আখাউড়াকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করতে আইনমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

রাইসলাম॥ মাননীয় আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রীমহোদয় এর নির্বাচনী এলাকা। এই এলাকার উন্নয়নের জন্য কি করেন নাই স্ব-শরীরে প্রত্যক্ষ না করলে বোঝানো সম্ভব হবে না। তারপরও বলছি ওনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ঘরে ঘরে উন্নয়নের ছোয়া পৌঁছে দিতে। মন্ত্রীমহোদয়ের সততায় মুগ্ধ এলাকাবাসী এবং তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মরহুম এডভোকেট সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়া সাহেবের স্বপ্নপুরন এমনকি অদৃশ্যমান অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তের প্রয়াসে। এইতো ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী আখাউড়া উপজেলাকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে সরাসরি আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন উপজেলার ‘মাদকবিরোধী আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাদক নির্মূলে উপজেলার কয়েক হাজার গণস্বাক্ষরের কপিসহ আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এমপির গুলশান অফিসে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়। এ সময় মাদকের কড়ালগ্রাস থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান আন্দোলনের নেতারা।
মন্ত্রী আখাউড়া উপজেলা মাদকবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের বলেন, ‘সন্ত্রাসী, মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দেই না, আমি পছন্দও করি না। তাহলে কেন এগুলোর প্রতিরোধ হবে না ?’ তিনি সংগঠনটির নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘যুবকরাই পারে মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে। মাদক শুধু ব্যক্তি নয়, পুরো সমাজটাকেই নষ্ট করে দেয়। কোনো পরিবারের একজন মাদকসেবী হলে পুরো পরিবারের সবাই অশান্তিতে থাকতে হয়। মাদক যুব সমাজকে মারাত্মক ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।’
তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স জানিয়ে বলেন, ‘মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত যেই থাকুক- কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। উপজেলার মাদক নির্মূলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ আমিনুল ইসলাম সাজী, সৈয়দ তানভীরুল ইসলাম শাহ্, ইমদাদ আল্ ইসলাম টিপু, মো. সালমান সিদ্দিকী, নাজমুল হক হিমেল, সোহান বাশার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ‘পূর্বাঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবেশদ্বার’ নামে খ্যাত সীমান্তবর্তী আখাউড়াকে প্রভাবশালী  মাদক চোরাকারবারিরা ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছে। সীমান্তের শতাধিক পয়েন্ট দিয়ে এসব চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসৎ সদস্যদের যোগসাজশে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাদক দেশে আমদানি করে থাকে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এখানে উল্লেখ্য যে শুধু আখাউড়া কেন! কসবাও এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত। প্রতিদিন কসবার মাদকের মহড়া দেখে ভীতসন্ত্রন্ত হওয়া ছাড়া উপায় কি? কসবার মাদক পয়েন্টগুলো দিয়ে প্রতিদিন মাদক সহ বিভিন্ন চোরাচালানী বাংলাদেশে প্রবেশ করে স্থানীয় তথা দেশবাসীর বিশাল ক্ষতি করে যাচ্ছে। এর আশু নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। মাননীয় মন্ত্রীমহোদয় আপনিই পারেন কসবা-আখাউড়াকে মডেল হিসেবে বাংলাদেশের বুকে প্রতিষ্ঠীত করতে। নেতা-আত্মীয় এমনকি সুযোগ সন্ধানীদের পরামর্শ বা কথা না শুনে নিরীহ ও সাধারণের কথা শুনুন এবং আপনার বিজ্ঞতায় ব্যবস্থা নিন। তাহলে সব সমস্যার সমাধান হবে এবং একদিন কসবা-আখাউড়া হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের সার্বিক মডেল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.