কসবা আখাওড়ার উন্নয়ন ও একজন আনিছুল হক

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ স্বাধীনার পর বাংলাদেশর ইতিহাসে যদি কোন মন্ত্রী উন্নয়ন ও সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে থাকেন তাহলে এক বাক্যেই বলতে হয় আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের এমপি এডভোকেট মো: আনিছুল হক শ্যানন, মাননীয় মন্ত্রী  আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রীমহোদয় একজন সৎ ও নিবেদিত প্রাণ উন্নয়ন কারিঘর। দেশের জন্য তাঁর নিঃস্বার্থ কাজ ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে। বাবা মরহুম এডভোকেট সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়া সাহেব নিজেকে ইতিহাসে স্থান করে রেখেছেন কিন্তু তাঁরই ঔরসজাত সন্তান, যাকে বলে যোগ্য উত্তরসূরী। বঙ্গবন্ধুর মামলা দিয়ে যার শুরু হয়েছিল সেই প্রখ্যাত ব্যক্তিটি যখন তত্ত্ববধায়ক সরকারের আইনজ্ঞ হিসেবে সুযোগ পেলেন, তখন তাঁর একটি সুস্পষ্ট উচ্চারণ বাংলার মানুষকে সম্পর্ক এবং পরিচয়ের পর্বে নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করেছে। যা ইতিহাসে নুতন বাক্য হিসেবে একটি অধ্যায় যুক্ত হয়েছে। তাঁর সেই উক্তিটি ছিল “শেখ হাসিনার বিষয়ে এবং তাঁর মামলায় আমি কাজ করব না বা কোন মতামত দিব না এই মর্মে রাজি থাকলে আমি দুদকের আইনজীবি হিসেবে কাজ করব নতুবা নয়”  কারন শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। ঐ কথাটি বা বানিটি টিভিতে বার বার ফলাউ করে প্রচার করা হয়েছিল। তখন গর্বে আমার বুক ভরে গিয়েছিল। আমি যাকে নিয়ে গর্ব করি তিনি সেই গর্বের যায়গাটুকু আরো একধাপ বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
ঠিক সেই মতই আজ আরো উপরে যার কোন সীমা নেই সেই জায়গা থেকেই গর্বের বিষয় পত্রিকার পাতায় তুলে ধরছি দেশবাসির উদ্দেশ্যে। স্বাধীনতার পর দেশবাসী দেখল একজন সৎ ও যোগ্য নেতার নেতৃত্বের সুফল। কসবা-আখাউড়া না গেলে স্বচক্ষে সেই উন্নয়ন উপভোগ করা যাবে না। ঘুরে আসুন কসবা এবং আখাউড়া তারপর কথা বলুন। শুধু বলব রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ এবং মসজিদ মাদ্রাসায় এমনকি বর্ডার বাজার এর মধ্যেই  উন্নয়ন সিমাবদ্ধ নয়। বরং আরো বিস্তর উন্নয়ন হয়েছে মানুষের জীবন যাপনের মানদন্ডে।  কসবা উপজেলা থানায় গেলে প্রাণটা জুড়ায় ঠিক তেমনি আখাউড়াতেও থানা উদ্ভোধনের অপেক্ষায়। কসবা আখাউড়ায় দুইটি ষ্টেডিয়াম হবে যা ছিল কল্পনা প্রসুত কিন্তু আনিছুল হক সহেবের বদৌলতে এখন বাস্তব। শুধু তাই নয় কসবায় হচ্ছে বিসিক শিল্প নগরী,  যার জন্য ৩০ একর জায়গা সরকারীভাবে অনুমোদিত হয়েছে। বিসিক বলতেই বুঝতাম কুমিল্লা কিন্তু এখন আমাদের কসবায়ও হচ্ছে…. আমরা কি ভেবে দেখছি ঐ নিরহংকার মানুষটির জন্য আমরা কি দিচ্ছি… হ্যা সামনে সুযোগ আসবে যখন আমরা হৃদয় উজাড় করে উনাকে ভালবাসা দেয়ার।
আরো একটি মাইল ফলক হলো বি,বাড়িয়া জেলাতে যা নেই তা হচ্ছে কসবার নয়নপুর এর কোনাকাটায়; সেটি হলো মা ও শিশু হাসপাতাল। এই হাসপাতালের জায়গা দান করেছেন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের এ পি এস জনাব এডভোকেট রাশেদুল কাউসার জীবন সাহেব। এটিও কি হতো যদি হক সাহেব এলাকার উন্নয়নে দৃষ্টিপাত না করতেন? শুধু তাই নয় আরো চমক হলো হর্টিকালচার সেন্টার হচ্ছে মনকাশাইর গ্রামে। এটা একটি উন্নয়ন চিত্র নয় বা কল্পনাও নয় এটি বাস্তবতা এবং সততা ও আন্তরিকতার ফসল। এলাকা এবং এলাকার জনগণই যার আপনজন আর সেই তিনিই হলেন আমাদের আইন মন্ত্রী এডভোকেট আনিছুল হক। এই মানুষটির পাওয়ার কিছুই নেই শুধু আছে বিলিয়ে দেয়ার। কারণ তাঁর উত্তরাধিকার হিসেব এই এলাকার মানুষই এখনও তাঁর কাছে অগ্রগণ্য।
লেশিয়ারা গ্রামে হচ্ছে সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ। এইভাবেই তিনি উন্নয়ন এর ছোয়া দিয়ে যাচ্ছে কসবা আখাউড়ার প্রতিটি গ্রামের আনাচে-কানাচে। কসবা এবং আখাউড়াকে ৪০% থেকে বৃদ্ধি করে ১০০% (ভাগ) বিদ্যুতের আওতায় এনেছেন। এই উন্নয়নই প্রমান করে যে শুধু কসবা এবং আখাউড়াই নয় বরং সারা বাংলায় উন্নয়ন হচ্ছে তবে এই অবহেলিত জনপদে আশার আলো দেখিয়েছেন উন্নয়নের কারিগর মাননীয় মন্ত্রী এডভোকেট আনিছুল হক শ্যানন।
