ইনিই কি বেহেস্তি হুর বেষ্টিত আমাদের নোবেল বিজয়ী ডঃ ইউনুছ

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ বলতে পারেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানুষ কে? বলতে পারেন দুনিয়াতে কে খুর-পরি বেষ্টিত থাকে? বলতে পারেন কে গরীবের গলায় ফাস লাগিয়ে সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে বাইরের কোন খুর-পরীকে বা ক্ষমতাধর ব্যক্তিকে (পুরুষ-মহিলা) গরিবের টাকা দান বা উপঢৌকন হিসেবে দিয়েছে? বলতে গেলে পৃথিবীর সকল কিছুই তাঁর হাতের নাগালের মধ্যে। কিইবা তার পরিচয় আর কিভাবেই তিনি হয়েছেন সকলের কাছে পুজনীয়। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি একমাত্র গরীবের যার কোন কিছুই নেই সেই লোকদের রক্ত,দেহ,শ্রম ও মেধা বিক্রির অংশও কুড়িয়ে নিয়েছেন সময়ে – সময়ে। তার প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠান আজ জাতির বোঝা হয়ে দাড়িয়ে সোজা মাথার উপর। সেই প্রতিষ্ঠানটিকে সবাই চিনেন এবং জানেন— আর তা হলো গ্রামীন ব্যাংক।
আমাদের ডঃ ইউনুছ সাহেব যিনি ছিলেন গ্রামীনের এমডি এবং কুড়িয়েছেন অনেক সম্মান ও এবং জাতিকে দিয়েছেন গর্বের ভিত; কিন্তু তিনি আসলেই কি এই জাতির ক্রান্তিকালে সময় দিয়েছেন একটি মুহুর্ত্বের জন্য। দেননি কারণ তিনি মনে প্রাণে বাংলাদেশকে ভালবাসেন নি। এমনকি বাংলাদেশের জন্য কোন কাজ করতে না পারলেও তো দেশের পাশে থেকে এগিয়ে যাওয়ার কর্মপরিকল্পনা বা সরকারের সঙ্গে এক হয়েই সকল কাজ সম্পন্ন করতে একত্রিত হতেন। আগামী দিনের বসবাসকারীদের জন্য প্রস্তুত করে রেখে যেতে হবে একটি সুন্দর, নিশ্চিত বসবাসের জায়গা এমনকি নিরাপদ আবাসস্থল। কই এই লক্ষ্যেতো তিনি কোন কাজ করেননি এমনকি এই দেশের মানুষের সঙ্গে তাঁর কোন নূন্যতম যোগাযোগ রক্ষাও করেন নি। কি তার অহৎকার এবং কি তার প্রয়োজন? দেশতো তাকে অনেক দিয়েছে এবং তাঁর লোভকেও এগিয়ে যেতে সহযোগীতা করেছে। কিন্তু বিনিময়ে দেশতো কোন কিছুই পায়নি।
বর্তমানে তিনি তার বান্ধবীর পরাজয়ে মর্মাহত এবং তার লগ্নিকরা টাকা বিফলে যাওয়ায় আরো হতাশ হওয়ার কথা কিন্ত কই তার হতাশা? নাকি হতাশা কাটানোর জন্যই এই সুন্দরী বেহায়াদের সঙ্গে সময় উদযাপন করেছেন। একটু দেখুননা উনি এখন কোথায় এবং কিভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যা দেখে আমাদের সকলের মনে এক ঘৃণা থেকে আরেক ঘৃণার জন্ম হয়েছে। দেখুনতো ছবির ঐ ব্যক্তিটি কে? কি তার পরিচয়। কিভাবে তিনি এখন জীবন-যাপন করছেন এবং কোথায় বসবাস করছেন। তার এই হাসিমাখা মুখখানি এবং সুন্দরী ললনাদের উষ্ণতা তাকে করেছে উদ্যমী ও প্রাণ চাঞ্চল্যে উদ্বিপ্ত এক টকবগে তরুণ রুপে। এই বয়সে যার থাকার কথা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক এবং তাঁর কছা থেকেই পাওয়ার আশা নিয়ে বসে থাকা। কিন্তু ঘটেছে উল্টোটা। তিনি পরকালের পরোয়া করেন না বরং ভাবেন যা করার এখন সময় তাই এনজয় এবং উপভোগ দুটোই চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি আর কিছু লিখব না বা লিখার ইচ্চে নেই। কারণ আমার রুচিতে বাধছে ঐ লোকটির সম্পর্কে লিখতে। তবে বলতে চাই এই ধরণের চরিত্রের মানুষগুলিকে প্রথমে চিহ্নিত করুন এবং দ্বীতিয়ত বর্জন করুন। তাহলেই দেশ পৌঁছে যাবে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে। আর আমরা পেয়ে যাব বঙ্গবন্ধুর স¦প্নের সোনার বাংলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.