নয়ন॥ আদর করে কেউ তাঁকে শ্যামলা বলতেই পারেন। তবে আমার ছবি দেখে মনে হলো ‘মানূষটার গায়ের রঙ কালোই’। খাঁটি বঙ্গীয় চেহারার একজন মানুষ। কিছুটা খেটে খাওয়া মানূষদের চেহারার সাথেই মিলে। এম পি কিংবা মন্ত্রীদের যে তেল তেলে ভাব থাকে, তা ঠিক তাঁর চেহারায় নেই। উনার নাম মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের আওয়ামী লীগের হতভাগ্য এম পি। আজকে যাঁর দাফন সম্পন্ন করলাম। তিনি এর আগেও আলোচনায় এসেছিলেন সৌরভ নামে স্কুলছাত্রকে গুলি করে, গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গেছিলেন। আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অদ্ভুত ‘শোর’ তুললাম। আমিও ষ্ট্যাটাস দিয়েছিলাম তাঁর বিপক্ষে।
# কিন্তু একটা প্রশ্ন কারো মাথায় আসেনি যে, একজন জনপ্রতিনিধি শুধু শুধু কেন এক স্কুল ছাত্রকে গুলি করতে যাবেন? সেদিনও কি তাঁর উপর হামলা হয়েছিলো? আমরা কেউ সেই মানূষটার কথা শুনিনি। আমাদের হট্টগোলে তাঁর স্বর নির্জীব হয়ে গিয়েছিলো।
# তবে লিটন এম পি অনেক আগেই একটা বিশাল্ অপরাধ (!) করেছেন-তা হলো জামাতের ঘাঁটি সুন্দরগঞ্জে গোলাম আজমের জনসভা প্রতিহত করেছিলেন। আমরা ভুলে গেছি-তারা ভুলে নাই-তারা ভুলেনা। তার প্রমান তারা দিয়ে দিলো।
# খবিস মিডিয়া কিন্তু সৌরভকে গুলি করার পরে একবারো লিখেনি যে এই সেই লিটন যিনি ‘জাতির দায়’ কাঁধে নিয়ে ‘গোলামকে প্রতিহত’ করেছিলেন।