেন দেখি রাড়ীতে আমি আগে পৌছতে পারি নাকি নবীজি সা. দোয়া আগে আমার বাড়ীতে পৌঁছে। বাড়ীতে পৌঁছা মাত্র মায়ের সুর পরিবর্তন হে বেলাল আমাকে নিয়ে চল বিশ্ব নবী মুহাম্মদ সা. নিকট তাঁর নিকট কালেমা পড়ে আমি ইমান আনব। নবীজি সা. মায়ের বিচার করেন নাই বরং হেদায়ের জন্য দোয়া করেছেন।