বঙ্গবন্ধু তখন জেলে, আমার বাবা আওয়ামীলীগের অ্যাকটিং প্রেসিডেন্ট

টিআইএন॥ মানুষের উৎপত্তি এবং ভিত্তিমূলক শিক্ষা আসে পরিবার থেকে আর সেই পারিবারিক শিক্ষাই সমগ্র জীবনের আদর্শ হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। তেমনি একটি পরিবারের সুচনার কিছু অংশ এখানে তুলে ধরছি যা স্বয়ং নির্লোভ এবং সকলের নিকট গ্রহনযোগ্য এবং সৎ মানুষের মুখে শোনা।  আওয়ামীলীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক গুলো তখন বঙ্গবন্ধুর বাড়ীতেই  হতো। আমার বাবার তখন নিজস্ব কোন গাড়ী ছিলো না। ময়মনসিংহ রেল ষ্টেশন থেকে অনেকটা দুরেই আমাদের বাসা। রিক্সাওয়ালাকে প্রায় বলতে হতো তুমি কাল এসো আমি ষ্টেশন যাবো।
কিন্তু সেই দিন রিক্সাওয়ালা আর আসে না। এই দিকে ঢাকায় আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। দেরী না করে আমার বাবা সুটকেসটা মাথার উপর নিয়ে ময়মনসিংহ বাজারের উপর দিয়ে হেটে ষ্টেশনে পৌঁছলেন। আওয়ামীলীগে সবাই খন্দকার মোশতাক হয় না, আর হবেও না। আমার বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের একজন কর্মী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বন্ধু ছিলেন, জীবন দিয়ে প্রমান করে গেছেন আওয়ামী লীগে সবাই বেঈমান হয় না। (সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম)
আপনি প্রমান করলেন আপনিই শ্রদ্ধেয় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেবের সুযোগ্য উত্তরসূরি ও একজন বিশুদ্ধ আওয়ামীলীগার।  শ্রদ্ধা জানাই বাংলাদেশের প্রাচীনতম রাজনীতিক সংগঠন আওয়ামীলীগের দু’বারের সফল সাধারণ সম্পাদক ও দলের চরম দুঃসময়ের কান্ডারী শ্রদ্ধেয় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ভাইকে। আশরাফরা কখনই হারে না, হারবেও না। আপনার শিক্ষাই হউক আগামীর আওয়ামী রাজনীতির হাতিয়ার এবং দৃষ্টান্ত। নেতা কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থক পর্যন্ত এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে এগিয়ে যাবে এবং যাক এটাই আমাদের প্রত্যাশা এবং জোরালো দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.