সামুদ্রিক জরিপ জাহাজ ‘মীন সন্ধানী’র কমিশন প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

টিআইএন॥  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সামুদ্রিক জরিপ জাহাজ ‘মীন সন্ধানী’র কমিশন প্রদান করেছেন। এর মাধ্যমে দেশের সম্প্রসারিত সমুদ্রসীমায় আগামী মাস থেকে সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্যের জরিপ কাজ শুরু হবে। ‘বাংলাদেশ মেরিন ফিসারিজ’-এর জাতীয় প্রকল্প পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম বাসস’কে বলেন, ‘আমরা ৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে মালয়েশিয়া থেকে সর্বাধুনিক গবেষনা জাহাজ, আরভি মীন সন্ধানী, এনেছি’। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিবেশি ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা নিয়ে নিষ্পত্তির পর সম্প্রসারিত সমুদ্র অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য সম্পর্কিত অনুসন্ধান শুরুর জন্য এই জাহাজটি খুবই আকাঙ্খিত ছিল। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের ফলে বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রসীমায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারে এবং ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে জীব বৈচিত্র্য, বিশেষত সামুদ্রিক মাছ সম্পর্কিত এই জরিপ পরিচালনায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং মালয়েশীয় সরকার কারিগরি সহায়তা দেবে। তিনি বলেন, এই জরিপের মূল লক্ষ্য একটি যুগোপযোগী নীতিমালার আওতায় স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা। উল্লেখ্য, গত ৯ জুন জাহাজটি দেশে আনা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মীন সন্ধানী জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৩৭ দশমিক ৮ মিটার, প্রস্থ ৯ দশমিক ২ মিটার এবং গভীরতা ৩ দশমিক ৩ মিটার। জাহাজটিতে ২৮ জন ক্রু ও গবেষকের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। উপ-প্রকল্প পরিচালক আতিউর রহমান জানান, নতুন এই জাহাজটি সমুদ্রের পানিতে ৩৬০ ডিগ্রি অবতলে ২০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত জীবিত যেকোন জলজ প্রাণী চিহ্নিত করতে সক্ষম। উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে প্রথমবার ১৯৭৩ সালে বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক প্রাণিজ সম্পদের উপর জরিপ পরিচালনা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.