মানবতার একটি আর্তনাদ

তানজিকা॥ এই ছবিটা দেওয়ার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দু:খিত। কিন্তু পুরো ঘটনাটি জানার পর আমাদের বিবেক ইতিহাস ও বিচার ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তনের জন্য এই ছবিটিই আজও পৃথিবীতে বিখ্যাতদের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে আছে। আসুন গল্পটা জানি।যা সম্পূর্ণ সত্য এবং ইতিহাস থেকে সংগৃহিত।
উপরের ছবিটি দেখার পর আপনাদের মনে নানা রকম বিচার,, চিন্তা ভাবনা জাগরিত হতে পারে। কিন্তু এই ছবির সভ্যতাটা জানলে আর ভাবলে আপনার এমনকি সকলের চোখে পানি আসবে। এই ছবিটি ইউরোপের এক চিত্রশিল্পী “মুরলি” এর চিত্রায়ন করা। ইউরোপের এক দেশে একসময় একটি লোকের না খেয়ে মরার শাস্তি মিললো। ঐ ব্যক্তিকে একটি জেলে বন্দি করে রাখা হলো। আর শাস্তিটা ছিল এমন যে যতদিন না ওনার মৃত্যু হয় ততদিন ওনাকে কোনো কিচু না খেয়েই থাকতে হবে। এমত অবস্থায় উনার কন্যা উনার সাথে প্রতিদিন দেখা করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করে অনুমতি পেলেন। এবং প্রতিদিন দেখা করার আগে উনাকে ভালো করে পরীক্ষা করে নেওয়া হতো যাতে উনি উনার বাবার জন্য কোনো রকমের খাবার জিনিসপত্র নিয়ে প্রবেশ করতে না পারেন। কিন্তু বাবার এহেন অবস্থা মেয়েটি প্রতিদিন আর দেখতে পারছিলেন না। তাই নিজের বাবাকে বাঁচানোর জন্য নিরুপায় হয়ে নিজের বুকের দুধ পান করাতে থাকেন। আর এদিকে যখন কিচুদিন যাবার পরও ঐ লোকটির মৃত্যু হলোনা তখন প্রহরীদের সন্দেহ হয় এবং বাবাকে নিজের দুধ খাওয়ানো অবস্থায় মেয়েটিকে ধরে ফেলে। এই বিষয়ের উপর আবার মামলা মোকদ্দমা হয়। তখন সরকার আইন কানুনের জায়গা থেকে সরে ভাবনার জায়গা থেকে এই বিষয়ের বিচার করে রায় দেন। দুজনকেই মুক্তি দেওয়া হয়। এই ছবিটি ইউরোপের সব থেকে দামী ছবি।
নারী যেই রূপেই হোকনা কেনো তা হোক সে “মা”, তা হোক সে “স্ত্রী”, তা হোক সে “বোন”, আর তা সে “মেয়ে”ই হোক প্রতিটি রূপেই এরা বাৎসল্য, ত্যাগ আর মমতার মুরতী। এদের সম্মান করুন। আর নারীদের কাছে অনুরোধ আপনারা আপনাদের এই সৌন্দর্য্যকে অক্ষুন্ন রাখুন। আপনারা স্থানভেদে অনেক মূল্যবান।

Leave a Reply

Your email address will not be published.