উন্নয়ন আর অগ্রগতির স্বীকৃতি ও করণীয়

উন্নয়ন আর অগ্রগতির স্বীকৃতি মিলল বর্হিবিশ্বে। গর্ভবরে মাথা উচু করে নিয়ো আসলো বাঙ্গালীর জন্য মহা সম্মান। জাতি হিসেবে কি আমরা এই স¤œান ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত বা এই সম্মানের মহাত্ম উপলব্দিতে প্রারঙ্গম। আমাদের দেশের উন্নয়নের জোয়ার শুধু যে দেশেই সিমাবদ্ধ তা কিন্তু নয় এর পরিধি এখন সারা পৃথিবীতে বিরাজমান। আমরা যদি এই অর্জনের ধারাবাহিকতা ধরে অগ্রসর হই আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে বিশ্ব আর্চয্যের একটি সার্বীক উন্নত দেশ। যার তুলনা শুধু এই সোনার বাংলা-ই হবে। আমরা পৌঁছতে পারবো সৌদী, কুয়েত, মালয়েশিয়াকে ডিঙ্গিয়ে ইউরোপ, আমেরীকা ও কানাডার মত সমৃদ্ধির সমতলে। তবে এই স্বীকৃতির প্রথম ধাপটা আসতে হবে আমাদের দেশের সকল দল, মত নির্বিশেষে। যা সত্য তা প্রকাশ করার মানষিকতার পরিবর্তনের মাধ্যমে।
প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর প্রযুক্তি উপদেষ্টা যে অর্জনগুলির স্বীকৃতি নিয়ে আসলো সেগুলোর স্বীকৃতিতো আরো আগেই আমাদের নীজ দেশ থেকেই পাওয়া উচিত ছিল। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদ, সুধিজন কি চোখে দেখেন না বা কানে শুনেন না? আর যদি তাই হয় তাহলে কেন, কিসের জন্য মিডিয়ায়, সেমিনার ও সমাবেশে ভুল বক্তব্য উপস্থাপন করে জাতিকে পিছিয়ে নিতে চেষ্টা করেন। আসুন না এই সুন্দর অনুভুতিগুলি কাজে লাগিয়ে উন্নতি ও অগ্রগতির দৌঁড় গোড়ায় শরীক হই। আমরা জানি রাজনীতিবিদরা মিথ্যার আশ্রয় নেন নিজ দলের ক্ষমতায় আরোহণের লক্ষ্যে কিন্তু বাস্তবতার বিপরীত ¯্রােতে গিয়ে নয়। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে যা অবলোকন করলাম তা সম্পুর্ণই বাস্তবতার বিপরীতে অবাস্তবতার মিথ্যা ধোয়াশার উড়ন্ত ধূলিকনার পিছনে মরিচিকার ন্যায়। আমি বিনিত আহবান জানাচ্ছি সকলকে আসুন সত্য ও সুন্দরকে সুন্দর এবং সত্য বলতে শিখি এবং এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সুন্দর আগামীর পথে অগ্রসর হই।
বিএনপি চেয়ারপারসন সদ্য ফিরে এসেছেন পবিত্র হজ্জ্বব্রত পালন করে। যেটি শান্তির এবং সততার একটি উন্নততম স্থান। এখন দেখার বিষয় কিভবে তিনি তাঁর হজ্জ্বের ফজিলতকে ধারন করেন। হজ্জ্বব্রত পালনপূর্ব কর্মকান্ড থেকে যদি সম্পূর্ণরূপে ফিরে এসে পরিপূর্ণ একজন খোদায়ী মানুষের রূপ নিয়ে পরিবর্তন এবং উন্নয়নের জোয়ারে নিজেকে যুক্ত করেন তাহলে আমাদের এই বাংলাদেশকে এবং এই দেশের মানুষের অতি দ্রুতই উন্নত দেশের স্বীকৃতি এবং মর্যাদা নিয়ে পথচলা সহজ হবে। আশাবাদি মানুষ হিসেবে আমার কামনা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছার বহিপ্রকাশ মাত্র।
বাংলাদেশ ভারতের বন্ধু; শুধু তাই নয় বরং একে অপরের পরিপুরক। বাংলাদেশের বিপদে ভারত যেভাবে এগিয়ে এসেছিল তেমনি ভারতের যে কোন বিপদে বাংলাদেশ নিশর্তভাবে এগিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। আর তাই ঘোষণা দিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী ও উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস দমনের বিশ্বরোল মডেল শেখ হাসিনা। আশার বানি হলো ভারতও ঠিক একই কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে।
