অক্টোবরে সংলাপ….

প্রশান্তি ডেক্স।  ।  জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে আওয়ামী লীগ। অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সংসদে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়াও সংসদের বাইরের রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। sanglap in october
এই রাজনৈতিক সংলাপে অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকা হবে না। তবে, বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হবে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। কিন্তু, আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি বিএনপিকে হয়তো সংলাপে ডেকে চমক দেখাবেন।
নির্বাচন কমিশন বলেছে, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে পারেন। এই সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হবে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতামতের ভিত্তিতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি। ২০১৪’র নির্বাচনের আগেও প্রধানমন্ত্রী সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপে অংশ নিয়েছিলেন। ঐ সংলাপে প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া ঐ আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
এবারও নির্বাচনকালীন সরকার গঠন নিয়ে ধারাবাহিক সংলাপের প্রস্তুতি চলছে। এবার সংলাপে দুটি ভাগ হবে। প্রথম ভাগে জাতীয় পার্টি, জাসদ (ইনু), জাসদ (আম্বিয়া), ওয়ার্কার্স পার্টি সহ সংসদে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে। সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকারে এই দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে মতামত চাইবেন। এই বাইরেও যে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত, কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, তাদের ডাকা হবে। এদের কাছে, নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে পরামর্শ চাওয়া হবে। আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, সংসদে আসন নেই এমন রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় কাউকে নেওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের পরামর্শ নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিএনপিকে সংলাপে ডাকা হবে কিনা, তা নির্ভর করছে বেগম জিয়ার রাজনৈতিক পরিণতির উপর। বেগম জিয়া যদি নির্বাচনের অযোগ্য থাকেন এবং কারাগারে থাকেন, সেক্ষেত্রে বিএনপির সঙ্গে অবশ্যই সংলাপ হবে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়া ৫ বছরের দন্ডভোগ করছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন। এই আপিলের শুনানি এখন হাইকোর্টে চলছে। তফসিলের আগে যদি হাইকোর্ট বেগম জিয়ার দন্ড বহাল রাখে তাহলে তাঁর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো সুযোগ থাকবে না। তখন হয়তো বিএনপিতেও নতুন মেরুকরণ হবে। সেই মেরুকরণ প্রক্রিয়ার উপর বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতার অনেকখানি নিভর করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.