রাজসভা থেকে পদত্যাগ করলেন মিঠুন চক্রবর্তী

আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন বলিউড ও টলিউডের সফল অভিনেতা মিঠুন চকুবর্তী। শুধু পদত্যাগই নয় তৃণমূলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তিনি। যদিও পদত্যাগের জন্য অসুস্থতাকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মিঠুন। বলিউডের সফল বাঙালিকে রাজনীতিতে টেনেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটেই রাজ্যসভায় যান মিঠুন। কিন্তু মিঠুনের সেই রাজনৈতিক জীবন দীর্ঘ হল না। রাজ্যসভায় তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২০ সালের এপ্রিলে। তার আগেই সব জল্পনা সত্যি করে পদত্যাগ করলেন।
রাজ্যসভায় নির্বাচিত হওয়ার পর হাতে গোনা কয়েকদিন সংসদে গিয়েছিলেন ‘ফাটাকেষ্ট’। পরে অর্থলগ্নি সংস্থার অনিয়ম নিয়ে তদন্তের সূত্রে সিবিআই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে আর সংসদমুখো হননি তিনি। দফায় দফায় চিঠি পাঠিয়ে ছুটি নিয়েছেন সংসদ থেকে। এবার পাকাপাকিভাবে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন।
জানা গেছে, নানা কারণে দীর্ঘদিন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল মিঠুনের। দলের সঙ্গে বিভিন্ন চিটফান্ড সংস্থার নাম জড়ানোর পর থেকেই বাড়তে থাকে দূরত্ব। তাতে তার নামও জড়িয়ে যায়। এর পরেই রাজনীতির সঙ্গে সংসর্গ রাখা বন্ধ করে দেন মিঠুন। অভিনয় জীবনে তার বিরুদ্ধে কখনও কোনও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। বরং সৎ ও পরোপকারি হিসেবে সুখ্যাতি ছিল বরাবর। সেই ইমেজে আঘাত লাগার পর থেকেই নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করেন মিঠুন। তার নামে অভিযোগ ওঠার পরে একটি চিটফান্ড সংস্থার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য নেওয়া পারিশ্রমিকের টাকাও ফিরিয়ে দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.