সরকারের ডিজিটাল উন্নয়নের অগ্রগতি

বাংলাদেশে সরকার শেখ হাসিনার সরকার। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দেয়ার সরকার। এই সরকারের ডিজিটাল উন্নয়ন ও অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করা যায় সর্বক্ষেত্রে। এই চিন্তা এবং পরিকল্পনা সর্বপ্রথম যার মাধ্যমে এসেছে সেই জয়ই এখন রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরছে বিশ্ব দরবারে। পরামর্শক হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই স্বপ্ন পুরণের গল্প শোনানো থেকে পরিকল্পনা দেয়ার কাজ করে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে সম্মানিত করে যাচ্ছেন। আমাদের দেশের সর্বক্ষেত্রে সুচক বেড়েছে এবং স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ নি¤œ আয়ের থেকে উর্ত্তীর্ণ হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশে। আশা করি আগামী দিনে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছবে কোন সন্দেহ নেই। যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে খুব অল্প সময়েই আমরা পৌঁছে যাব আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ এখন বাংলাদেশকে চিনতে এবং জানতে শুরু করেছে। আগে আমাদের পরিচয় ছিল ইন্ডিয়াকে দিয়ে আর এখন পরিচয় হচ্ছে শেখ হাসিনা এবং সজিব ওয়াজেদ জয়কে দিয়ে। তারা বাংলাদেশের কান্ডারী টেনে নিয়ে যাচ্ছে দ্রুত লয়ে। বিশেষ করে বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বিরোধীতাকারী রাষ্ট্রও এখন আমাদের উন্নয়নের অংশীদ্বার হওয়ার চেষ্টায় সরকারের সঙ্গে সমন্বিত পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছে। ভারত, রাশিয়া, কানাডা, জাপান, ইংল্যান্ড, চীন থেকে শুরু করে পৃথিবীর সমস্ত দেশই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে আসছে। সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
শুধু যে দেশের অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ,ইউনিভার্সিটি, মসজিদ-মাদ্রাসায়ও, থানা, হাসপাতাল, ইউনিয়ন পরিষদ অফিস থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যান্ত অঞ্চল পর্যন্ত ডিজিটাল ছোয়া লেগেছে। আর এই ছোয়ায় উপকৃত হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ। কেনা-কাটা থেকে শুরু বেচা-বিক্রি পর্যন্ত ডিজিটাল কল্যাণে পরিচালিত হচ্ছে। প্রেম-ভালবাসা ও বিয়ে পর্যন্ত আমাদের এই ডিজিটাল কর্মকান্ডের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। দ্রুত গতিতে আরো সুফল ও সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে আমাদের সর্বস্তরের জনগণ। ডিজিটাল ওয়াল্ড উদ্বোধন করা হলো এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল গর্ব সজিব ওয়াজেদ জয় আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে যে ভুমিকা এবং সারমর্ম উপস্থাপন করলেন তা সত্যিই যুগান্তকারী এবং কার্যকরী আগামী দিনের জন্য। বহিবিশ্বের মানুষ আজ বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শে কাজ করতে চায় এটাই কি কম পাওয়ার।
সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার যে চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক তা সত্যিই দেশবাসীকে আশার আলো দেখিয়েছে। যে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে মনকষাকষি ছিল সেই বিশ্বব্যাংকই আজ বাংলাদেশের স্মরাণাপন্ন এবং উন্নত বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশ আজ বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যার বহিঃপ্রকাশ হল- অতিথী আগমন, আপ্যায়ন এবং মঙ্গলজনক কাজে সহযোগীতা করা। চুক্তি সম্পাদন ও সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করা এমনকি ফলক উ¤েœাচনের মাধ্যমেও কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার গতি পরিলক্ষিত হয়ে যাচ্ছে দিন কি দিন। এত সবের মাঝেও কিছু একটা দরকার আমাদের এই টেকসই উন্নয়ন গতিকে আরো জোরালো ও মজবুত করার লক্ষ্যে। দৃশ্যমান কিছু দুর্নীতির সঙ্গে অদৃশ্যমান কিছু অসাধু ব্যক্তির ছোয়ায় সরকারের সাফল্যে যে বাধাটুকু লক্ষনীয় তা দূর করার জন্য প্রশাসনের গতিশিলতা এবং অফিস পাড়ার মানুষের মনের স্বচ্ছতা এবং ঈমানের গভিরতা প্রশস্ত করা প্রয়োজন। নাহলে আমাদের উন্নয়ন গতির শীতলতা এবং উপহার ও আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার গল্প প্রকাশিত হবে।
