ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ

টিআইএন॥ ঢাকা মহানগরীতে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের এক হাজার ৫০০ বর্গফুট পর্যন্ত আয়তনের বাসভবনের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এছাড়া দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আর্থিক সহায়তা তহবিল গঠন করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এছাড়া দুই সিটি করপোরেশনই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কবরস্থানে জায়গা সংরক্ষণ ও পৃথক কবরস্থান নির্মাণেরও ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠানে ঢাকার দুই মেয়র এসব ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন এলাকার কয়েক সহস্রাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধা বীরপ্রতীক আনোয়ার হোসেন ঢাকার দুই মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকনকে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তলন করেন। এরপর শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা ও ডিএসসিসির কাউন্সিলর আবু আহমেদ মন্নাফী, মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, কমান্ডার আমিন হোসেন মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন রণাঙ্গনের স্মৃতিচারণ করেন। পাশাপাশি তারা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্লট বরাদ্দ, হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ, মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থান সংরক্ষণসহ বেশ কিছু দাবি তোলেন।
পরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক বলেন, আজ স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু করার দাবি উঠছে। এ কাজগুলো অনেক আগেই করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। তিনি অনুষ্ঠানস্থল থেকে ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো আবেদন-নিবেদন সংক্রান্ত  কোনো কাগজপত্র তার করপোরেশনে গেলে সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখার। যদিও আগে থেকেই এ নির্দেশ দেওয়া আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, বনানী ও রায়েরবাজার কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কবরের ব্যবস্থা থাকবে। এরপরও কোনো সমস্যা হলে তাকে ফোন দেওয়ার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, চাইলেই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাড়ি বানিয়ে দেওয়া ডিএনসিসির পক্ষে সম্ভব না। তবে ভ্যাট বা আয়করের ব্যাপারে আমি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানে সঙ্গে কথা বলবো। কারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ছাড়া আমাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। মুক্তিযোদ্ধারা পাশে থাকলে এ শহরকেও দুই মেয়র বাসযোগ্য করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.