ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডই যুবসমাজকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত রাখবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নজরুল ইসলাম॥ প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের যুব সমাজকে ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় রাখতে পারলেই কেবল সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের ভয়াবহতা থেকে তাদের মুক্ত রাখতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড যুবসমাজের মাঝে শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়,দায়িত্ববোধ ও কর্তব্যপরায়ণতা এবং দেশপ্রেম সৃষ্টি করে। আমরা তাদেরকে যতবেশি খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্তত করতে পারবো ততবেশী তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকবে। খেলাধুলার সাথে স্বাস্থ্য ও মনের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুস্থ দেহ মানেই সুস্থ মন। খেলাধুলা জীবনকে করে সুন্দর ও পরিশীলিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেশ সেবা ক্রীড়াবিদদের মাঝে  ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ধারাবাহিক সাফল্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে একদিন বিশ্বকাপও জয় করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে দাবির প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক স্পোর্টস যে ৬ এপ্রিলকে জাতীয ক্রীড়া দিবস হিসেবে পালনের কথাও ঘোষণা করেন। দেশের স্বাধীনতা উত্তর ক্রীড়াঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র আবাহনী ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যৈষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পদক (মরণোত্তর) ২০১১, বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাকান ২০১২ সালে এবং ২০১১ সালে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট এ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন। মোট ৩২ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে এই পদক প্রদান করা হয়। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্ততা করেন ক্রীড়া উপ-মন্ত্রী আরিফ খান জয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকতার উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। দেশের বিশিষ্ট ক্রীড় ব্যক্তিত্বদের সম্মানিত করতে ১৯৭৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পদক চালু করা হয়। এ পর্যন্ত মোট ১৮৮ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এ পদক পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের যুবসমাজ আজ নানাভাবে বিপথগামী হচ্ছে। মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কর্মকান্ডের দিকে পা বাড়াচ্ছে। এ যুবসমাজকে যদি আমরা ক্রীড়া কর্মকান্ডের মাধ্যমে সক্রিয় রাখতে পারি তাহলে আমরা দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে পারবো। শেখ হাসিনা বলেন, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড যুবসমাজের মাঝে শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্ববোধ ও কর্তব্যপরায়ণতা এবং দেশপ্রেম সৃষ্টি করে। আমরা তাদেরকে যতবেশি এই খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত কতে পারবো ততবেশি তারা শারীরিক এবং মানিসিকভাবে সুস্থ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুস্থ দেহ থাকলে একটি সুস্থ মনও থাকবে। তখন আর মনটা এদিক অদিক যাবে না। এখন যেমন একটা অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে। এই যেমন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস বা মাদকাশক্তি এগুলো মানুষের মন, মানসিকতা এবং স্বাস্থ্য নষ্ট করে দিচ্ছে। সমাজকে কলুষিত করে দিচ্ছে। কাজেই এখন থেকে আমাদের যুবসমাজ এবং সবাইকে ফিরিয়ে আনতে হবে। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমি মনে করি- আমাদের খেলাধুলার আরো বেশি সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এসব দিকে চিন্তা করেই তাঁর সরকার ছেলে-মেয়েদেরকে খেলাধুলায় যতবেশি সম্পৃক্ত করা যায় সেই চিন্তা ভাবনা থেকে প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ এবং বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চালূ করেন বলে জানান। তিনি বলেন, ছেলে মেয়েদের জন্য প্রাথমিক পর্যায় থেকেই আলাদা আলাদা প্রতিযোগীতার ব্যবস্থা করা। এই আয়োজনটা সারা বাংলাদেশেই সারা জাগাচ্ছে এবং অনূর্ধ্ব ১৬ (মহিলা) দলেল চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরবের পেছনে এই টুর্নঅমেন্টের ভ’মিকা রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দেশের আর দশটি ক্ষেত্রের মত ক্রীড়াঙ্গনও শত ধারায় বিকশিত হতে থাকে। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত সফলতার সাথে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাল ২০১১ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ আটটি ম্যাচ এবং চারটি অনুশিলন ম্যাচের আয়োজন করেছি। এছাড়া বঙ্গবন্ধু সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ ২০০৯, ১১তম সাউথ এশিয়ান গেমস-২০১০, আইসিসি মহিলা বিশ্বকাল ক্রিকেট বাছাই পর্ব-২০১১, এশিয়াকাপ ক্রিকেট-২০১২, এশিয়া কাপ ক্রিকেট-২০১৪ ও ওয়ার্ল্ড টি-টুয়েন্টি বাংলাদেশ-২০১৪সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টের সফল আয়োজক বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্যোগের ফলেই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন, ওয়ান ডে ও টেষ্ট স্টেটার্স লাভ করে বাংলাদেশ। সেই থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটি সম্মানজনক নাম হয়ে উঠে বাংলাদেশ। ৮ম সাফ গেমসে বাংলাদেশ ফুটবল দলও স্বর্ণপদক লাভ করে। এছাড়া, দাবা, হকি, শুটিংসহ অন্যান্য ক্রীড়াক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের সময় বাংলাদেশ দলের সাফল্যও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তাঁর সরকারের সময়েই বিদেশের মাটিতে প্রথম টেষ্ট সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ। ওয়ান ডে ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে। চীনের গুয়াংজুতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণ আসে ক্রিকেটের মাধ্যমে। ২০১২ সালে এশিযা কাপ ক্রিকেটে রানার্স আপ হয় বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেটারা পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ করে। ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতে। এবছরই আমরা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেট কোয়াটার ফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করি, উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০০১ সালের পর দেশের ক্রীড়াঙ্গনে কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ঘুষ দুর্নীতির প্রভাব আমাদের ক্রীড়াঙ্গনেও কালোছায়া ফেলে। ক্রীড়া ক্ষেত্রে সাংগঠনিক শূন্যতারও সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের শাসনভার গ্রহণের পরপরই ক্রীড়া ফেড়ারেশনসমূহে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে। খেলাধুলার প্রসারে আর্থিক অনুদান বৃদ্ধি করে। ক্রীড়া প্রশিক্ষণের উপর জোর দেয়া হয়। তিনি বলেন, খেলাধুলায় সাফল্য অর্জন করতে হলে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ ও কর্মপরিকল্পনা। যে কারণে প্রতিভা অন্নেষণ কর্মসূচির মাধ্যামে র্তণমূল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় সংগ্রহ এবং নিয়মিত, নিবিড়, আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে খেলোয়ার তৈরীর প্রচেষ্টা সরকারের রয়েছে। গ্রামীন বিলুপ্তপ্রায় খেলাধূলাগুলোকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ও নেয়া হয়েছে নতুন কর্মসূচী।
আন্তর্জঅতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের জন্য নতুন নতুন ভেন্যু তৈরী এবং খেলাধুলার উন্নয়নে ক্রীড়া সংস্থাকে আর্থিক অনুদান প্রদান করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের রয়েছে বিকেএসপির মত একটি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে বিকেএসপিকে বিভাগীয় পর্যায়ে সম্প্রসারিত করা হয়েছে। আমরা দেশের ক্রীড়া অবকাঠামোগুলেঅর সংস্কার ও আধুনিকায়ন করেছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ষ্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের নিমির্কত সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ষ্টেডিয়ামের সৌন্দর্য বিদেশিদের মুগ্ধ করেছে। রাজধানী ঢাকাসহ নারায়নগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও খুলনা ষ্টেডিয়ারমগুলোকে আন্তর্জাতিক মাসনম্পন্ন করেছি। রাজশাহীতে শহীদ কামরুজ্জামন বিভাগীয় ষ্টেডিয়াকে আন্তর্জাার্তিক মানের ক্রিকেট স্টেটিডিয়ামে উন্নীত করার প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। তিনি বলেন,ত আমরা ৪৯০টি উপজেলায় মিনি ষ্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছি। র্তণমূল পর্যায়ে খেলাধুলার উন্নয়নে উপজেলা পর্যায়ে একটি করে ষ্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১৩১টি উপজেলা মিনি- ষ্টেডিয়াম নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন যে, আমাদের পরিবার খেলাধুলার সাথে সস্পৃক্ত ছিল। আমার দাদা নিজেই ফুটবল খেলতেন। আমার ছোট দাদাও খেলতেন, তিনি মাঝে মাঝে হায়ারেও খেলতে যেতেন। কামাল জামাল স্পোর্টসে সম্পৃক্ত ছিল এবং তাঁদের স্ত্রী সুলতানা এবং রোজী দুজনেই স্পোর্টস গার্ল ছিলেন। রোজী স্পোর্টসে অনেক ট্রফি পেয়েছিল। আর সুলতানা কামাল খুকুতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বলু ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতে তাঁর এই খেলাধুলা সম্পর্কে জানতে পারবেন।  প্রধানমনন্ত্রী খেলাধুলা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে তাঁর এই খেলাধুলাপ সর্ম্পকে জানতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে উদ্ধৃত করেন ১৯৪০ সালে আব্বার টিমকে আমার স্কুল টিম প্রায় সকল খেলায় পরাজিত করল। অফিসার্স ক্লাবে টাকার অভাব ছিল না, খেলোয়াড়দের বাইরে থেকে আনতো, সবাই নামকরা খেলোয়াড়। বৎসরের শেষ খেলায় আব্বার টিমের সাথে আমার টিমের খেলায় ৫ দিন ড্র হয়। আমরাতো ছাত্র, ১১জনই রোজ খেলতাম। আর অফিসার্স ক্লাব নতুন নতুন প্লোয়ার আনতো। আমরা খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অফিসার্স ক্লাবের টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন আমার দাদা আর ছাত্রদের টিমে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন আমার বাবা বঙ্গবন্ধু। তাঁদের ঘরেও খেলাধুলা নিয়ে বঙ্গবন্ধু আর তাঁর বাবার মধ্যে কথার লড়াই বেঁধে যেত বলেও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণে উল্লেখ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া দেশ পূণৃগঠনের সময় বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াঙ্গনকেও পুনগঠন এবং সমৃদ্ধ করার উদ্যোগ নেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতীয় সংসদে পাস হয় বাংলাদেশ স্পের্টস কাউন্সিল অ্যাক্ট। সেই অনুসারে গঠিত হয় বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা তথা আজকের জাতীয ক্রীড়া পরিষদ।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী ও সংস্কৃতিসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংস্কৃতিক চুক্তির অধীনে ক্রীড়াঙ্গনের চুক্তি করা হয়। এই চুক্তির অধীনে ক্রীড়াবিদগনের তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব জার্মানী এবং ভারতের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। তিনি বলেন, আগষ্ট ট্রাজেডীর পর ফাউন্ডেশনের কর্মকান্ড বন্ধ করে দেয়া হয়। আমরা ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন পাশ করে এ প্রতিষ্ঠানটির অতীত ঐতিহ্য পূণ:প্রতিষ্ঠা করি। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার রূপকল্প ২০১১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক অবস্থার যে পরিবর্তনের অঙ্গীকার করেছে, তার মধ্যে ক্রীড়াঙ্গণও রয়েছে। ক্রীড়ার মাধ্যমে অর্জিত সাফল্যকে ধরে রেখে আরো সামনে এগিয়ে যাওয়ায় তাঁর সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.