বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া গ্যাস ফিল্ডে রাজাকার তারেকাত্মীয় শয়তানের আছর

জননেত্রীর সৈনিক ড. হাসান॥ বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোং লিমিটেড রাস্ট্রীয় মালিকানাধীন সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান । তদানীস্তন পাকিস্তান শেল ওয়েল কোম্পানি পরিচালিত তিতাস, হবিগন্জ, বাখরাবাদ, রশিদপুর ও কৈলাশটিলা – এ পাঁচটি গ্যাস ফিল্ড ১৯৭৫ সালের ৯ই অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুরদর্শী সিদ্ধান্তে অল্প দামে ক্রয় করে রাস্ট্রীয় মালিকানাভুক্ত করা হয়।
৫টির মধ্যে তিতাস, বাখরাবাদ ও হবিগঞ্জ অত্র ফিল্ডের অধীনে ন্যাস্ত হয়। এই গ্যাস ফিল্ড হইতে জাতীয় গ্যাস উৎপাদনের শতকরা ৭৬ ভাগ উৎপাদন করে থাকে। বর্তমানে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, অধিকাংশ কর্মকর্তারা ও এর সাথে যুক্ত আছে; সম্প্রতি পেট্রোবাংলার একটি পরিপত্র বিজিএফসিএল এর বোর্ড সভায় অনুমোদন হওয়ার কারনে কর্মকর্তারা মহামান্য হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছে পরিপত্রের বিরুদ্ধে, ফলে কোম্পানির পদোন্নতি দু’বৎসর যাবৎ বন্ধ আছে। ফলে উক্ত ফিল্ডে মারমুখী অবস্থান বিরাজ করছে। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায় যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
এর পিছনে মুল কলকাঠি নাড়ছেন মহাব্যবস্থাপক প্রশাসন নাসিমুজ্জামান তালুকদার, যার বাড়ী – বগুড়া, তার আপন চাচা আবদুল মজিদ তালুকদার যুদ্ধাপরাধ এবং রাজাকারের তালিকায় ৪৭ নম্বর স্থানে আছে, তার আরও এক উল্লেখযোগ্য পরিচয় জোট সরকারের আমলে তিনি তারেক জিয়ার আতœীয় হয়ে বিশেষ সুবিধা ভোগ করেছেন এবং গ্যাস ফিল্ডে নাসিম ত্রাস বিরাজ করে রেখেছেন।৯
বঙ্গবন্ধুর ক্রয় করা গ্যাস ফিল্ডে বিশৃঙ্খলা সৃস্টির জন্য উনিই নাটের গুরু হিসাবে কাজ করছেন। তাই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে আবেদন এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহনের এবং বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান রাজাকার মুক্ত করে মুজিব আদর্শে পরিচালিত হয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অংশীদ্বার হতে সাহায্য করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.