কসবা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঘুরে এসে

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে আখাউড়া এবং কসবা আমার গন্তবস্থল। আর এই গন্তব্যস্থলে পৌঁছে মনে হলো কিছু একটি করতে হবে। তাই বের হয়ে গেলাম গ্রামের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত। কখনও বা পায়ে হেটে, রিক্সা নিয়ে কখনও বা মটর সাইকেলে চড়ে সর্বোপরি প্রাইভেট কারে চরে। প্রচন্ড গরম এবং সিএনজি ও রিক্সার জ্যামে আটকা পড়েও ক্লান্তি ছিল না আমার। কারণ আমি যে উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম তার শতভাগ সফল হয়েছে। আমার যাওয়ার কারণ ছিল শুধু এলাকার  উন্নয়ন নিজ চোখে দেখা। আর দেখে আমি তৃপ্ত এবং আমারই প্রীয় নেতার ছেলে প্রীয় ব্যক্তি জনাব আনিসুল হক এর প্রতি আরো শ্রদ্ধা এবং ভালবাসার সর্বোচ্চ স্তরে স্থান দেয়ার। কারণ ওনাকে আমি অন্ধভাবে ভালবাসি এবং তাঁর সকল কাজ নিয়ে আগ বাড়িয়ে কথা বলি। যদিও ওনার সঙ্গে আমার তেমন দহরম ও মহরম সম্পর্ক নেই কিন্তু তার বাবা এবং মা বিশেষ করে বাবার সঙ্গে আমার দহরম ও মহরম সম্পর্ক ছিল এবং আছে। আবার হয়ত বেহেস্তে গিয়ে দ্জুনের সেই পুরনো সম্পর্ক চলবে অনন্ত কাল।
উন্নয়ন কি? কয় প্রকার ও কি কি এবং কিভাবে করতে হয় তার জলন্ত প্রমান জনাব আনিছুল হক শ্যানন। আমি গর্বভরে বলছি সারা বাংলাদেশের উন্নয়নের যে গতি তার চেয়ে আমার এলাকার উন্নয়নের গতি একটু বেশী এবং সুসংগঠিত। বিশেষ করে সর্বক্ষেত্রে। বিশেষ করে রাস্তাঘাট পরিপটি এবং স্কুল কলেজ প্রয়োজনের চেয়েও বেশী উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। পাল্টে গেছে উন্নয়নের চিত্র যা আগে কখনো এলাকাবাসি দেখেনি। জনাব হক সাহেব সারা দেশের ন্যায় তার বাবার জন্মস্থানটিকে ও তার নির্বাচনী এলাকার মানচিত্র বদলে এক মাইল ফলক রচনা করছেন। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার উন্নয়ন, থানার উন্নয়ন, বর্ডার হার্ট এর উন্নয়ন, রেল ষ্ট্রেশন এবং এর লাইন এর সংস্কার, সিএন্ডবি রোর্ডের সংস্কার ও ৪ লেনে উন্নয়ন, মামলা, খুন-খারাবির জট থেকে এলাকার মানুষকে নিশ্চিন্ত রাখা। কিন্তু দুষ্কৃতি ও দুর্নীতিপরায়ন মানুষের করায়ত্ব থেকে এলাকাকে মুক্ত রাখতে শতভাগ সাফল্যের দারপ্রান্তে। যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে তারপরও বলব জনাব হক সাহেব এগিয়ে যান। আমরা প্রয়োজনে আপনার পাশে সব কিছু নিয়ে থাকব। আমি খুব খুশি এইজন্যই যে উনার আম্মার জীবদ্দশাই এই মহৎ এবং বিশাল কাজ তিনি করে যাচ্ছেন। আমার আকাঙ্খা একবার উনার মাকে নিয়ে এলাকার কিছু উন্নয়ন চিত্র দেখানো। এবং আমি চেষ্টা করব যেন উনি নিজ চোখে দেখে উনার স্বামীর আকাঙ্খার প্রতিফলন এর আনন্দ উপভোগ করতে পারে। আমি বিশ্বাস করি আগামী দিনে আমাদের এই ছোট শ্যানন রাষ্ট্রকে এবং দলকে অনেক কিছু দেয়ার রয়েছে। কারণ তার বাবার অসমাপ্ত কাজ তিনি শেষ করবেন এটাই আমাদের কাম্য।
এক গ্রামে গিয়ে এক খালার বাসায় বসে কিছু খেয়ে জিজ্ঞাস করলাম খালা কিভাবে সাহায্য করতে পারি। বিশেষ করে আপনার পেনশনের কাগজ পত্র ঠিক করার ক্ষেত্রে । তখন তাদের স্বচ্ছ উত্তর হল বাবা আমাদের থানার পুলিশ খুব ভাল। তারা আন্তরিক এবং আমরাও পুলিশ পরিবার এই কথা শুনে মজিবুর ৩ দারোগা খুব যন্তসহকারে আমাদের বিষয়টি শুনে বলেছেন যে কোন সমস্যা বা প্রয়োজনে আসবেন আমরা কাজ করে দিব। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশ এবং তার এলাকায় যেন কোন সমস্যা না থাকে। বিশেষ করে পুলিশের ব্যবহারে মুগ্ধ এবং একজন সৎ, যোগ্য এবং সেবকের সেবার বিশালতা যে কি তা প্রকাশ করার ভাষা আমি হারিয়ে ফেললাম। শুধু এইটুকুই বুঝলাম যা জানতে এবং দেখতে এসেছি তা শতভাগ পেয়েছে। মন্ত্রীকে আগামী সংখ্যার মাধ্যমে এই খবরটুকু জানাব।
আসা যাক দল গোছানোর কাজে তার দক্ষতার প্রতিটি ছাপে। তিনি তরুন উজ্জীবিত এবং মাঠের কর্মীদের নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের পসরা সাজাচ্ছেন। যা আগামী দিনে দলের জন্য হবে এক বিশাল অর্জন। অনেকেই বলতেন তিনি রাজনীতি বুঝেন না কিন্তু তিনি ভবিষ্যত রাজনীতির পাকা খেলোয়ার। যাকে ডিজিটার রাজনীতিবীদ হিসেবে আখ্যা দেয়া যায়। আমরা তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতাকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে দেশের এবং দলের সাফল্য আশা করি। বিশেষ করে আগামী দিনের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে তাঁর মত যোগ্য নেতার যোগ্য স্থান এখন দেশবাসির কামনা। যোগ্য বাবার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে আমরা জোর দাবী রাখি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট। তিনি যেন আমাদের আনিছুল হক শ্যানন যাকে বিশ্বাস ও নির্ভর করে দিয়েছেন বিশাল দায়িত্ব আর এখন দলীয় ভাবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে দেখতে চাই ভাল কোন সম্মানীত স্থানে। যাতে করে তিনি তার মেধা ও মননের বিকাশ ঘটিয়ে দলকেও সফলতার শীর্ষে পৌঁছতে সাহায্য করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.