যথাযোগ্য মর্যাদায় কসবায় শোক দিবস পালন

নাজমুল হক সজল, বিশেষ প্রতিনিধি, কসবা। যথাযোগ্য ও বিনম্র শ্রদ্ধায় পালিত হয়েছে জাতীর জনক বন্ধবন্ধুর শেখমুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত ও জাতীয় শোক দিবস। এ উপলক্ষ্যে কসবা উপজেলায় সরকারী, আধাসরকারী প্রতিষ্ঠানে পালিত হয় উক্ত দিবসটি। সৈয়দাবাদ এ.এস. মনিরুহ হক উচ্চ বিদ্যালয় সকাল ৯ টায় এক বিশেষ মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করে। মিলাদ শেষে বিশেষ মোনাজাদ পরিচালনা করেন অত্র বিদ্যালয়ের ধর্মিয় শিক্ষক শাহ্ আরিফ মাহমুদ। প্রধান শিক্ষক আলী মনছুর, তার বক্তিতায় বলেন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাংলার কালনজয়ী পুরুষ জাতীর পিতা বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে সকলকে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। আর এই ইতিহাস জানানোর দায়িত্ব হল শিক্ষক, পিতা-মাতা, ও kasba Sokdebasঅভিভাবকগন। এই শোকাবহ আগস্ট মাস বিপদগামী আত্ব স্বীকৃত খুনীরা ১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে হত্যা করে একটি কলংকিত অধ্যায় সৃষ্টি করে। বাদৈর সাবের সাদত উচ্চ বিদ্যালয়ে অত্র স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক এর বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে শুরুহয় দিনটির কর্মসূচী। উক্ত সভায় সভাপতি ছিলেন স্কুল কমিটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি জনাব এম.এ কাইয়ুম। প্রধান শিক্ষক এম.এ করিম তার বক্তিতায় বলেন ১৫ই আগষ্ট এর ভোরে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের স্থাপতি বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ বাসবভনে সেনাবাহীনির কতিপয় উচ্চ বিলাসী বিশ্বাসগাতক অফিসারদের হাতে নিহত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট মহামানব শেখমুজিবুর রহমান শহিদ হবার পর দেশের সামরিক শাসন জারি হয়। গণতন্ত্রকে হত্যা করে মৌলিক অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়। শুরু হয় হত্যা, করে স্বরজন্ত্রের রাজনীতি। কেড়ে নেয় জনগনের ভাত ও ভোটের অধিকার। বিশ্বে মানবাধিকার রক্ষার জন্য হত্যাকারীদের বিচারের বিধান রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে জাতীর জনকে আত্ব স্বীকৃত খুনিদের বিচারের হাত থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য ২৬ শে সেপ্টেম্বর এক সাময়িক অধ্যাদেশ (ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স) জারি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.