বিদায় ২০১৬ এবং স্বাগতম ২০১৭

২০১৬ এর বিদায়ে এবং ২০১৭ এর আগমনে বাংলার আকাশে সোনালী সূর্য উদীত হউক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা সুপ্রতিষ্ঠীত হওয়ার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মমূখর এবং উন্নয়নের ধারাবাহিক গতিময়তায়। ১৬এর সূর্য্য অস্তমীত হউক সকল গ্লানী এবং দু:খ, জ্বরা, ক্ষোভ, মান-অভীমানের সকল কালিমা নিয়ে। আগামীর সূর্য্য উদীত হউক বেহেস্তী আভায়। বাংলাদেশের সকল মানুষ একে অপরের পরিপুরক হয়ে গেথে তুলুক বাংলাদেশ এবং এদেশের উন্নয়নের গতিশীল অর্থনীতি। দল মতের উর্দ্ধে উঠে এদেশের মানুষ আরেকটিবার প্রমান করুক দলের এবং মতের চেয়ে দেশ বড়। এই দেশ মার্তৃকার তরে সকলে মিলে এক হয়ে উদীয়মান অর্থনীতির চাকা সচল রেখে উন্নতশীল দেশের কাতার নিজেদেরকে দাঁড় করাতে।
১৯৬৯, ’৭১ এর মত এদেশের মানুষ আবারও প্রমান করুক আমরা পারি, পেরেছি এবং পারব। বঙ্গবন্ধুর ডাকে যেমন দেশ স্বাধীন হয়েছিল ঠিক তেমনি এদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার হাত ধরে। সকল শোষণ বঞ্চনার অবসান ঘটবে। এদেশের মানুষ তাদের ৫টি মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে এবং নিশ্চিন্তমনে ভোগ করবে। এই মৌলিক অধিকার যারা হরণ করেছিল বা এখনও করার জন্য মরিয়া তাদের বিচার না হয় নাই হউক কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে কেউ আর এই ধরনের উদ্ধত্ব দেখাতে না পারে সেই ব্যবস্থাটা নিশ্চিত হউক।
এখনও যে বৈষম্য আমাদের সমাজ, পরিবার ও গোত্রের মধ্যে কাজ করছে সেইসকল জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। শুধু যে সরকার কাজ করবে তা নয় বরং আমাদের কাজ করতে হবে নিজ উদ্যোগে। সরকারের ঘোষণা এবং আহবান রয়েছে তাই আমাদেরও ঝাপিয়ে পড়তে হবে সেই আহবান ও ঘোষণার সাথে। যেমনীরূপে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙ্গালী জাতী একদিন প্রমান করেছিল আর সেই প্রমানের ফসল আজকের স্বাধীন এবং স্বনির্ভর বাংলাদেশ।
২০১৬ ছিল আমাদের কাছে একটি সাদা ধুতির ন্যায় পরিচ্ছন্ন অঙ্গিকার কিন্তু আমরা সেই সাদা ধবধবে ধুতিটিকে রক্তাক্ত করেছি বার বার। রক্তাক্ত ধবধবে সাদা প্রতিশ্রুতিগুলি আজ রক্তের দাগ শুকিয়ে ধুকে ধুকে এগিয়ে চলছে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে। আমরা যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি না এমনকি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে মেনে নিতে পারিনা ও দেশ বিরোধী অপশক্তির চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিদায়ী বছর ২০১৬কে কলঙ্কিত করেছিলাম সেই সকল মত ও পথের ধারক এবং বাহকদেরকে বলছি; অনেক হয়েছে আশা করি শিক্ষাও পেয়েছেন তাই পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যে উল্লাস করেছেন ১৬তে তো আর পারেননি বরং দিন দিন আপনাদের অধপতন এখন এসে তলানীতে ঠেকেছে। তাই ফিরে আসুন সুস্থ্য এবং স্বাবাভিক জীবনে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সঙ্গে হাতে হাত এবং কাধে কাধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়ন গতিতে নিজের ভূমিকা রাখুন। নতুবা অকুল