উন্নয়ন ও অগ্রগতির মাঝে দায়িত্ব সচেতনতা

আমাদের দেশে উন্নয়ন ও আগ্রগতির মধ্যেদিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই এগিয়ে যাওয়ার মাঝেই ক্ষণে ক্ষণে থমকে যায় কিছু সময়ের জন্য। এই থমকে যাওয়ার মধ্যেই নীহিত রয়েছে আগামীর পথচলার সম্ভাবনা এবং বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার চির অবসানের রাস্তা। আর এই রাস্তায় অগ্রসর হওয়ার জন্য সকলেরই কিছু না কিছু দায়িত্ব রয়েছে। এই দায়িত্ব সচেতনাই পারে আগামীর সুন্দর, শান্তিপূর্ণ আনন্দময় স্থীতিশীল সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দিতে।
আমাদের মিডিয়ায় কিছু কিছু সংবাদ উপস্থাপন, পরিবেশন ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে এইমুহুর্ত্ত্বে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যুক্ত করতে হবে যে, “দায়িত্ব সচেতনতা”। এই দায়িত্ব সচেতনতাই পারে সুন্দর আগামীর পথ দেখাতে। আমরা সাংবাদিক এবং আমাদের এই মহৎ পেশাকে আরো জবাবদীহি এবং স্বচ্ছ করতে হলে আমাদের নৈতিক স্খলন রোধ করতে হবে। হাসি-তামাসা এবং অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর মনোভাব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ইতিবাচক ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। অন্যের দোষ খোজার পেছনে না ঘুরে সত্যের সন্ধানে আরো বেশী সময় ব্যায় করতে হবে। উৎসাহ যোগানোতে মনযোগ দিতে হবে। রাজনীতির নোংরামি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমার লেখনিতে কেহ আহত বা দুখ পেলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আর সকলেই যে উক্ত লিখার বাস্তবতায় গাঁ মিশিয়েছেন তা কিন্তু নয়। কতিপয় আদুরদর্শী এবং অপরিমাণদর্শী অতিজ্ঞ্যানী বা নৈতিকতা চর্চার অভাবী শ্রেনীর সম্মানীত লেখক বা পাঠক অথবা প্রকাশক শ্রেণীর দ্বারা বেশি বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়।
একটি কমন বিষয় হলো যে, যদি কোন দুঃখজনক ঘটনা বা জঘন্য ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে সাথে সাথেই দলীয় পরিচয় খোঁজা তারপর দোষির সম্পর্কে নানাহ রঙ্গিন কথা ছাপা ও পঠনসহ অতিরঞ্জিত কথা বলা হয় তার সকলেই একবাক্যে এর শাস্তি চায়.. আর সেই শাস্তি হলো মৃত্যু। আসলে মৃত্যুই কি আসল সমাধান। আর তাই যদি হতো তাহলে এতো মৃত্যুর পরও কেন এই ধরণের ঘৃণ্যকাজের সমাপ্তি ঘটলোনা। আমিও শাস্তি চাই এবং শাস্তির পাশাপাশি এও চাই কেন এই ধরণের ঘটনা বার বার ঘটছে এর পিছনের কারণ অনুসন্ধান করে একটি বাস্তবসম্মত যুযোগপযোগী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঐসকল ঘৃণ্য কাজ থেকে চিরতরে মুক্তি এবং যারা এই ধরণের কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে সেই সকল কোমলমতি ছেলে-মেয়েদেরকে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে উদ্ভুদ্ধ করা।
ভারত আমাদের বন্ধু এবং ভারতের পাশে আমরা থাকব এটাই স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিক অবস্থান মেনে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ রচনায় অগ্রনী ভূমিকা রাখুন এবং মানবতার শান্তি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসুন এটাই বাংলাদেশের সকল দল-মত নির্বিশেষে মানুষের কামনা হউক। সরকারের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে এই দেশের ক্ষতি বা নৈরাজ্যমূলক অবস্থা সৃষ্টির পায়তারা থেকে বিরত থাকুন। সামনে পুঁজায় সম্প্রীতির সহাবস্থান বজায় রেখে উৎসব পালনে সহায়তা করুন এবং প্রশাসনের নেয়া সকল পদক্ষেপকেও সহযোগীতার মাধ্যমে বাস্তবে আলোর মুখ দেখতে সাহায্য করুন। পুঁজা উৎযাপন কালীন সময়ে প্রতিটি মন্ডপে শৃংখলা এবং অন্যধর্মের মানুষের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট থাকা অতি প্রশংসনীয় একটি দিক হবে পুজারিদের জন্য। ধর্ম যার যার এবং রাষ্ট্র এক এমনকি মানবতাও এক। তাই রাষ্ট্র ও মানবতাকে জয়ী করে রাখুন সকল অবস্থায়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দেশের উন্নয়নে কাজ করবেন। কারণ তিনি দেশের মানুষের কল্যানে সকল কিছু করেন এবং সেইজন্য দেশের মানুষ তাকে অতি ভালবাসায় নিজের, মেয়ে, বোন, মা এই উপাদান যোগ করেই আত্মার আত্মীয় করে নিয়েছেন এবং সমগ্র কিছুর প্রারম্ভে তাঁকে রেখেই দেশবাসী কাজ ও দোয়া করেন। সেই প্রধানমন্ত্রীর বিশাল দায়িত্ব এখন এই সন্তানতুল্য দেশ, ভাই-বোন এবং মা তুল্য জনগণ। সুতরাং সকল কাজের সময় দেশবাসীর কল্যানের চিন্তা প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এই মাতৃভূমি চীর সবুজের দেশ শেখ মুজিবরের সোনার বাংলা।
বাংলাদেশে অবশেষে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল এসেছে এবং এই নিশ্চয়তা নিয়ে এসেছে তারা এদেশের সরকারের নিরাপত্তায় সন্তুষ্ট এবং শেষে এই স্বীকৃতি দিয়েছে যে আসালে সরকারের আন্তরিকতা এবং সন্ত্রাস নিমূল বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে মজবুত এবং সুদুরপ্রাসারী। তাইতো খেলা চলাকালীন সময়ে আমাদের দর্শকদেরও সেই সৌহাদ্য এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে জাতী হিসেবে গর্বকরার মতো ইতিহাস সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আমাদের দেশের সর্বস্তরের মানুষের/ জনগণের কাচে সবিনয় অনুরোধ কথায় বড় না কাজে এবং চিন্তায় বড় হওয়ার প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যান। এখনই সময় কথার চেয়ে চিন্তা এবং কাজের সমন্বয় ঘটানোর আর এতে করে দেশ, জাতি পৌঁছে যাবে আগামীর সুউচ্চ চুড়াঁয়।
আসন্ন দলীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিজ্ঞতাদিয়ে দেশবাসীয়কে নতুন এবং উন্নত দলীয় সেবার নিশ্চয়তা দেবেন এটাই দেশবাসীর বিশ্বাস। যোগ্য  এবং সঠিক ব্যক্তিদেরকে মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রকৃত সেবকদের সেবা করার সুযোগ দিন। মনোমালিন্য এবং ভেদাবেদ ভুলে সেবকের মনোভাব নিয়ে সেবার কাজে ঝাপিয়ে পড়–ন। পদ আসলে মূখ্য বিষয় নয় বরং মুখ্যবিষয় হলো কে কতো বেশী সেবা উপহার দিতে পারছি সেটা। কে কত বেশী স্বচ্ছ থাকতে পারছি সেটা। স্বচ্ছতার মানদন্ডই হউক আমাকের আগামীর প্রত্যয়দিপ্ত অঙ্গিকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published.