সন্ত্রাসবিরোধী লড়ায়ে আমেরীকা যুক্ত হয়ে চায়- জন কেরি

নয়ন॥ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আগ্রহন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্টের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এ সংক্রান্ত বিষয়ে তার দেশের বিশেষজ্ঞ সহযোগিতা প্রদানের প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেছেন। সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরাও লড়াই করতে চাই। এ বিষয়ে আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক বিশেষজ্ঞ রয়েছে এবং এই বিশেষজ্ঞদের প্রদানের মাধ্যমেও আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে পারি।
বৈঠকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে কেরি বলেন, বাংলাদেশ এক্ষেত্রে চমকপ্রদ অগ্রগতি সাধন করেছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন এবং অন্যান্য বিষয়ে আমদেরও অংশীদ্বারিত্ব রয়েছে। এছাড়া বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু স্বাস্থ্য এবং জ্বালানি খাতসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিষয়টি স্মরণ করে যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশে ফেরত পাঠাতে অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে জন কেরি বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগটা বুঝতে পারছেন। অপরাধী বিনিময়ের বিষয়টি যুক্তরাষ্টের বিবেচনায় রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনের অভিজ্ঞাতার কথা উল্লেখ করে জন কেরি বলেন, তিনি বাড়িটিতে সংরক্ষিত বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখে অভিভুত হয়েছেন। এ সময় কেরি বলেন, ‘উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা আজকের তাদের অভিভাবকেরা ঘর থেকে বের হলেই ভিডিও গেমস খেলতে ব্যস্ত হয়ে। যার অধিকাংশই সন্ত্রাসে পিরপুর্ণ থাকে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের অস্ত্রশস্ত্র ব্যতিত সকলপন্যের কোটামুক্ত এবং শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার প্রত্যাশার পুনরুল্লেখ করেন। বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিসা দেশাই বিসওয়াল, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব মো: শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এবং বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া ষ্টিফেন ব্লুম বার্ণিকাট উপস্থিত ছিলেন। ছবি: সাইফুল ইসলাম কল্লোল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.