আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোপন নথি ফাঁসকারী উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে খাবারে বিষ প্রয়োগে হত্যার গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অ্যাসাঞ্জ দাবি করেছেন, রাষ্ট্রীয় অ্যাজেন্টরা তার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। ইকুয়েডরের দূতাবাসে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতার একমাত্র ইন্টারনেট সংযোগ সোমবার বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। তবে অ্যাসাঞ্জের সমর্থকরা বলছেন, এই সাইবার হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে।
নারী মডেল ও বেওয়াচ তারকা পামেলা অ্যান্ডারসন লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে শনিবার সাক্ষাত করেছেন। এরপর থেকেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, ৪৯ বছর বয়সী এই মডেল স্যান্ডউইচে বিষ মিশিয়ে তা অ্যাসাঞ্জকে খেতে দিয়েছেন। অ্যাসাঞ্জের নিহতের গুজব আরো জোরালো হতে থাকে উইকিলিকসের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা তিনটি বার্তায়। ওই টুইট বার্তায় অ্যাসাঞ্জ নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হলেও পরে উইকিলিকস জানিয়েছে, অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে এনক্রিপ্টেড করে ভুয়া বার্তা দিয়েছে হ্যাকাররা।
অ্যাসাঞ্জের নিহতের তথ্য ছড়িয়ে পড়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই মডেল। রোববার উইকিলিকসের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যাসাঞ্জের মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়। ৪৫ বছর বয়সী সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন। সুইডেনে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ এড়াতে তিনি ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন। ইকুয়েডর দূতাবাস জানিয়েছে, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ সুস্থ রয়েছেন। উইকিলিকসের টুইটার অ্যাকাউন্ট সম্ভবত সাইবার হামলার শিকার হয়েছে।