এরাও মানুষ এবং বাংলাদেশী

দিনাজপুর প্রতিনিধি॥ সাঁওতাল সম্প্রদায় যুগে যুগে বিভিন্ন সংগ্রামে অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে ১৮৫৫ সালে সাঁওতাল যুদ্ধ, ১৯৪৪ সালে ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে রাজশাহীর নাচোলে সাঁওতাল বিদ্রোহ এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের অংশগ্রহণ এবং অবদান অনস্বীকার্য। আন্দোলনের সময় রাণীশংকৈলে সাঁওতালের তীর-ধনুক বিট্রিশ শাসকদের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। শুধু কি তাই, সমাজের প্রচলিত আচার অনুষ্ঠান, কৃষি কাজসহ নানা প্রয়োজনে আজো সাঁওতালদের ভূমিকা চোখে পড়ার মতো। এ সকল গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও সাঁওতালরা সমাজে অবহেলিত।
দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে তারা সেভাবে আসতে পারছে না। ফলে তারা একদিকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছে না। অন্যদিকে প্রতিনিয়ত নানা অসুবিধা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো মানবতার বিকাশের সঙ্গে মানায় না এবং শাওতাল বা শান্তালীদের দাবীটুকুও বেশী না। যা তাদের প্রয়োজন সেই ভিটেবাড়িটুকুই ফিরে পাওয়া তাদের আবদার। আর এই জন্য সরকারের ত্রান সহযোগীতা বর্জন করে শীতের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করে যাচ্ছে। খাবার খাচ্ছে বেঁচে থাকার তাগিদে যতসামান্যটুকু। আমাদের সরকারের আন্তরিক ইচ্ছা আছে তাদের পুর্নবাসন করে জাতীয় উন্নয়নে অংশীদার করানোর। সেই লক্ষ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং তিনি বলেছেন পর্যায়ক্রমে তাদেরকে পুর্নবাসন করা হবে। নতুন ঘর করে দেওয়া হবে এবং দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে। তারা কোন বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী বা ভিনদেশী নয়। তারা বাংলাদেশী এবং এই দেশের সুখ-দুঃখের সাথী। তারা আছে এবং থাকবে। শেখ হাসিনার সরকারের ছত্রছায়ায় তারা তাদের জীবন মান উন্নয়ন করে আগামী দিনের অগ্রসরমান সংস্কৃতি এবং সার্বিক শিক্ষায় শিক্ষীত হয়ে দেশ সেবায় মনোনিবেশ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.