সার্বজনীন আনন্দই হউক আগামীর প্রত্যাশা

শোক, দু:খ এবং হতাশার মাঝে জাতী কঠিন ধৈয্য ও সংযম প্রদর্শন করে ফিরে পেয়েছে আনন্দের দীশা। এই সার্বজনীন আনন্দেই জাতী ফিরে পেতে চায় তাদের হারানো ঐতিহ্য এবং আগামীর সমৃদ্ধি। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই এগিয়ে এসেছে আগামীর সুখ, সমৃদ্ধি এবং নিশ্চয়তা। আমাদের ঐতিহ্য সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং সহযোগীতা; কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। এই মুলমন্ত্রেই জাতী আজ উজ্জীবিত; অনুপ্রানীত এবং উচ্চ আয়ের পথে এগিয়ে যেতে দিপ্ত শপথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সমগ্র বিশ্বের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নেতৃত্বের অঙ্গিকার হল একযোগে সকল বৈরীতা মোকাবেলা এবং শান্তির পথে একযোগে এগিয়ে চলা। এইতো সেদিন জন কেরির আগমন এবং প্রতিশ্রুতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরকারের পাশে থেকে উন্নয়নের অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ। খুবই সুন্দর এই ইচ্ছার বহিপ্রকাশ। তারচেয়েও বড় সুন্দর হল বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ এই স্বীকৃতি। অতীত ভুলে এবং অতীতের বিরোধীতার ভুল উপলব্দি করে আজকে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ এবং বর্তমান স্বীকৃত উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন সুদুরপ্রসারী দুরদর্শী সরকারের পরিকল্পনায় অংশগ্রহন ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকারই হল ফলপ্রসু সরকারের সার্বজনীন অগ্রসরমান নীতির বাস্তবসম্মত স্বীকৃতি।
আসছে আগামী ঈদ আর এই ঈদের আনন্দ হউক সার্বজনীন। সকল বাঙালী একযোগে উপভোগ করুক সার্বজনীন আনন্দের স্বতস্ফুর্ত স্বাদ। জাত, ধর্ম, বর্ন এই সকল বিসর্জন দিয়ে আসুন সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি হিসেবে উপভোগ করি চীর অম্লান শান্তি। নিজেদের জীবনে শিক্ষা নিয়ে আগামী প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করি। এই দেশ সকলের; কোন ধর্মের বা বর্ণের এমনকি কোন গোত্রেরও নয়। পৃথিবীর সকল মানুষ সমান এবং সকল রাষ্ট্রের মানুষই কোন কোন প্রয়োজনে একে অপরকে সহযোগীতা করতে পারে। একজনকে বাদ দিয়ে বা এক রাষ্ট্রকে পাশ কাটিয়ে উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এইতো সেদিন বাংলাদেশী বিখ্যাত স্বনামধন্য সর্বশ্রদ্ধেয় নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুছ সাহেবের অনুদান গেল ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে। আরো কত মানুষের কতো টাকা যায় বিভিন্ন অনুদানে এর খবরই বা কে রাখে। যেমনি করে আমাদের দেশেও অনেক বিদেশী টাকা আসে অনুদান বা উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রয়োজনে। সবই নিয়তীর খেলা এবং আদান ও প্রদানের বিষয়। আমরা গর্ববোধ করি মানুষ বা দেশ থেকে অনুদান নিয়ে আর আজ সুযোগ হলো অনুদান দিয়ে গর্ববোধ করার। যা একমাত্র ইউনুছের কল্যাণেই সম্ভব হয়েছে।
ন্যায়ের পাল্লা সবসময় ভারি এবং অন্যায়ের পাল্লা হালকা। তা কখনো কখনো ভারীতে পরিণত হয় আমাদের মত মানুষের দ্বারা সৃষ্ট অনৈতিক কৃতকর্মের ফলে। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো একসময় সত্যের আলো জলে উঠবে এবং মিথ্যা ঢাকা পড়বে। এইতো সেদিন মীর কাসিমের রিভিউ খারিজের রায় গোষীত হলো এবং তাকে যেতো হচ্ছে ফাঁসির কাষ্ঠে। এটাই সৃষ্টিকর্তার ন্যায় বিচার। এর থেকে রেহাই পাওয়ার কোন উপায় নেই কারো। হয়তো পৃথিবীতে কোনরকমে রেহাই পেলেও আখেরাতে বা শেষ বিচারের দিনে আর কোনো উপায় বা সুযোগ নেই। তাই সময় থাকতে এখনই পরিবর্তন করুন অন্যায় কর্মকান্ড এবং ফিরে আসুন সততার ছায়াতলে। যত খুন বা ছলচাতুরীই করুন না কেন জিয়া এবং তার সহযোগীরা কেউই কিন্তু আজ আর রেহাই পায়নি। সবাই তাদের নিজ বিচারের ঘানী টানতে হয়েছে। কেন এই দাম্বিকতা এবং লোকচুরি। কেউ কি আটকাতে পেরেছে তাদের বিচার এবং যারা এরই মধ্যে গত হয়েছেন তারাতো সৃষ্টিকর্তার বিচারের মুখোমুখী হতেই ব্যস্ত। লাভ নেই বরং যন্ত্রনা এবং কষ্টই গ্রাস করে বেদনাহত ও যন্তনাময় জীবন যাপনে অভ্যস্ত স্বল্প জীবন।