সৈয়দ আশরাফের সেই কথাটি প্রাসঙ্গিক এবং যথোপযুক্ত “শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের নয়, বরং বাঙালী জাতির প্রদীপ” আমি বলতে চাই তিনি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের; কোন ব্যক্তি বা দলের নয়। তাই তাঁর সঙ্গে আর কারো তুলনা করা চলে না। আজ আবার মনে পড়ে কাদের সিদ্দীকির সেই উক্তিটি “ বঙ্গবন্ধুর পরে শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের বড় নেতা”। হ্যাঁ তাঁর নেতৃত্ব্যেই দেশ এগিয়ে যাবে এবং যাচ্ছে। যা আমাদের চোখে আঙ্গুলী দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে বিশ্ববাসী। তিনি রোহিঙ্গা শরনার্থী সমস্যা সমাধানকল্পে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা অচিরেই কার্যকর হবে এবং উভয়দেশ শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান করে আরেকটি উপ- আঞ্চলিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
সেতু মন্ত্রীমহোদয় ও বন্ধুবর আনিছুল হক মেয়র সাহেবকে বলছি যাই করেন ভেবে চিন্তে করুন আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি এবং থাকব। কিন্তু এমন কিছু করতে যাবেন না যা সম্ভব হবে না বা হওয়ারও নয়। বনানি এবং মোহাম্মদপুর যদি প্রাইভেটকারমুক্ত হয় খুবই ভাল কিন্তু যারা ঐ এলাকায় বসবাস করে তাদের কি হবে ? মাথায় রাখবেন। ওনাদের গাড়ি যাবে এবং বের হবে। এটা হবেই। আর তাই বলছি প্রাইভেটকার মুক্ত না বলে নতুন কোন শব্দের চ্ছলে নাম দেয়া যায় কিনা ভেবে দেখুন এবং কাজ করুন। আমরা আছি সহযোগীতার হাত প্রসারিত করে।
ঈদ পরবর্তী সময়ে যথেষ্ট অর্জন এবং মানুষের বিবেক ও সুশৃঙ্খলতার উন্নয়ন ঘটেছে। ঘটেশে পরিবেশের ও স্বাভাবিক পরিবর্তন। কিন্তু কিছু ঘটনা সেই পরিবর্তন এবং উন্নয়ন এমনকি সুশৃঙ্খলাকে মলিন করে দেয়। যদিও সেটি ঘটেছে আমাদেরই উদাসিনতা এবং বেপরোয়া জীবনের বেহিসেবীপনার ফলে। ইঞ্জিন নৌকা দুর্ঘটনা, সড়কে গাড়ি দুর্ঘটনা এবং মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এমনকি অতিমাত্রিক আনন্দ উপভোগের ফলে স্বানন্দ মৃত্যুবরণও আমাদেরকে ভাবায়। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্ঘটনায় ঝরে যাওয়া প্রাণগুলোও আর্তনাদ করে আমাদের আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য। সর্বোপরি যত হতাহত এবং দূর্ঘটনার স্বীকার; সেই ঘটনা থেকে শপথ এবং শিক্ষা নিয়ে কিভাবে ঐসকল অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মুক্ত থেকে আগামী দিনগুলো দেশবাসীকে নিয়ে উন্নয়নের জোয়ারে সামিল হয়ে গতিময় ও মঙ্গলময় জীবন উপভোগ করা যায় তা আমাদের আশু ভাবনা-চিন্তা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঐকান্তিক ফলপ্রসু আশ। যা সার্বজনীন এবং সর্বমহলের পক্ষ থেকেই হওয়া উচিত। একক বা একতরফা নয় এবং শুধু সরকারেরও নয়। সকলের এবং সার্বজনিন পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়নই হতে পারে আমাদের নতুন শান্তিপূর্ণ উন্নত জীবনের নিশ্চিত গন্তর্বে পৌঁছাতে।

One Response to "উন্নয়ন আর অগ্রগতির স্বীকৃতি ও করণীয়"

Leave a Reply

Your email address will not be published.