বাংলাদেশ মিয়ানমারের সাথে সম্পর্ককে গুরুত্বের সাথে দেখে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাআ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারের সাথে সম্পর্ককে গুরুত্বের সাথে দেখে। বুধবার নিজ কার্যালয়ে সফররত মিয়ানমারের বিমানবাহিনী প্রধান জেনারেল খিন অং মিন্ট এর সাথে বৈঠকে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক-পরবর্তী প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, বৈঠকে মায়ানমারের বিমানবাহিনী প্রধান আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে তৈরি করা সাইক্লোন সেন্টারগুলোর বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এগুলো তৈরিতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বিনিমিয়েও আগ্রহ দেখান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ানমারকে বাংলাদেশের নিকট প্রতিবেশি আখ্যায়িত করে সবসময়ই উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান রাখা এবং পারষ্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই দুটি দেশের সম্পর্ক বহু পুরনো এবং দীর্ঘকাল থেকেই এ দুটি দেশের মধ্যে সীমান্ত এবং সমুদ্র পথে ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান রয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মায়ানমারের বিদ্রোহী সমস্যার উল্লেখ করে বলেন, প্রতিবেশী দেশের ক্ষতির কারণ ঘটাতে পারে এমন কাউকেই বাংলাদেশ তার মাটি কখনই ব্যবহারের সুযোগ দেবে না।
সীমান্তে মায়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে দমনে তাদেরকে সহযোগিতার জন্য জেনারেল মিন্ট প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই মায়ানমারের অনুকূলে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রায় অনুরূপ সমস্যা ও বাংলাদেশ মোকাবেলা করেছে এবং তা তৃতীয় কোন পক্ষের সহযোগিতা ছাড়াই। জেনারেল মিন্ট এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ এবং মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ মিয়ো মিন্ট ও উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.