সরকারের সদিচ্ছা থাকা সত্তেও এমনকি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সৎভাব বজায় রেখে ট্যাক্স ও ভ্যাট দেয়ার পরও কর্মকর্তা দ্বারা হয়রানির শীকার হওয়ায় মানুষের মনে যে আশার সঞ্চার ঘটেছিল সেইখানে এখন ভাটা পড়ছে এবং মানুষ বিরাট অংকের রাজস্ব ফাকি দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে শুধু অসাধু ভ্যাট এবং ট্যাক্স অফিসারের ব্যক্তিস্বার্থ পুরণ করার মাধ্যমে। ব্যক্তিগত টেক্স ক্লিায়ারেন্স সার্টিফিকের জন্য ঘোষ বাবত অবৈধ লেনদেন করতে হয় দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা; নইলে সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে না। এটা হুবই দুঃখজনক কথা। যে টেক্স দেয় সে তার এই তিক্ত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে যাচ্ছে দিন কি দিন এবং একদিন তা বর্তাবে গিয়ে সরকারের উপর। যদিও সরকার আন্তরিক এবং জনবান্দব। এখন সময় এই ক্ষেত্রে ডিজিটাল সুফল পাওয়ার । তাই ডিজিটাইজ করে ফেললে যার যার ট্রেক্স সে দিবে এবং যার যার সার্টিফিকেট সে উত্তোলন করবে। অফিসার বা কারো (মধ্যস্বত্বভোগীর) প্রয়োজন নেই।
পাসপোর্ট পাওয়া একটি বিরল ঘটনা এবং বিদেশ যাওয়াও তেমনি একটি ঘটনা। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাড়াতো বিভিন্ন হয়রানির মাধ্যমে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে বিদেশ যাচ্ছেন। কারণ স্বচ্ছ পক্রিয়ার মধ্যে অস্বচ্ছ এবং অসাধু মনোভাব। শুধু একটি কথাই বলব বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ভাল কিন্তু এর নামে বাণিজ্য বন্ধ করা হউক। ক্লিয়ারেন্স নিতে দুই থেকে ৫০০০টাকা খরচ এবং সময় ও ভোগান্তি থেকে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনবান্ধব সেবায় পরিণত করা হউক।
সরকার বাংলাদেশের কল্যানের কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে কিন্তু এই সম্মান বিকিয়ে দিতে লন্ডন বসেও অপকর্ম করে যাচ্ছেন আমাদের রাজনীতির কলঙ্ক; কলঙ্কিত মায়ের ছেলে বাংলার জঞ্জাল তারেক রহমান। দেশের টাকা চুরি থেকে শুরু করে এমন কোন অপকর্ম নেই যা সে করে নাই আর এখন লন্ডন গিয়ে সেই দেশের টেক্স ফাকির মামলায় আসামী। আমরা এর নিন্দা জানাই এবং রাষ্ট্র ও সরকারকে বলব এই কুলাঙ্গারকে বাংলাদেশ থেকে নাগরিকত্ব বাতিল করে কলঙ্কের দায় থেকে দেশকে মুক্তি দিন।
আজ থেকে শুরু হচ্ছে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। এই কাউন্সিল সম্পূর্ণ ডিজিটাল পক্রিয়ার একটি অনুশীলন মাত্র। রাজনীতি যদি ডিজিটাল হয় এবং রাজনীতিবীদ যদি এই পক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হন তাহলে দেশের উন্নয়ন গতি আরো বাড়বে। আমরা সাধুবাদ জানাই এই সম্মেলন কেন্দ্রিক সকলকে। আগামী দিনের সকল রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ড পরিচালিত হউক এই ডিজিটাল উদ্ভাবনীর মতো। আশা করছি বাংলাদেশ ও এ দেশের মানুষ সর্বোপরি চিন্তায়, কর্মে এবং মানুষিক ও শারিরীক সক্ষমতায় ডিজিটাল রূপান্তর ঘটিয়ে সর্বময় কল্যাণ সাধণ করবে। আমার আশা ও সর্বময় দৃশ্যমান লক্ষণই আগামীর কল্যাণ এবং মঙ্গল।
একটি বিষয় সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, ভিআইপি এবং ভিভিআইপি আগমন ও প্রস্থান করার সময় রাস্তা বন্ধ বা নাগরিক ভোগান্তি কমানোর আশু ব্যবস্থা করা অতিব প্রয়োজন। নতুবা একটি জনরোশের আশংকা তৈরী হচ্ছে দিন কি দিন। এইতো চীনা প্রেসিডেন্ট এবং বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট আগমন ও প্রস্থান এই সময়ে কত মানুষের সমস্যা এবং মণ ক্ষুন্নতা পরিলক্ষিত হয়েছে তা আমাদের কাছে রয়েছে। তাই আবেদন ও নিবেদন এই সমস্যা উৎরাতে পদক্ষেপ নিন। অনেকেই বলে ঐ লোকগুলি কি কোনদিন এই সমস্যা সম্পর্কে জেনেছেন। অনেক বিদেশী তার বাচ্ছা কোলে নিয়ে ৫-৬ মাইল হেটে গন্তর্বে পৌঁছেছেন এবং দেশীদেরতো দুর্দশার কমতি ছিলনা। তাই কোন সদুত্তর দিতে না পেরে শুধু তাকিয়ে থেকে কথা শুনে ক্ষমা চেয়েছি। সম্মেলন উপলক্ষেও দেখেছি রাস্তা বন্ধ করার ছক, কিন্তু মানুষ তার গন্তর্বে পৌঁছার ব্যবস্থাটাও যেন থাকে। আমার দাবি ছিল নিঃছিদ্র নিরাপত্তা আর আমি আয়োজন দেখে খুশি এবং দোয়া করি যেন এই সম্মেলণ শান্তিপূর্ণ এবং আগামীর দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। কিন্তু এও চাই যেন জনভোগান্তির কোন দৃষ্টান্ত না ঘটে। আমার অফিস ষ্টাফ বলে রবিবারে কিভাবে অফিসে আসব আমি কোন জবাব দেইনি কিন্তু সে অফিসে আসুক এবং আসার সুযোগ থাকুক এটাই হবে আমার জবাব।
সর্বোপরি আমাদের ডিজিটাল উন্নয়ন এবং এর গতি ত্বরান্বীত হউক এবং আমার ও দেশবাসির কল্যাণের নিমিত্তে হউক ইহাক কামনা, প্রত্যাশা এবং আগামীর আশা হউক।

Leave a Reply

Your email address will not be published.