এইতো দেখলাম একজন এসপি মহোদয় টাকার পাহাড় গড়ে অট্টালিকা গড়েছেন যা অনুভবেরও বাইরে। কি করে তিনি এসব করলেন? আরো বেশি লজ্জার এবং ধীক্কারের ব্যাপার হলো রাষ্ট্রের জনবল এবং গাড়ী ব্যবহার করছেন নিজের বিশাল সম্পদের অট্টালিকা গড়ার কাজে। নিজের দায়িত্ব পালন না করে করেছেন অন্যদের জীবনে ঘৃন্যদৃষ্টান্ত স্থাপন। যার দায়িত্ব অন্যের সেবা করা সে কিনা করে ঘৃনার কাজ। এই দৃষ্টান্ত থেকে আগামী দিনে সকল বাহিনীর সদস্যদের এমনকি কর্মকর্তাদের প্রতি বিন¤্র আহবান আপনারা এই ধরনের জঘন্য কাজের সঙ্গে জড়িত না হয়ে অন্যদেরকে বিরত রাখুন এবং সুন্দর স্বচ্ছ ও জবাবদিহীতার আলোকে স্ব স্ব সেবার মান বৃদ্ধি করুন। মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে এবং শয়তানের প্রলোভনে পড়ে খারাপ কাজ করতে পারি কিন্তু এর থেকে শিক্ষা নিয়ে ফিরে আসাই প্রকৃত মানুষের কাজ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উপায়।
রাষ্ট্রের সেবা যারা করছেন তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে তদারকি করা এবং আত্ম উদ্ধিপনা ও উৎসাহ যুগিয়ে সকলের কাজে আন্তরিক মনোনিবেশের ব্যবস্থা করা এমনকি সেবার ব্রতকে সেবার মাধ্যমে প্রকাশ করা। আসুন ঢাকার জনজীবনের মানোনন্নয়ন কল্পে নেয়া সকল পদক্ষেপগুলো সুচারুরূপে বাস্তবায়ন করি এবং সকলকে এই কাজের সঙ্গে অংশগ্রহন করাতে উদ্যোগী হই। আওয়ামী ভাইদের বলছি আমাদের সামনে বাস্তব দৃষ্টান্ত হলো আজকের বিএনপির নেতা কর্মীদের দু:দর্শা। কারণ তার ক্ষমতায় ছিলো নিজের প্রয়োজনে। নিজেরা অর্থশালী হয়েছে এবং মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করেনাই। তাই আজ তাদের এই করুন দশা এবং হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে জীবনটা কি এবং মানুষ ও মনুষত্বের ভালবাসা পেতে হলে কি করতে হয়। যদিও তারা কেউ কেউ উপলব্দি করছে কিন্তু লাভ নেই মানুষ আর তাদের বিশ্বাস করছে না। তাই আমাদের এখনই সময় সকল লোভ এবং স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কাজ করা। আর মানুষের প্রয়োজনে কাজ করলে মানুষই আমাদের প্রয়োজনের যোগান দিবে। আগামী দিনের শান্তি এবং আনন্দের অংশীদ্বার হওয়ার সুযোগ থাকবে। যদি এখন ভুল করি আর নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে চলি তাহলে সামনে আমাদের ঐ দশা হবে যা আরো ভয়ানক এমনকি ভাষায় প্রকাশ করার কোন সুযোগ বা ভাষা আমার জানা নেই। সময় থাকতেই হাল ধরুন।
সন্ত্রাস মোকাবেলা এবং সন্ত্রাসী নিমূল করতে ঐক্যবদ্ধ লড়ায়ের কোন বিকল্প নেই। নেতা+কর্মী+ সমর্থক এবং সাধারণ জনগণ এই মিলেই ঐক্য আর এই ঐক্যেই মুক্তি, শান্তি স্থিতিশীলতা এবং সর্বপরি শান্তি ও স্থিতিশীল পরিবেশ। এরজন্য যে জোয়ার বহমান তার ধারাবাহিকতা ধরে এগিয়ে যেতে হবে। কোন ক্রমেই সন্ত্রাসী দল এবং নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে আপস করে অগ্রসর হওয়া চলবে না। যদিও তারা কাছের আর কারো কারো আপনজন। কিন্তু এই আপনজনই একদিন আনবিক বোমার আঘাত ঘটিয়ে সবকিছু শেষ করে দিবে। সাবধান পথ চলতে, কথা বলতে এমনকি ঐক্য রক্ষার্থে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.