ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ মিথ্যা ও য়ড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে এবং ওই মামলাগুলো থেকে অব্যাহতি দানের দাবী জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছত্রলীগ নেতা নুরন্নবী আজমল ও আল আমিন মালদার গত বুধবার (৮ আগস্ট) দুপুরে কসবা ফুড প্যালেসে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। কসবা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রায় ৪০ জন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। আজমল মামলা প্রত্যাহারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও সরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তিনি জানান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নব্বইয়ের দশকে শিবির দ্বারা বার বার নিগৃহিত হয়েছেন এবং নিজেও সংক্ষুব্দ হয়ে শিবির খেদাও আন্দোলন করে ৮টি মামলা মাথায় নিয়ে বহু কষ্টে জীবন যাপন করেছেন। বর্তমানে তিনি কসবা উপজেলায় আওয়ামী লীগ’র বায়েক ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। ৩২ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়নে চলমান রয়েছে বলে জানান। এই ইউনিয়নটি সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় এখানে মাদক চোরাচালানের ব্যবসা রয়েছে। অতীতে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাদকের সংগে সংশ্লীষ্ট ছিলো।
আজমল বলেন, জেলা ডিবি ওসি সুমন আদিত্য একজন দুর্নীতিপরায়ন অফিসার। তিনি সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের ঘনিষ্ট বন্ধু। সে প্রতি সপ্তাহেই বায়েক আসে এবং মাদক সেবন করে আবার মাদক নিয়ে যায়। অপর দিকে বিল্লাল হোসেন রেলের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার সাথে হাত মিলিয়ে বিভিন্ন লোক থেকে টাকা গ্রহণ করে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। সেই আদিত্যকে দিয়ে সাবেক পুলিশ সুপারের মাধ্যমে আমাকে মাদকের মামলায় জড়ায়। বর্তমান আইনমন্ত্রী সর্বজন শ্রদ্ধেয় আনিসুল হক ও তাঁর এপিএস রাশেদুল কাওসার জীবনসহ জনগনের কাছে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আমাকে ঘুম থেকে ডেকে এনে থানায় ২৫ পিস ইয়াবা টেবলেট দিয়ে মামলা দেয়। ময়মনসিংহে হেরোইন মামলায় আমাকে জড়ায়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজমল বলেন সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন আধিপত্য বিস্তারের জন্য আমার সুশৃঙ্খল রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। প্রকৃত পক্ষে সে বিএনপি-জামাত নির্ভর রাজনীতি করে আসছে। এজন্য আমরা আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী হওয়া সত্ত্বেও আমাকে মামলায় জড়িয়েছে। যুবনেতা আল-আমিন মালদার ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা তারই কাজ। তাঁর হাতে অবৈধ অর্থ তাই বায়েকের রাজনীতি তার হাতে নিতে চায় এককছাত্রভাবে।
এ বিষয়ে বিল্লাল হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, তিনি বলেন আমি এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই সে আমার দ্বারা এধরনের কাজ হতে পারে।
জেলা ডিবি ওসি সুমন কুমার আদিত্যের সাথে সেল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন; আজমল সাহেবের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে তাকে পাগলা গারদে দেয়া প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে নুরন্নবী আজমলের পক্ষে ইউনিয়নের ওয়ার্ড নেতা উপস্থিত থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আবদুল বারেক মেম্বার, ফুল মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক শিশু, সাখাওয়াত হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, নয়নপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের।
আবুল খায়ের জানান আজমলকে আরো মামলা দেবে না এই বলে তাঁর কাছ থেকে সুমন আদিত্য দশ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছে।