আপনি(জনগণ) নির্দেশ দেবেন, আমি মেয়র তা পালন করবো

রাইসলাম॥ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মাদারটেকেরে আব্দুল আজীজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত ‘জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এ কথা বলেন। মাননীয় মেয়র বলেন, ‘আমি আমার দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করছি। আজ আপনার মেয়র আপনার সামনে হাজির, আপনি (জনগণ) নির্দেশ দেবেন, আমি মেয়র তা পালন করবো।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আজ থেকে এক বছর সাত মাস পূর্বে আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়েই ডিএসসিসির দায়িত্বভার নিয়েছি। এই এলাকার বিভিন্ন বাসায় গিয়ে আমি ভোট প্রার্থনা করেছিলাম। এলাকার সাধারণ জনগণ আমাদের সমর্থন করেছেন। আমি আমার দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করছি। অনেকগুলো সমস্যা আমি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করতে পারি। আমার চেষ্টার বিন্দুমাত্র ঘাটতি থাকে না।’ আমরা এসেছি আপনাদের মনের কথা শুনতে। আপনাদের সমস্যা সমাধান করতে। যেসব সমস্যা আজই এই সভা থেকে সমাধান করা যায় সেগুলো এখন থেকেই করবো। আর যেগুলো সময়ের প্রয়োজন সেগুলো সময় নিয়েই করবো। কোনো সমস্যা থাকবে না। সমাধান করবোই ইনশাআল্লাহ।
এ সময় মাননীয় মেয়র উপস্থিত জনতার মধ্যে থেকে নাগরিক সমস্যা যেমন পানি, বিদ্যুত, সুয়্যারেজ লাইন, রাস্তা-ঘাট, ইভটিজিং, কুকুর, মশা, মাদক সমস্যা, অবৈধ সম্পত্তি দখলসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেন এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে সমাধানের নির্দেশনা প্রদান করেন। মাননীয় মেয়র বলেন, আমি বলেছিলাম, ‘আমি যুবক, আমি কর্মঠ। কাজ করার নিয়ত আমার রয়েছে। আমাকে ভোট দিন। আপনারা দিয়েছেন। এখন আপনাদের দেয়ার পালা। মাত্র ৪২ স্কয়ার কিলোমিটারের শহরে দেড় কোটি মানুষের বসবাস। এই ঘনবসতিপূর্ণ স্থানের মানুষকে সেবা দিতে হয় আমাকে। আপনারা সবাই এক একজন মেয়রের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করুন।’ আমি দায়িত্বভার নেয়ার পর অনেক অর্থের অভাব ছিল। অর্থের অভাবে বিদ্যুতের লাইন ডিসকানেক্ট করতে গিয়েছিল বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা। সাড়ে তিনশ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে নগর ভবনে এসেছি। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তিনি আমাকে খুকু বলে ডাকেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেন, তুমি প্রকল্প দাও, আমি অর্থের জোগান দেব। ডিএসসিসির একটি রাস্তা নষ্ট থাকবে, এটা আমি মেয়র হিসেবে দেখতে দেবো না। এক ইঞ্চি রাস্তা নষ্ট থাকতে দেবো না। রাস্তা কাঁচা থাকলে আমাকে বলবেন। মাননীয় মেয়র বলেন, রাস্তার স্ট্রিট লাইট নষ্ট থাকতে দেবো না। প্রতিটি রাস্তায় এলইডি লাইট দেব। আমি লাইটের ব্যবস্থা করেছি। এরই মধ্যে বেশ কিছু স্থানে লেগে গেছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যেকের ঘরের সামনে এলইডি লাইট জ্বলবে।
অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিল্লাল, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এম কে বখতিয়ার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জে. শেখ সালাউদ্দিন, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো. গোলাম হোসেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান, গোলাম আশরাফ তালুকদার, ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ, মাকসুদ হোসেন মিল্টনসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.