শান্তিপূর্ণভাবে আনন্দ উপভোগ করে কর্মক্ষেত্রে ফেরা

ঈদ-উল আযহার ত্যাগ ও মহিমা প্রকাশিত হয়েছে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে। এবারের এই ঈদে ঘরমুখে মানুষ নাড়ির টানে ছুটে চলেছেন গন্তর্বে নিরাপদে এবং শান্তিপূর্ণ আনন্দে। আনন্দ উপভোগের লক্ষ্যে সার্বজনীন যাত্রাপথ থেকে শুরু করে আনন্দ উপভোগ এবং সর্বোপরি কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসা পর্যন্ত সরকারের নেয়া প্রতিটি পদক্ষেপই যথাযথভাবে পালিত হয়েছে এবং আগামীর দৃষ্টান্ত হিসেবে স্মৃতির পাতায় রাখার সুযোগ করে দিয়েছে। ছোট খাট কিছ ু ঘটনা ছাড়া এযাবত কালের সকল শান্তির মহা শান্তি হিসেবে উল্লেখ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বিশেষ করে সরকার, জনগণ এবং জনগণের বাহিনীগুলে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনে রেখেছে দৃষ্টান্ত। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে সৃষ্টিকর্তা সফলতায় পৌঁছে দেয়। এবারের ঈদে ঢাকার দুই মেয়রও দেখিয়েছেন তাদের আন্তরিকতার ফলপ্রসু চমক। যোগাযোগ মন্ত্রীও দেখিয়েছেন রাস্তাঘাটের চমক। সর্বোপরি সরকারের আন্তরিকতার চমকই প্রাধান্য পেয়েছে এই শান্তিপূর্ণ আনন্দ উপভোগ শেষে কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসার ক্ষেত্রে।
সরকারী, বেসরকারী এবং স্বায়ত্ব শাষিত প্রতিষ্ঠানেরসহ সকলকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এই সুন্দর ঐতিহ্যর মিল বন্দনকে অটুট রাখার জন্য আহবান জানাই। দুস্কৃতিকারীদের চক্রান্ত যত বড়ই হউক না কেন তা জনগণের ঐকের এবং আন্তরিকতার কাছে সব সময় হয়েছে পরাভুত এবং পরাজিত। বাংলার জনগণ সবকিছুই করতে পারে এবং পেরেছে ও আগামী দিনে সবকিছু বাস্তবে করে দেখাবে। ছোটখাট কিছু ঘটনা সবসময় ঘটবে এটাই নিয়তির বিধান। যেমন পাতিলে পাতিলেও টক্কর লাগ আর মানুষে মানুষে লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু তার চেয়েও স্বাভাবিক হলো কত তারাতারি আমরা সেই অস্বাভাবিক অবস্থা থেকে বের হয়ে এসে শান্তি এবং আনন্দ উপভোগের উৎসবে যোগদান করতে পারি। হ্যা আমরা পারি এবং পেরেছি।
প্রশাসনকে বলছি নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে গিয়ে বরং আরো আন্তরিক এবং সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্কের পরিবেশ নিয়ে কাজ করুন। দেখবেন অনেক অসম্ভবও সম্ববে পরিণত হবে। অনেকগুলো হত্যার ঘটনা যেন ঈদ নামক খুশির আমেজে বিলীন না হয়ে যায়। কুমিল্লা এবং চিটাগং হত্যাকান্ড যেন জনগনের সামনে বিচারের রায় প্রত্যক্ষ হয় যাতে করে আগামী প্রজন্ম বা অদুর ভবিষ্যতে আর কেহই এহেন দুঃসাহস দেখাতে সাহস না পায়। যারা যোগ্যতা এবং দলীয়া আনুগত্যের প্রমান রেখেছেন তাদের আর বিপথগামী না করে বরং দলীয় এবং দেশীয় উন্নয়নের কাজে লাগালে অমঙ্গলের চেয়ে মঙ্গলই বেশী। তাই সরকারের সর্বোচ্চ মহলের সুচিন্তিত মতামতের সুদুরপ্রাসারী প্রতিফলন দেখতে প্রত্যাসি। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির স্বার্থে দেশের এবং দলের ক্ষতি হউক তা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমরা আগামীর কাছে নতুন এবং স্বচ্ছ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই শেখ হাসিনার উন্নয়ন, অগ্রগতি, দেশপ্রেম, জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা এবং সেবার মনোভাব ও আন্তরিকতার। আসুনা আন্তরিকতার সহিত আন্তরিকভাবে এইসকল অর্জনগুলো মনে করি এবং সরকারকে সহযোগীতা করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.