সায়রে হাতড়ে বেড়ানো থেকে বেঁচে থাকার ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ হয়ে যাবে। বিদায়ী বছরের যে ভুলগুলি আমাদেরকে পিছনের দিকে ফিরে যাওয়ার হাতছানি দিয়েছিল আগামীতে আমারা সেই হাতছানি থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাব নতুন বছরের শুভ লগ্ন থকে। আমাদের প্রত্যশা এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন একশতভাগ সফল করতে দেশ মার্তৃকার তরে আমরা সকলে মিলে একযোগে কাজ করার অঙ্গিকার নিয়ে কাজে নেমে পড়তে হবে।
বাংলাদেশ সরকার এবং এই সরকার তথা দেশের একমাত্র ভরসারস্থল ও অভিভবক যিনি তিনি হলেন আমাদের অতী প্রীয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীসহ বিশেষ সম্বোধনে ভূষিত ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠীত একজন নেতা কিন্তু আমাদের সেই বড় বোন, ছোট বোন, মেয়ে, শেখ হাসিনা। তিনি যে পরিকল্পনা এবং স্বপ্ন নিয়ে এগুচ্ছেন তা বাস্তবায়ন এখন শুধু সময়ের ব্যাপার তাই এই সময়কে কাজে লাগিয়ে আসুন এগিয়ে যাই সামনের গন্তব্যে। বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনা বাঙ্গালী এবং বাংদেশের অংহকার ও গর্ব। এই গর্ব ও অহংকারকে সুরক্ষা দেয়া আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব সেই দায়িত্ব পালনে সকলেই সচেতন ও সোচ্চার হউন। ৭৫এ যা পারিনি তার পুনরাবৃত্তি আর হওয়ার কোন সুযোগ নেই। বাংলার জনগণ এখন জেগে উঠেছে সকল দিকথেকে পরিপূর্ণ হয়ে। দুষ্ট চক্র ও দুস্কৃতিকারীদের আর সুযোগ নেই এইদেশে বসবাস করার।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতা কর্মী ও সমর্থকদের বলছি সময়ের প্রয়োজনে দলের এবং দেশের স্বার্থে দলীয় প্রধান শেষ হাসিনার সম্মানার্থে সকল ভেদাভেদ ভুলে এক হউন। ব্যক্তিস্বার্থ এবং ক্ষমতার মোহ থেকে বের হয়ে আসুন স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করুন নতুবা আপনাদের প্রাপ্যটুকু অল্প সময়ের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। যে সমস্যা সৃষ্টি করছেন তার প্রতিটির খবর রাখেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অস্বচ্ছতার জবাব ও শাস্তিস্বরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দলীয় ভাবমুর্তি আরো স্বচ্ছ করে তুলবেন। প্রকৃত সেবক নেতাদের সুযোগ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমাদের কামনা দেশবাসী দল-মত নির্বিশেষে সবাই একযোগে এগিয়ে যাবো।
বিরোধী দলীয় সকল কর্মী সমর্থক ও নেতা-নেত্রীদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন কাম্য। এরই মধ্যে যা প্রতিয়মান হয়েছে তার শুভ লক্ষণ এবং এর শুভ পরিণতীর জন্য কাজ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাহলেই আগামী দিনে দেশের মানুষ স্বইচ্ছায় দেশ সেবার সুযোগ দিয়ে আপনাদেরকে সম্মানিত করবে। এই ইতিবাচাক প্রত্যাশার মধ্যেই নিহিত রয়েছে আগামীর সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ এবং এর অর্থনৈতিক সম্বৃদ্ধি। সকলকেই শুভ নববর্ষ ২০১৭ এবং শুভকামনায় এক রাশ প্রশান্তির প্রাশান্তি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.