প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের হত দরিদ্রের চাল কালোবাজারে নেয়ার পথে আটকের পর বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা ॥ ডিলারের গোডাউন সিলগালা

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি ॥ কসবায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের হত দরিদ্রের চাল আটকের পর বিশেষ ক্ষমতা আইনে কসবা থানায় কামরুজ্জামান রতন ডিলারের নামে মামলা  হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) খাদ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ প্রশাসনের নির্দেশে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,রতন ডিলার খাড়েরা ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের কাছে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি না করে স্থানীয় খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তার যোগসাজশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছিল। এরই অংশ হিসেবে ওইদিন বিকেলে পিকআপ ভর্তি  দুইটন চাল  ব্রাহ্মণবাড়িয়া আনন্দবাজারে পাঠিয়েছিল। পিকআপ ভ্যান নং- ঢাকা মেট্রো-নং ১৪-২৪৬০।
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের তিনলাখপীর নামক স্থানে স্থানীয় জনতা চাল ভর্তি পিকআপ ভ্যানটিকে আটক করে। পরে কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলাম তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে ভ্যানসহ ড্রাইভারকে কসবা থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
চালক শামিম (২৩) জানায়,খাড়েরা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার কামরুজ্জামান রতন তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আনন্দবাজারের নুরুল ইসলাম ডিলারের কাছে চাল পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তাকে ভাড়ায় চুক্তি করে। গত ২৫ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলাম এর নেতৃত্বে রতন ডিলারের চালের গোডাউনে তল্লাসী করলে ৪৪৩ কেজি চাল কম পাওয়া যায়। অপরদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মীর হেলালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান; সাবেক ইউপি সদস্য রতন ডিলারের গোডাউনে যে চাউল পাওয়া গেছে তা বাপ্পী নামক এক ডিলারের। রতন কখন কাকে চাল বিতরন করছেন তিনি তা জানেন না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ২৫ নভেম্বর রতন ডিলারের চালের দোকান সিলগালা করে দিয়েছেন। এলাকার শত শত মানুষ জানায়, স্থানীয় খাদ্য কর্মকর্তা সরাসরি খাদ্য দুর্নীতিতে জড়িত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর এ প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না।  কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, কসবা থানা উপ-পরিদর্শক নুরুল ইসলাম এই মামলার তদন্ত করছেন। অপরদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.