ভারত পাকিস্তান এর সমরাস্ত্র মজুত এবং মুখোমুখী লড়াইয়ের বাস্তবতা

প্রধান প্রতিবেদক॥ আমরা যে যাই বলি না কেন বা একেক জন একেক দেশকে সমর্থন করিনা কেন আমাদের বসবাস কিন্তু এই দুই প্রতিবেশী দেশের মাঝখানেই। কারণ আমাদের তিনদিকেই ভারত ঘেষা এবং অন্যদিকে সমুদ্র। যদিও আমরা ভারত বা পাকিস্তান অনুসারী কিন্তু দুই দেশের রোষনাথে শিল-পাটা ঘসাঘসির মাঝে মরিচের জীবন শেষ বা নিষ্পেষিত হওয়ার অবস্থা হবে আমাদের। আমাদের কারোরই কাম্য নয় ভারত এবং পাকিস্তান কাস্মিরকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়াক। যদি এই অনাকাংখিত ঘটনাটি বাস্তবে ঘটে তাহলে এই অঞ্চলের কেহই এর ভয়বহতা থেকে নিস্কিতি পাবে না বরং শেষ হয়ে যাবে এশিয়ান টাইগার বা এশিয়ার উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সহবাস্থানের জলা এবং ভূমি। তাই কয়েকদিনের ভারত এবং পাকিস্তানের মনোভাব বা তাদের বর্বরতার বিষফোড়া মনোভাব থেকে বুঝারও কোন উপায় নেয় কি ঘটবে আগামী দিনে। তবে ভারতের মনোভাব থেকে বোঝাগেল সমরাস্ত্রের যুদ্ধ নয়, রাজনৈতিক নীতি এবং আদর্শের যুদ্ধ। শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার যুদ্ধ বিশেষ করে মস্তিষ্ক উর্বরতার সুক্ষ প্রয়োগের যুদ্ধের দিকেই ভারত মনোনিবেশ করেছে এবং ধীরলয়ে সমগ্র বিশ্বকে নিয়ে অগ্রসর হতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর থেকে অন্তত শান্তির একটু নিরবচ্ছিন্ন নিশ্চয়তা কিছুটা পাওয়া যাবে। তারপরেও আমরা এক নজরে ভারত এবং পাকিস্তানের সমরাস্ত্রের ভান্ডার সম্পর্কে জানিতে পারি। কার কি মজুত আছে বা কার কি সক্ষমতা রয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা ১৩ লাখ ২৫ হাজার আর পাকিস্তান বাহিনীতে নৈস্যের সংখা ৬ লাখ ২০ হাজার। ভারতের রিজার্ভ সামরিক কর্মী ২১ লাখ ৪৩ হাজার আর পাকিস্তানের রিজার্ভ সামরিক কর্মী ৫ লাখ ১৫ হাজার। ভারতের ট্যাঙ্কের সংখা ৬৪৬৪টি আর পাকিস্তানের ট্যাঙ্কের সংখ্যা ২৯১৪টি। ভারতের সাঁজোয়া গাড়ি ৬৭০৪টি আর পাকিস্তানের সাঁজোয়া গাড়ি ২৮২৮টি। ভারতের এসপিজি এর সংখ্যা ২৯০টি আর পাকিস্তানের এসপিজি এর সংখ্যা ৪৬৫টি। ভারতের কামানের সংখ্যা ৭৪১৪টি আর পাকিস্তানের কামানের সংখ্যা ৩২৭৮টি। ভারতের মাল্টিপল রকেট সিষ্টেম ২৯২টি আর পাকিস্তানের মাল্টিপল রকেট সিষ্টেম ১৩৪টি। ভারতীয় বিমান বাহিনীর মোট বিমান ২০৮৬টি আর পাক বিমান বাহিনীর মোট বিমান ৯২৩টি। ভারতের প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ৩১৮টি আর পাকিস্তানের প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ১৭০টি। ভারতের হেলিকপ্টার ৬৪৬টি আর পাকিস্তানের হেলিকপ্টার ৩০৬টি। ভারতের অ্যাটাক হেলিকপ্টার ১৯টি আর পাকিস্তানের এয়ারক্রাফ্ট ৫২টি। ভারতের মোট নৌ বাহিনীর ২৯৫টি জাহাজ আর পাকিস্তানের মোট নৌ বাহিনীল ১৯৭টি জাহাজ। ভারতের এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারে ২টি আর পাকিস্তানের এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার নেই। ভারতের হাতে ফ্রিগেট ১৪টি আর পাকিস্তানের হাতে ফ্রিগেই নেই। ভারতের ডেস্ট্রযারের সংখ্যা ১০ আর পাকিস্তানের ডেষ্ট্রয়ার নেই। ভারতের করভেট এর সংখ্যা ২৬টি আর পাকিস্তানের করভেট নেই। ভারতের হাতে সাবমেরিন ১৪টি আর পাকিস্তানের হাতে সাবমেরিন ৫টি। ভারতের উপকলরক্ষী জাহাজ ১৩৫টি আর পাকিস্তানের উপকুলরক্ষী জাহাজ ১২টি। ভারতের মাইন ওয়ারফেয়ার ৬টি আর পাকিস্তােিনর মাইন ওয়ারফেয়ার ৩টি।
এই হলো দুই দেশের যুদ্ধের সরঞ্জাম কিন্তু মানবিক মনোবলের দিক থেকেও এই দুই দেশের মধ্যে ভারতই এগিয়ে এবং এ পর্যন্ত যে হুংকার বা ধামামার শব্দ বের হচ্ছে তার বিচারে ভারতীয় নম্রতা এবং শান্তি সুরই প্রাধান্য। আমরা আশা করব ভারতের নমনীয়তাই পারে এই অঞ্চলকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে এবং আগামীর সুন্দর ভবিষ্যতের হাতছানি দেয়াকে আকড়ে ধরতে। তবে কেউ কেউ এই ন¤্রতার অপব্যাক্ষা করে বলছেন ভারত দুর্বল কিন্তু আমি বলব আদতে ভারত সবল এবং কুটনৈতিক এবং সমর যুদ্ধে অগ্রগামী। সমরাস্ত্রের ক্ষেত্রেও ভারতের বিশালতা ই তাদেরকে ন¤্রতার পরিচায়ক হিসেবে কাজ করতে সাহায্য করে। পারমানবিক শক্তিধর দুটি দেশই তাদের শক্তির মহড়া এবং ক্রোধের বহিপ্রকাশ থেকে বেড় হয়ে এসে শান্তির, স্থিতিশীলতার এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একছাতার নিচে দাঁড়িয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হবে এবং এই অঞ্চলকে শান্তির, আগ্রগতির এবং উন্নয়নের অঞ্চল হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.