এল জি ইডি যেখানে ২০০কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন করেছে সেখানে তিনি আরো ৪০০কোটি টাকার কাজ এনেছেন এই কসবা এবং আখাউড়ার জন্য। এই মাইলফলক একমাত্র সম্ভব হয়েছে আমাদের এই নির্লোভ মেধাবি সন্তান এডভোকেট আনিছুল হক শ্যানন সাহেবের জন্য। এবার আসুন সরকারী চাকুরী দেয়ার ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টিকারী মহৎ পরোপকারী ব্যক্তির সংখ্যা তত্ত্বের দিকে। এই পর্যন্ত তিনি ৫৪৪জনকে সরকারী চাকুরী দিয়েছেন। এই সরকারের আমলে আর কোন মন্ত্রী বা এমপি এমন দৃষ্টান্ত রেখেছেন কিনা তা আমার কাছে নেই। তবে এই নির্লোভ মানুষটি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে আমি স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের জন্য কাজ করব। কোন ঘুষ লেনদেন চলবে না; যদি কেহ ঘুষ লেনদেন করেন আর আমি শুনতে পাই তাহলে ঐ লেনদেনকারীর চাকুরী চলে যাবে এবং জেল হবে তার ঠিকানা। এমন সততার চ্যালেঞ্জ কে নিতে পারে বলুন। হ্যা পারে একমাত্র হক সাহেবই।
এই যে উন্নয়ন ফিরিস্তি তুলে ধরলাম তাতেই কিন্তু সিমাবদ্ধ নেই বরং দিনকে দিন তিনি আরো পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছেন কিভাবে কসবা আখাউড়াকে উন্নয়নের চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানো যায়। তিনি ওয়াদা রেখেছেন এবং রাখেন কারন তাঁর বাবাও সমস্ত ওয়াদা পুরন করেগেছেন। সৈয়দাবাদ আদর্শ মহাবিদ্যালয়কে সরকারী করার যে ওয়াদা করেছিলেন তিনি তা রক্ষা করেছেন। যত ঝড়-তোফান এবং প্রতিকুল পরিস্থিতিই আসুক না কেন তিনি তার ওয়াদা পুরুনে অবিচল। আরো হাজারো ঘটনা এবং সততার দৃষ্টান্ত আমি প্রশান্তির মাধ্যমে গত এক বছর ধরে জানিয়ে আসছি। আগামীতেও জানাব কারন এই মানুষটির কাছ থেকে শেখার আছে সমগ্র দেশের সাধারন থেকে অসাধারণ মানুষগুলো। তিনি জেলেদের নিয়ে ভাবেন এবং তাদের উন্নয়নের জন্য চিন্তা করছেন কিভাবে এই সম্প্রদায়কে বাঁচিয়ে রাখা যায় এবং সমাজে সম্মানের স্থানে বসবাস করার সুযোগ তৈরী করা যায়।
কসবা নতুন বাজার থেকে পুরাতন বাজারে যাতায়তের রাস্তা এবং সেতু দেখে মনে হয় একশত বছরের কান্নার পরিসমাপ্তি ঘটেছে এবং মানুষ ফিরে পেয়েছে প্রাণের স্পন্দন। দেখতে এবং বলতেই শান্তি শান্তি অনুভব হয় যা প্রাশান্তি বিলিয়ে দেয়ার মত।
পারিবারিক ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক দিক্ষা ও সততার শিক্ষায় আজ তাকে উন্নতির এই চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে সাহায্য করেছে। তিনি সং এবং যোগ্য তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে পছন্দ করে নিয়েছেন এবং যোগ্য ব্যক্তিটিকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাধুবাদ জানাই এই অবহেলিত জনপদ থেকে আমাদের মাননীয় মন্ত্রীমহোদয়কে মনোনীত করে গুরু দায়িত্ব দেয়ার জন্য। আর এই গুরুদায়িত্ব পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পালন করে যাচ্ছেন জনাব আনিছুল হক। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কথা রেখেছেন এবং সকল ওয়াদা পালন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকল্প। মাননীয় মন্ত্রীমহোদয়কে সাধুবাদ জানাই এলাকাবাসীর উন্নয়নে সমগ্র দেশের ন্যায় নিজ এলাকায় যুগোপযোগী ভাবনা ও চিন্তার সমন্বয় ঘটানোর জন্য। আগামী নির্বাচনের পুর্বেই কসবা-আখাউড়া পূর্ণ হবে উন্নয়নের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। আমরা মন্ত্রীমহোদয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে তাঁর উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শরীর থেকে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতে চাই। আগামী লিখায় আরো থাকাছে উন্নয়ন পরিকল্পনা ও মন্ত্রীমহোদয়ের ভাবনার ছক…….।

Leave a Reply

Your email address will not be published.