সাত বছরের সাফিয়ার গল্প

ফরিদপুর প্রতিনিধি॥ বিল্পব কুমার সাহা, উপপরিচালক, শেখ রাসেল শিশু ও পুর্নবাসন কেন্দ্র ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, ফরিদপুর এর বরাত দিয়ে॥ কত নিদারুন এই কাহিনী জানলে বা শুনলে গা শিহরিয়া উঠে। কিন্তু হতভাগি মা ১০মাস ১০দিন পেটে ধারণ করেও আজ হয়েগেছে পর। যৌবিক চাহিদা এবং দেহিক চাহিদাই কি সব। দয়া-মায়া এবং সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস ও সুন্দর আগামীর আশা কি মানুষকে অপেক্ষা করতে ও ধৈর্য ধরতে শিখায় না আজ। যাক আসল ঘটনা হল- পদ্মা নদীতে পিনাক লঞ্চ ডুবি। বাবা চলে যান না ফেরার দেশে। তার এক মাস পর মা অন্যের সাথে বিয়ে করে তাকে ফেলে চলে যায়। পৃথিবীতে একা হয়ে যায় সে। অন্যের বাড়ির বারান্দা আর পথ হয় তার ঠিকানা। তারপর এক প্রতিবেশী নানার হাত ধরে আশ্রয় হয় শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, ফরিদপুর। এই ছিল সাত বছরের সাফিয়ার কথা।
এতসব কথাও সাফিয়া বলতে পারেনি। শেখ রাসেলের ৫২তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেলা প্রশাসক মহোদয় জনাব উম্মে সালমা তানজিয়া এর উপস্থিতে সাফিয়া বলতে পেরেছিল শুধু বাবার মৃত্যু আর মায়ের তাকে ফেলে রেখে চলে যাওয়ার কথা। তারপর শুধু সাফিয়া নিজে কেঁদেছে, কাঁদিয়েছে জেলা প্রশাসক সহ উপস্থিত সকলকে। জেলা প্রশাসক মহোদয় সাফিয়াকে আশ্বস্ত করেছেল তিনিসহ শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, ফরিদপুর তার পাশে আছে। তাকে আর কখনো কাঁদতে হবে না। সাফিয়া সহ সকল ঝুঁকিতে থাকা শিশু সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে শিশু বান্ধব এই সরকার। শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র সরকারের এমনি একটি প্রয়াস।

Leave a Reply

Your email address will not be published.