ডেস্ক রিপোর্ট ॥ দেশের উন্নয়ন ও অর্জনে অনন্য সফলতার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দিতে যাচ্ছে দলটি। শনিবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।
ভারতের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জন, মহাকাশে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পাঠানো, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড অর্জন এবং বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করায় এ গণসংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে।
দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এ গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য সংবর্ধনাস্থলকে সাজানো হয়েছে নান্দনিকভাবে। ইংরেজী বর্ণ এল (খ) আকৃতিতে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে ৩০ হাজার চেয়ার বসানো হয়েছে।
সংবর্ধনাস্থলের বাইরেও ব্যাপকভাবে সাজ-সজ্জা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সংবর্ধনাস্থলে যে সড়ক দিয়ে আসবেন সে সড়কগুলোতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও অর্জনের ছবি সংবলিত পোস্টার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আলোক সজ্জা করা হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের পদভারে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। মৎস্য ভবনের সামনে গণসংবর্ধনাস্থলের প্রবেশমুখে বিশাল একটি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
দেশের বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খানের তত্ত্বাবধানে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৬টি ছবি নিয়ে আয়োজন করা হবে চিত্র প্রদর্শনীর। এ প্রদর্শনীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছবিসহ থাকবে তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে লেখা বইসমূহ। এছাড়াও প্রদর্শনীতিতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও বঙ্গবন্ধুর কারাগারের রোজ নামচা বই দু’টিও স্থান পাবে।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে সফল করতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে তিন লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বলে ধারণা করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাজধানী ঢাকাসহ আশেপাশের জেলার নেতাকর্মীরা যোগদান করবেন। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষও অংশ নেবেন।
বিকাল ৩টা থেকে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্বলিত ৩০ মিনিটের একটি পরিবেশনা থাকবে। মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।